এশিয়ার স্বার্থে ভারত-শ্রীলংকার সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রস্তাব চীনের
শ্রীলংকার
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে
যাওয়ার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শ্রীলংকা। এশিয়ার আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও
অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয়াদিল্লি-কলম্বোর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বন্ধুত্বের
প্রস্তাব রেখেছে বেইজিং। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় চীনের
অব্যাহত প্রভাব বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ছিল ভারত। ক্ষমতার পালাবদলে কৌশলগত
ভূমিকায় এখন নিজের প্রভাব বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলংকার নতুন সরকার ভারতের
দিকে ঝুঁকে পড়ায় নতুন এ প্রস্তাব রাখলো চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘ভারত-শ্রীলংকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে
আমরা খুশি। আমরাও ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব
নিশ্চিত করতে আগ্রহী। শ্রীলংকার সঙ্গেও একই ধরনের সম্পর্ক থাকবে।’ চুনইং
আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তিন দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক নিজেদের জন্যই
কল্যাণকর।
ত্রিপাক্ষিক বন্ধন সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে। সে কারণেই ভারতের সঙ্গে শ্রীলংকার সম্পর্কোন্নয়নে আমরা খুশি।’ এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাঙ্গালা সামারাবিরা। আগামী ২৭ ফেব্র“য়ারি তার দুই দিনের সফরকে সামনে রেখে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিল। উল্লেখ্য, মাহেন্দ রাজাপাকসের আমলে চীনের বলয়ে ঢুকে পড়ে শ্রীলংকা।
কলম্বোর বন্দরনগরী নির্মাণে বেইজিংয়ের মোটা অংকের বিনিয়োগ ও শ্রীলংকায় চীনের ডুবোজাহাজের উপস্থিতিতে শঙ্কিত হয় ভারত। অভিযোগ আছে রাজাপাকসের পতনে গোপন ভূমিকা রেখেছে নয়াদিল্লি। নির্বাচনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এমনকি শ্রীলংকায় চীনের বিনিয়োগের পুনর্বিবেনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসে পরমাণু জ্বালানি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন সিরিসেনা।
বহির্বিশ্বের কোনো দেশের সঙ্গে শ্রীলংকার এ ধরনের চুক্তি এই প্রথম। কলম্বোর এসব পদক্ষেপে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বেইজিং।
এদিকে একবিংশ শতাব্দীর মেরিটাইম সিল্ক রোড নির্মাণে ভারত-শ্রীলংকা-বাংলাদশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চায় চীন। সেই লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে বিরোধ মিটিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী বেইজিং।
পরমাণু চুক্তিকে স্বাগত : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-শ্রীলংকার মধ্যে সম্পাদিত পরমাণু জ্বালানি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মূল্যবৃদ্ধি ও রীতিনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘পরমাণু জ্বালানিবিষয়ক আঞ্চলিক চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’ মোদি-সিরিসেনার সাম্প্রতিক এ চুক্তি সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই মন্তব্য করেন। সাকি বলেন, ‘চুক্তি সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি সচেতন।’ এ ব্যাপারে আরও প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার প্রথম বিদেশ সফরে ভারতের সঙ্গে পরমাণু জ্বালানিবিষয়ক সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দ্য হিন্দু, আদারেদেনা।
ত্রিপাক্ষিক বন্ধন সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে। সে কারণেই ভারতের সঙ্গে শ্রীলংকার সম্পর্কোন্নয়নে আমরা খুশি।’ এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাঙ্গালা সামারাবিরা। আগামী ২৭ ফেব্র“য়ারি তার দুই দিনের সফরকে সামনে রেখে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিল। উল্লেখ্য, মাহেন্দ রাজাপাকসের আমলে চীনের বলয়ে ঢুকে পড়ে শ্রীলংকা।
কলম্বোর বন্দরনগরী নির্মাণে বেইজিংয়ের মোটা অংকের বিনিয়োগ ও শ্রীলংকায় চীনের ডুবোজাহাজের উপস্থিতিতে শঙ্কিত হয় ভারত। অভিযোগ আছে রাজাপাকসের পতনে গোপন ভূমিকা রেখেছে নয়াদিল্লি। নির্বাচনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এমনকি শ্রীলংকায় চীনের বিনিয়োগের পুনর্বিবেনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসে পরমাণু জ্বালানি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন সিরিসেনা।
বহির্বিশ্বের কোনো দেশের সঙ্গে শ্রীলংকার এ ধরনের চুক্তি এই প্রথম। কলম্বোর এসব পদক্ষেপে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বেইজিং।
এদিকে একবিংশ শতাব্দীর মেরিটাইম সিল্ক রোড নির্মাণে ভারত-শ্রীলংকা-বাংলাদশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চায় চীন। সেই লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে বিরোধ মিটিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী বেইজিং।
পরমাণু চুক্তিকে স্বাগত : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-শ্রীলংকার মধ্যে সম্পাদিত পরমাণু জ্বালানি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এই চুক্তি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মূল্যবৃদ্ধি ও রীতিনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘পরমাণু জ্বালানিবিষয়ক আঞ্চলিক চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’ মোদি-সিরিসেনার সাম্প্রতিক এ চুক্তি সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই মন্তব্য করেন। সাকি বলেন, ‘চুক্তি সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি সচেতন।’ এ ব্যাপারে আরও প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার প্রথম বিদেশ সফরে ভারতের সঙ্গে পরমাণু জ্বালানিবিষয়ক সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দ্য হিন্দু, আদারেদেনা।
No comments