মহারাষ্ট্রে দেড় মাসে ৯৩ কৃষক আত্মঘাতী!
আচ্ছে
দিন আ গয়ে হ্যায়- এই স্লোগানেই ভারতে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
কিন্তু সেই আচ্ছে দিন-এর ছিটেফোঁটাও যে ভারতের মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়ায়
এসে পৌঁছয়নি তা স্পষ্ট। দিন বদলায়, সরকার বদলায়, কিন্তু এখানকার কৃষকদের
অবস্থা বদলায় না। নতুন বছরেও তাই এই অঞ্চলে কৃষকের মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত।
২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত ৪৫ দিনে মেরঠওয়াড়ায় ৯৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা এই অঞ্চলে নতুন নয়। ২০১৪-য় আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৫৬৯ জন কৃষক। ২০১৩-য় সেই সংখ্যাটা ২০৭। কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এই অঞ্চলে এখনও কৃষকরা বৃষ্টির জলের উপরই নির্ভর করেন। তাই কোনও বছর বৃষ্টি না হলে বা দেরিতে বর্ষা আসলে, মহাজনের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় থাকে না। সেই মহাজনী ঋণের নাগপাশ ফুলেফেঁপে যখন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে, তখন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া পথ থাকে না চাষীর কাছে।
সরকারি ব্যাঙ্ক বা সরকার অনুমোদিত ঋণদাতা ছাড়া অন্য কারোর থেকে ঋণ না নেয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিরক্ষর গ্রামীণ মানুষের কাছে মহাজনের সহজলভ্যতা অনেক বেশি। আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে প্রত্যেক তালুকে একটি করে তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন তহশিলদার, পুলিশ অফিসার, কৃষি আধিকারিক, সরপঞ্চ ও পঞ্চায়েত সমিতির একজন সদস্য। এই কমিটি খতিয়ে দেখবে যে সবকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঋণের চাপেই হয়েছে কিনা, না এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। আত্মঘাতী চাষীর নিজস্ব জমি ও ঋণের বোঝা থাকলে তবেই তাঁর পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবে।
২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত ৪৫ দিনে মেরঠওয়াড়ায় ৯৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা এই অঞ্চলে নতুন নয়। ২০১৪-য় আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৫৬৯ জন কৃষক। ২০১৩-য় সেই সংখ্যাটা ২০৭। কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এই অঞ্চলে এখনও কৃষকরা বৃষ্টির জলের উপরই নির্ভর করেন। তাই কোনও বছর বৃষ্টি না হলে বা দেরিতে বর্ষা আসলে, মহাজনের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় থাকে না। সেই মহাজনী ঋণের নাগপাশ ফুলেফেঁপে যখন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে, তখন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া পথ থাকে না চাষীর কাছে।
সরকারি ব্যাঙ্ক বা সরকার অনুমোদিত ঋণদাতা ছাড়া অন্য কারোর থেকে ঋণ না নেয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিরক্ষর গ্রামীণ মানুষের কাছে মহাজনের সহজলভ্যতা অনেক বেশি। আত্মহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে প্রত্যেক তালুকে একটি করে তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন তহশিলদার, পুলিশ অফিসার, কৃষি আধিকারিক, সরপঞ্চ ও পঞ্চায়েত সমিতির একজন সদস্য। এই কমিটি খতিয়ে দেখবে যে সবকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঋণের চাপেই হয়েছে কিনা, না এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। আত্মঘাতী চাষীর নিজস্ব জমি ও ঋণের বোঝা থাকলে তবেই তাঁর পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবে।
No comments