উন্নত মানস গঠনের আয়োজন by ড. মেহতাব খানম
আমাদের জীবনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক ঘটনা সবই ঘটে। নেতিবাচক ঘটনাগুলো যখন ঘটে তখন আমরা মুষড়ে পড়ি। আবার ইতিবাচক ঘটনা যখন ঘটে তখন শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। এটি আমাদের শরীরের মধ্যে দারুণ একটা অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে, একটা ভীষণ ভালো লাগা সৃষ্টি করে। যেমন একটি ছোট্ট শিশু যখন খুব ভয় বা কষ্ট পায়, তখন কেউ একজন তাকে জড়িয়ে ধরলে শিশুটির মধ্যে একটা ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। তার মনে হয় কেউ তাকে ভালোবাসছে। আবার আমরা যখন বড় হই তখন হয়তো কেউ আমাদের স্পর্শ করছে না ঠিকই, কিন্তু তখনও আমরা চোখের সামনে ভালো কিছু দেখে সেই ভালো অনুভূতিটা পাই। যখন আমরা এমন কিছু দেখি, যা আমাদের মনের ক্ষুধা মেটায়, তখনও আমাদের ভেতর এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। তখন আমরা শরীর-মনে ভালো লাগার একটা স্পন্দন অনুভব করি। তখন মনে হয়, আমরা পৃথিবীটা জয় করে ফেলতে পারব। আমাদের পক্ষে সবকিছু সম্ভব। জীবনটাকে অনেক আলোকিত মনে হয় তখন।
সাধারণ মানুষের মনের ঠিক এই জায়গাটাই গত ৩০ বছর ধরে স্পর্শ করে আসছে মাটি ও মানুষ। পরবর্তীকালে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। আমরা মানুষ, আর মাটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। দেশের মাটি ছেড়ে যারা প্রবাসে থাকেন তারা মাঝে মাঝেই আমার কাছে বলেন, দেশের মাটি আমাদের টানছে। অর্থাৎ দেশের মাটি আমাদের মনের একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে। আর তাই অনুষ্ঠানটির নাম যথার্থই_ হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। এ অনুষ্ঠানে একেবারে সাধারণ মানুষের হাসি দেখছি। আমাদের সাধারণ ধারণা, যারা উচ্চবিত্ত, তারা খুব ভালো আছে। যারা বড় গাড়িতে চড়ছে, বিলাসিতার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে_ আমরা ধরে নিই, তাদের মুখে হাসি লেগেই আছে। কিন্তু যে হাসি আমরা হৃদয়ে মাটি ও মানুষে দেখি, সে হাসি সত্যিকারের আনন্দের। ফসল ফলানোর আনন্দের সেই হাসি হৃদয়ের খুব ভেতর থেকে উঠে আসে।
খুব ছোট মাছ যখন বড় হয়, রূপালি সেই মাছগুলো যখন লাফালাফি করে তখন মনটাও নেচে ওঠে। একইভাবে যে ছোট্ট বীজ আজ কৃষক বপন করলেন, কাল তা-ই গাছ হয়ে ফল-ফসল দেবে। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ এ রূপান্তরটা দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা যারা কৃষি কাজ করি না, তাদের এ দৃশ্য বিনোদন দিচ্ছে। হৃদয়ে মাটি ও মানুষে দেখানো সবুজ মাঠ, তাতে নানা রঙের টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুনের রঙে রাঙছি আমরাও। মন চলে যায় সেই গ্রামে, সেই ক্ষেতে। আমরা সম্পৃক্ত হই ওই সময়ের সঙ্গে। শহরে বসেও গ্রামীণ শান্তির পরশ পাই। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে নিজেদের ইট-পাথরে ঠেলে দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করছি। অথচ এই কৃষিকেই আপন করে নিলে, তা পারে আমাদের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে_ আর্থিক ও মানসিক দুটিই। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অনেকেই কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন। আমি মনে করি, এটিই একটি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সফলতা।
আমরা যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করি; কেউ আমাদের মন খারাপের কথা বললে আমরা তাদের একটি টবে গাছ লাগাতে বলি। এ আশায়, ওই গাছটির একটু একটু করে বড় হওয়া দেখে মানুষটির মনও ভালো হয়ে যাবে, সৃষ্টিশীলতা জাগ্রত করবে। সৃষ্টির এ আনন্দটা কৃষকেরও হয়। সেই আনন্দ বাড়াতে কাজ করে চলেছে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। গণমাধ্যম একটি শক্তিশালী মাধ্যম। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা যা দেখছি তাতে ভীষণভাবে প্রভাবিত হচ্ছি। আবার যখন নেতিবাচক কিছু দেখছি তখন আমাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জাতি গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশাল। গণমাধ্যম ইচ্ছা করলে একটি দেশকে ইতিবাচক করে তুলতে পারে। আমাদের এতটি টেলিভিশন চ্যানেল, এত এত অনুষ্ঠান। যদি একটা গবেষণা হতো, তাহলে আমরা বুঝতাম, যা নির্মাণ হচ্ছে তা আমাদের আসলেও বিনোদন দিচ্ছে কি-না। প্রচুর অনুষ্ঠান হচ্ছে কিন্তু তার সব মনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। আবার ব্যতিক্রমী কিছু করার কথাও কেউ খুব একটা ভাবছে না। আমার কাছে এমন ব্যতিক্রমের খুব অল্প নজিরের একটি হৃদয়ে মাটি ও মানুষ।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
সাধারণ মানুষের মনের ঠিক এই জায়গাটাই গত ৩০ বছর ধরে স্পর্শ করে আসছে মাটি ও মানুষ। পরবর্তীকালে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। আমরা মানুষ, আর মাটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। দেশের মাটি ছেড়ে যারা প্রবাসে থাকেন তারা মাঝে মাঝেই আমার কাছে বলেন, দেশের মাটি আমাদের টানছে। অর্থাৎ দেশের মাটি আমাদের মনের একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে। আর তাই অনুষ্ঠানটির নাম যথার্থই_ হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। এ অনুষ্ঠানে একেবারে সাধারণ মানুষের হাসি দেখছি। আমাদের সাধারণ ধারণা, যারা উচ্চবিত্ত, তারা খুব ভালো আছে। যারা বড় গাড়িতে চড়ছে, বিলাসিতার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে_ আমরা ধরে নিই, তাদের মুখে হাসি লেগেই আছে। কিন্তু যে হাসি আমরা হৃদয়ে মাটি ও মানুষে দেখি, সে হাসি সত্যিকারের আনন্দের। ফসল ফলানোর আনন্দের সেই হাসি হৃদয়ের খুব ভেতর থেকে উঠে আসে।
খুব ছোট মাছ যখন বড় হয়, রূপালি সেই মাছগুলো যখন লাফালাফি করে তখন মনটাও নেচে ওঠে। একইভাবে যে ছোট্ট বীজ আজ কৃষক বপন করলেন, কাল তা-ই গাছ হয়ে ফল-ফসল দেবে। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ এ রূপান্তরটা দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা যারা কৃষি কাজ করি না, তাদের এ দৃশ্য বিনোদন দিচ্ছে। হৃদয়ে মাটি ও মানুষে দেখানো সবুজ মাঠ, তাতে নানা রঙের টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুনের রঙে রাঙছি আমরাও। মন চলে যায় সেই গ্রামে, সেই ক্ষেতে। আমরা সম্পৃক্ত হই ওই সময়ের সঙ্গে। শহরে বসেও গ্রামীণ শান্তির পরশ পাই। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে নিজেদের ইট-পাথরে ঠেলে দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করছি। অথচ এই কৃষিকেই আপন করে নিলে, তা পারে আমাদের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে_ আর্থিক ও মানসিক দুটিই। হৃদয়ে মাটি ও মানুষ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অনেকেই কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন। আমি মনে করি, এটিই একটি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সফলতা।
আমরা যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করি; কেউ আমাদের মন খারাপের কথা বললে আমরা তাদের একটি টবে গাছ লাগাতে বলি। এ আশায়, ওই গাছটির একটু একটু করে বড় হওয়া দেখে মানুষটির মনও ভালো হয়ে যাবে, সৃষ্টিশীলতা জাগ্রত করবে। সৃষ্টির এ আনন্দটা কৃষকেরও হয়। সেই আনন্দ বাড়াতে কাজ করে চলেছে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। গণমাধ্যম একটি শক্তিশালী মাধ্যম। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা যা দেখছি তাতে ভীষণভাবে প্রভাবিত হচ্ছি। আবার যখন নেতিবাচক কিছু দেখছি তখন আমাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জাতি গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশাল। গণমাধ্যম ইচ্ছা করলে একটি দেশকে ইতিবাচক করে তুলতে পারে। আমাদের এতটি টেলিভিশন চ্যানেল, এত এত অনুষ্ঠান। যদি একটা গবেষণা হতো, তাহলে আমরা বুঝতাম, যা নির্মাণ হচ্ছে তা আমাদের আসলেও বিনোদন দিচ্ছে কি-না। প্রচুর অনুষ্ঠান হচ্ছে কিন্তু তার সব মনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। আবার ব্যতিক্রমী কিছু করার কথাও কেউ খুব একটা ভাবছে না। আমার কাছে এমন ব্যতিক্রমের খুব অল্প নজিরের একটি হৃদয়ে মাটি ও মানুষ।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
No comments