বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে ফেরাতে সহযোগিতার প্রস্তাব কেরির
বাংলাদেশে
চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছেন মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। একই সঙ্গে তিনি সব রাজনৈতিক দলের ‘নির্বিঘেœ মত
প্রকাশের’ অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে সার্বিক মানবাধিকার
রক্ষায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও আহ্বান
জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী গতকাল এক বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা করেন। গতকাল সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রশংসা করেন কেরি। তাদের আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অর্জিত সাফল্য প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়ন ইস্যুতে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন কেরি। তিনি বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে সাম্প্রতিক সহিংসতা অবসানে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মানবাধিকার রক্ষায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও জোর দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো বেসামরিক মানুষকে টার্গেটে পরিণত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন কেরি। তিনি বিরোধী দলগুলোকে অবিলম্বে এ ধরনের হামলা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে নিরীহ মানুষকে টার্গেটে পরিণত করার কৌশল বা রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিষয়গুলো সহনশীলতার সঙ্গে গ্রহণের অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ যাতে একটি রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে, যা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ভিত্তিমূলে ফেরাবে, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন করে সমর্থন ও সহযোগিতার প্রস্তাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার দ-াদেশ প্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে জন কেরির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আহ্বান জানালে জন কেরি ইতিবাচক মনোভাব ব্যাক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়া উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকাস) মাহফুজুর রহমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সহকারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) নিশা দেশাই বিসওয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস কাউন্টারিং ভায়ালেন্স এক্ট্রিমিজম সামিটে যোগ দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী ওয়াশিংটন সফর করছেন। বৃহস্পতিবার চরমপন্থা বিরোধী ওই সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিনি। সম্মেলনের সাইড-লাইনে দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী গতকাল এক বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা করেন। গতকাল সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রশংসা করেন কেরি। তাদের আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অর্জিত সাফল্য প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়ন ইস্যুতে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। আঞ্চলিকভাবে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন কেরি। তিনি বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে সাম্প্রতিক সহিংসতা অবসানে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মানবাধিকার রক্ষায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও জোর দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো বেসামরিক মানুষকে টার্গেটে পরিণত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন কেরি। তিনি বিরোধী দলগুলোকে অবিলম্বে এ ধরনের হামলা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে নিরীহ মানুষকে টার্গেটে পরিণত করার কৌশল বা রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিষয়গুলো সহনশীলতার সঙ্গে গ্রহণের অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ যাতে একটি রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে, যা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ভিত্তিমূলে ফেরাবে, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন করে সমর্থন ও সহযোগিতার প্রস্তাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার দ-াদেশ প্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে জন কেরির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আহ্বান জানালে জন কেরি ইতিবাচক মনোভাব ব্যাক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়া উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকাস) মাহফুজুর রহমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সহকারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) নিশা দেশাই বিসওয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস কাউন্টারিং ভায়ালেন্স এক্ট্রিমিজম সামিটে যোগ দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী ওয়াশিংটন সফর করছেন। বৃহস্পতিবার চরমপন্থা বিরোধী ওই সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিনি। সম্মেলনের সাইড-লাইনে দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক হয়।
No comments