সুসম্পর্কে লাভবান হবে দুই প্রতিবেশীই
তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকায় এসেছেন। বাংলাদেশের জন্য মমতার এ সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ শুধু বাংলাদেশের এই নিকট প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্যটির সাথে সুসম্পর্কের জন্যই নয়, একই সাথে এটি দুই প্রতিবেশী দেশের অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ার জন্য সব দোষ সে সময় মতাসীন কংগ্রেস জোট সরকার মমতার ওপর চাপিয়েছিল। বাংলাদেশের সাথে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নেও মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির মতো বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতার মুখে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন বা তিস্তাচুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়নি নয়াদিল্লি। এ নিয়ে একসময় হাসিনা-মমতার মধ্যে সম্পর্কে বেশ টানাপড়েনও দেখা দেয়।
তিস্তাচুক্তি না হওয়ার জন্য কংগ্রেস জোট সরকারের বক্তব্যের সাথে তৃণমূলের বক্তব্য মেলে না। মমতার সে সময় অভিযোগ ছিল, তাকে খসড়া চুক্তি যেটি দেখানো হয়েছিল, তার সাথে চূড়ান্ত চুক্তির কপির মিল নেই। তখনকার ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন এ নিয়ে মমতার সাথে কথা বলেন। তিনি নামকাওয়াস্তে হলেও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মমতাকে প্রভাবিত করতে চান। কিন্তু মমতা তখন কোনো রাখঢাক বা প্রতারণার আশ্রয় নিতে রাজি ছিলেন না বলে তৃণমূলের সূত্রগুলো উল্লেখ করে। আসলেই তিস্তা নিয়ে কী হয়েছিল সেটি এখন স্পষ্ট হওয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই।
অচিহ্নিত সীমান্ত চিহ্নিত করা, ছিটমহলবিনিময়, অপদখলীয় ভূমি নিষ্পত্তিসংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন ও বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে মমতা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে । বিজেপির সাথে তৃণমূলও সীমান্তচুক্তির ব্যাপারে একমত হলে সে দেশের সংসদে এটি অনুমোদনের পথে কোনো বাধা থাকবে না। এটি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য বড় কোনো উপকার করবে কি না, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো এই চুক্তি কার্যকর হলে তা আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টিতে যেমন সাহায্য করবে তেমনিভাবে একটি মানবিক সমস্যারও এতে সমাধান হবে।
মমতার সফরে বাংলাদেশের সাথে সে রকম কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের মতো বিষয় নেই। তবে এই সফর দুই দেশের সুসম্পর্কে বিব্রতকর বিষয়গুলো দূর করতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া একই ভাষাভাষী দুই ভূখণ্ডের মধ্যে বিরোধ কোনো পক্ষের জন্য সেভাবে কল্যাণ আনবে না। উভয় পারের বাঙালির মধ্যে সহযোগিতা থেকে সবাই যে লাভবান হবে তাতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।
তিস্তাচুক্তি না হওয়ার জন্য কংগ্রেস জোট সরকারের বক্তব্যের সাথে তৃণমূলের বক্তব্য মেলে না। মমতার সে সময় অভিযোগ ছিল, তাকে খসড়া চুক্তি যেটি দেখানো হয়েছিল, তার সাথে চূড়ান্ত চুক্তির কপির মিল নেই। তখনকার ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন এ নিয়ে মমতার সাথে কথা বলেন। তিনি নামকাওয়াস্তে হলেও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মমতাকে প্রভাবিত করতে চান। কিন্তু মমতা তখন কোনো রাখঢাক বা প্রতারণার আশ্রয় নিতে রাজি ছিলেন না বলে তৃণমূলের সূত্রগুলো উল্লেখ করে। আসলেই তিস্তা নিয়ে কী হয়েছিল সেটি এখন স্পষ্ট হওয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই।
অচিহ্নিত সীমান্ত চিহ্নিত করা, ছিটমহলবিনিময়, অপদখলীয় ভূমি নিষ্পত্তিসংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন ও বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে মমতা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে । বিজেপির সাথে তৃণমূলও সীমান্তচুক্তির ব্যাপারে একমত হলে সে দেশের সংসদে এটি অনুমোদনের পথে কোনো বাধা থাকবে না। এটি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য বড় কোনো উপকার করবে কি না, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো এই চুক্তি কার্যকর হলে তা আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টিতে যেমন সাহায্য করবে তেমনিভাবে একটি মানবিক সমস্যারও এতে সমাধান হবে।
মমতার সফরে বাংলাদেশের সাথে সে রকম কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের মতো বিষয় নেই। তবে এই সফর দুই দেশের সুসম্পর্কে বিব্রতকর বিষয়গুলো দূর করতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া একই ভাষাভাষী দুই ভূখণ্ডের মধ্যে বিরোধ কোনো পক্ষের জন্য সেভাবে কল্যাণ আনবে না। উভয় পারের বাঙালির মধ্যে সহযোগিতা থেকে সবাই যে লাভবান হবে তাতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।
No comments