পরিস্থিতির কারণে এনকাউন্টার
ঢাকা
মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘অবরোধ ও
হরতালে ককটেল, পেট্রলবোমাসহ নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের সহযোগী, অর্থ যোগানদাতা ও আশ্রয়দাতাদের
নাম বলে। পরে পুলিশ তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে
অভিযান চালায়। অভিযানে যখন পুলিশের ওপর হামলা করা হয় তখন বাংলাদেশ দ-বিধির
৯৬ ধারা অনুযায়ী শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। যখনই এমন পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি
হবে তখনই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হরতালে নাশকতাকারীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়ায় ডিএমপির পক্ষ থেকে চারজনকে পুরস্কৃত করা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ৫ই জানুয়ারির পর থেকে অবরোধে ও হরতালে সস্ত্রাসীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, আগুন দেয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ’৭১ সালের কায়দায় এসব করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। তিনি আরও বলেন, ‘৫ই জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকা মহানগর এলাকায় ১৬৮টি গাড়িতে আগুন, ১১টি ভাঙচুর করেছে। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনকালে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ২ জন পুলিশসহ এক আনসার সদস্য মারা গেছেন। বাসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ কালে ঘটনাস্থলে হাতেনাতে ১৮৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে ১০২ জন বিএনপির নেতাকর্মী ও ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। এছাড়াও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এই পর্যন্ত ১০১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ৩০ জনকে। কমিশনার বলেন, ‘আমরা সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। পুলিশের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন ছাত্র ও এক রিকশাচালক এগিয়ে এসেছেন। জীবনবাজি রেখে সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিয়েছেন। তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এটি দেখে অন্য শান্তিকামী নাগরিকেরাও উৎসাহিত হবেন। বাংলাদেশে যে চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত আছে তা বজায় থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে।’ এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে ডিএমপি কমিশনারের আগের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। যার বড় প্রমাণ গত ৩ দিনে ঢাকার কোথাও বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে নি। সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের যত বড়ই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় হোক পুলিশ তাদের ধরবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ জানান, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলাম। এ সময় দুই যুবককে সন্দেহভাজন মনে হয়। তাদের ধাওয়া দিলে ওই দুজন পালিয়ে যায়। এ সময় মামুন নামে একজনকে ককটেলসহ ধরে ফেলি। তখন আমার অন্য দুই বন্ধু স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রুহুল আমীন ও জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আল নাহিয়ান জয়কে মোবাইলে খবর দেই। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। রিয়াজ বলেন, আমরা তিনজন পুরস্কারের টাকা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন রোগীদের সহযোগিতার জন্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, ইব্রাহিম ফাতেমী, মিলি বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, ডিবি ডিসি (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় ও ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হরতালে নাশকতাকারীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়ায় ডিএমপির পক্ষ থেকে চারজনকে পুরস্কৃত করা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ৫ই জানুয়ারির পর থেকে অবরোধে ও হরতালে সস্ত্রাসীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, আগুন দেয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ’৭১ সালের কায়দায় এসব করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। তিনি আরও বলেন, ‘৫ই জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকা মহানগর এলাকায় ১৬৮টি গাড়িতে আগুন, ১১টি ভাঙচুর করেছে। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনকালে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ২ জন পুলিশসহ এক আনসার সদস্য মারা গেছেন। বাসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ কালে ঘটনাস্থলে হাতেনাতে ১৮৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে ১০২ জন বিএনপির নেতাকর্মী ও ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। এছাড়াও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এই পর্যন্ত ১০১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ৩০ জনকে। কমিশনার বলেন, ‘আমরা সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। পুলিশের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন ছাত্র ও এক রিকশাচালক এগিয়ে এসেছেন। জীবনবাজি রেখে সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিয়েছেন। তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এটি দেখে অন্য শান্তিকামী নাগরিকেরাও উৎসাহিত হবেন। বাংলাদেশে যে চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত আছে তা বজায় থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে।’ এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে ডিএমপি কমিশনারের আগের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। যার বড় প্রমাণ গত ৩ দিনে ঢাকার কোথাও বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে নি। সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের যত বড়ই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় হোক পুলিশ তাদের ধরবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ জানান, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলাম। এ সময় দুই যুবককে সন্দেহভাজন মনে হয়। তাদের ধাওয়া দিলে ওই দুজন পালিয়ে যায়। এ সময় মামুন নামে একজনকে ককটেলসহ ধরে ফেলি। তখন আমার অন্য দুই বন্ধু স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রুহুল আমীন ও জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আল নাহিয়ান জয়কে মোবাইলে খবর দেই। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। রিয়াজ বলেন, আমরা তিনজন পুরস্কারের টাকা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসাধীন রোগীদের সহযোগিতার জন্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, ইব্রাহিম ফাতেমী, মিলি বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, ডিবি ডিসি (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় ও ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
No comments