রাজনৈতিক অস্থিরতায় বন্ধ ৩৬ হাজার পোলট্রি খামার- অবিক্রীত পড়ে আছে ২০ হাজার কোটি টাকার ডিম-মুরগি by জিয়াউল হক মিজান
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চরম দুর্দিন নেমে এসেছে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তিলে তিলে গড়ে ওঠা দেশের সম্ভাবনাময় পোলট্রি শিল্পের ওপর। মাসাধিককালের টানা হরতাল-অবরোধে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৩৬ হাজার মুরগির খামার। পরিবহন সঙ্কটে অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে ২০ হাজার কোটি টাকার বাচ্চা, ডিম ও মুরগি। প্রতি সপ্তাহে হ্যাচারিতে মরছে ত্রিশ লাখ বাচ্চা আর খামারে পচছে চার কোটি ডিম। স্থিতিশীলতা না এলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এ শিল্প অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মসিউর রহমান জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় প্রতিদিন এ শিল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও লাগাতার হরতাল-অবরোধের কারণে এ শিল্পের যে চার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই ফের লাগাতার হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ায় উদ্যোক্তারা চরমভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, এভাবে কিছুদিন পরপর যদি লাগাতার কর্মসূচি দেয়া হয় তবে শুধু পোলট্রি কেন, কোনো শিল্পই টিকে থাকতে পারবে না।
বিভিন্ন পর্যায়ের খামারির সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবহন সঙ্কটে অবিক্রীত থাকার কারণে প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার মেট্রিক টন ব্রয়লার মুরগির গোশত এবং প্রায় চার কোটি ডিম নষ্ট হচ্ছে। খাদ্য, পরিবহন ও বিক্রির অভাবে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ লাখ ছানা মেরে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার টন মুরগির খাবার ফ্যাক্টরিতে নষ্ট হচ্ছে এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকার ওষুধ খামারিদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে পোলট্রি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার মুখথুবড়ে পড়েছে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সাইদুর রহমান বাবু বলেন, ইচ্ছা করলে হয়তো শিল্পকারখানা বন্ধ রাখা যায়; কিন্তু মুরগির ডিম পাড়া বন্ধ করা যায় না। প্রতিদিন মুরগিকে খাবার দিতেই হবে। শীতে তাপ দেয়ার জন্য জ্বালানির ব্যবস্থা করতেই হবে। উৎপাদন খরচ থেকেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা প্রতিদিন লোকসান দিতে হচ্ছে। ছানা মুরগি কিংবা খাবারের অভাবে আবার অনেক ক্ষেত্রে আয় ও ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে একে একে সব খামার বন্ধ হয়ে যাবে। তখন টাকা দিয়েও ডিম-মুরগি কেনা সম্ভব হবে না।
পোলট্রি শিল্পের ওপর খড়গ এবারই প্রথম নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে ২০১৩ সালের শেষ দিকে সৃষ্ট রাজনৈতিক অরাজকতায় এক দফা পথে বসেছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। সে সময় পাঁচ হাজার ডিম রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে এবং কয়েক হাজার মুরগি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনা পয়সায় বিলি করে দিয়ে এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামারিরা। ওই সময় এক দিন বয়সী ২৫ হাজার মুরগির বাচ্চা ছেড়ে দেয়া হয় জাতীয় প্রেস কাবের সামনের রাস্তায়। তাদের বক্তব্য ছিল, খামারে ডিম ও মুরগির স্তূপ জমলেও যানবাহনের অভাবে তারা বাজারে পাঠাতে পারছেন না। টাকার অভাবে ুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা মুরগির খাবার কিনতে পারছেন না। আর তাই তারা মুরগির বাচ্চা বিনা পয়সায় বিলি করে দিতে এসেছেন যেন হৃদয়বান মানুষেরা ওদের খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, আশির দশকে পোলট্রি
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মসিউর রহমান জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় প্রতিদিন এ শিল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও লাগাতার হরতাল-অবরোধের কারণে এ শিল্পের যে চার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই ফের লাগাতার হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ায় উদ্যোক্তারা চরমভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, এভাবে কিছুদিন পরপর যদি লাগাতার কর্মসূচি দেয়া হয় তবে শুধু পোলট্রি কেন, কোনো শিল্পই টিকে থাকতে পারবে না।
বিভিন্ন পর্যায়ের খামারির সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবহন সঙ্কটে অবিক্রীত থাকার কারণে প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার মেট্রিক টন ব্রয়লার মুরগির গোশত এবং প্রায় চার কোটি ডিম নষ্ট হচ্ছে। খাদ্য, পরিবহন ও বিক্রির অভাবে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ লাখ ছানা মেরে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজার টন মুরগির খাবার ফ্যাক্টরিতে নষ্ট হচ্ছে এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকার ওষুধ খামারিদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে পোলট্রি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার মুখথুবড়ে পড়েছে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সাইদুর রহমান বাবু বলেন, ইচ্ছা করলে হয়তো শিল্পকারখানা বন্ধ রাখা যায়; কিন্তু মুরগির ডিম পাড়া বন্ধ করা যায় না। প্রতিদিন মুরগিকে খাবার দিতেই হবে। শীতে তাপ দেয়ার জন্য জ্বালানির ব্যবস্থা করতেই হবে। উৎপাদন খরচ থেকেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা প্রতিদিন লোকসান দিতে হচ্ছে। ছানা মুরগি কিংবা খাবারের অভাবে আবার অনেক ক্ষেত্রে আয় ও ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে একে একে সব খামার বন্ধ হয়ে যাবে। তখন টাকা দিয়েও ডিম-মুরগি কেনা সম্ভব হবে না।
পোলট্রি শিল্পের ওপর খড়গ এবারই প্রথম নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে ২০১৩ সালের শেষ দিকে সৃষ্ট রাজনৈতিক অরাজকতায় এক দফা পথে বসেছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। সে সময় পাঁচ হাজার ডিম রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে এবং কয়েক হাজার মুরগি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনা পয়সায় বিলি করে দিয়ে এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামারিরা। ওই সময় এক দিন বয়সী ২৫ হাজার মুরগির বাচ্চা ছেড়ে দেয়া হয় জাতীয় প্রেস কাবের সামনের রাস্তায়। তাদের বক্তব্য ছিল, খামারে ডিম ও মুরগির স্তূপ জমলেও যানবাহনের অভাবে তারা বাজারে পাঠাতে পারছেন না। টাকার অভাবে ুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা মুরগির খাবার কিনতে পারছেন না। আর তাই তারা মুরগির বাচ্চা বিনা পয়সায় বিলি করে দিতে এসেছেন যেন হৃদয়বান মানুষেরা ওদের খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, আশির দশকে পোলট্রি
No comments