জাতিসংঘের উদ্যোগে আওয়ামী লীগে অশ্বস্তি by জাকির হোসেন লিটন
চলমান
সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সংলাপ প্রস্তাবকে মুখে পাত্তা
না দিলেও অশ্বস্তিতে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেজন্য চিঠির চুলচরা
বিশ্লেষণ করা হচ্ছে দলটিতে। এ চিঠির জবাব দেয়া হবে কীনা এবং দিলে কি ভাষায়
দেয়া হবে তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে দলটির নীতি নির্ধারকদের
মধ্যে। দলের কট্রপরপন্থী বলে পরিচিত নেতাদের মতে, এ চিঠিকে আমলে নেয়ার কোনো
প্রয়োজন নেই। সেজন্য জবাব দেয়ারও প্রশ্ন আসেনা।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত মধ্যমপন্থী নেতাদের মতে, এ চিঠিকে তাচ্ছিল্য করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং চিঠির জবাব দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করাই শ্রেয়। না হলে শান্তিরক্ষী মিশনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘ থেকে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়া অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফরে আসলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দুই দলের মধ্যে হওয়া অলিখিত সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি আবার আলোচনায় আসতে পারে। এছাড়া দুই দলকে সংলাপে বসতেও বাধ্য করা হতে পারে। সেজন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি আসলেও তারানকো যাতে বাংলাদেশ সফরে না আসেন সেই লক্ষে সব ধরণের ক’টনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ি প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন বিষয়টি দেখভাল করছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে শুরু হওয়া অচলাবন্থার অবসানে দেশী বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জাতিসংঘসহ ক’টনৈতিক মহল সংলাপের তাগিদ দিলেও সরকার কোনোভাবেই তা আমলে নেয়নি। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে দেয়া সুশীল সমাজের সংলাপের উদ্যোগও ক্ষমতাসীন দলের অনীহার কারণে এক রকম চাপা পড়ে আছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীজোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্কট নিরসনে সংলাপের তাগিদ দিয়ে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই চিঠির কথা প্রকাশ করেনি। মঙ্গলবার রাতে চিঠির কথা গণমাধ্যমে জানাজানি হলেও দল ও সরকারের কোনো নেতা বা কর্মকর্তাই চিঠির বিষয়টি স্বীকার করেন নি।
অবশেষে বিভিন্ন সূত্রসহ গতকাল গণমাধ্যমে চিঠির কথা প্রকাশ হলে সরকারও তা স্বীকার করে নেয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে সহিংসতার প্রতি নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। চিঠিটি আরো দুই সপ্তাহ আগে লেখা হয়েছে। কিন্তু আমরা গত পরশুদিন (সোমবার) পেয়েছি।’
সূত্রগুলো জানায়, চিঠি পওয়ার পর সরকারপক্ষ কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে। আর কৌশলগত কারণেই ওই চিঠির কথা কাউকে জানানো হয়নি। কিন্তু গণমাধ্যমে চিঠির কথা প্রকাশ হলে খানিকটা নড়েচড়ে বসেন সরকারের নীতি নির্ধারকেরা। গতকাল সব আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বান কি মুনের ওই চিঠির প্রসঙ্গ আলোচনা হয়। এ সময় কেউ কেউ চিঠি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মনোবল ঠিক রেখে চিঠিকে পাত্তা না দিয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে অটল থাকার যুক্তি তুলে ধরেন। তাদের মতে, অন্যান্য সব উদ্যোগের মতো আন্তর্জাতিক এ উদ্যোগটিও ব্যর্থ হবে। কারণ, বর্তমানে দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে না, যা চলছে তা হচ্ছে-বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদি তৎপরতা। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোনো রাজনীতি হতে পারেনা। এগুলো জঙ্গিবাদি তৎপরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই জাতিসংঘের চিঠির আহবানে সাড়া দেয়ার কোনো মানে নেই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘অনেকে অনেকভাবে আশা প্রকাশ করতে পারেন। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল। যারা দানবের মতো মানুষের ওপর হামলা করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
বাংলাদেশে এখন যুদ্ধ চলছে মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যুদ্ধে জয়ী না হয়ে সংলাপ হবে না। দানবের বিরুদ্ধে মানবের এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরে সংলাপ-সমঝোতা বৈঠক, তার আগে নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। সরকার এই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম। সরকার কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। কোনো ধরণের সংলাপের প্রশ্নই আসে না। কোনো খুনির সঙ্গে সংলাপ করতে চাই না।’
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দল ও সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে যাই বলুকনা কেন বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের চিঠি নিয়ে সরকার রীতিমতো অশ্বস্তিতে রয়েছে। সেজন্য চিঠির ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলাপকালে বলেন, সঙ্কট নিরসনে অন্যান্য সব উদ্যোগের মতো জাতিসংঘের এ উদ্যোগকে এক করে দেখলে চলবে না। গায়ের জোরে সব কিছু নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়। এ চিঠির গুরুত্ব অনুভব করে বান কি মুনকে তার জবাবও দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন এ নেতা।
সম্পাদক মন্ডলীর একজন সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুশীল সমাজ ও ক’টনৈতিক সব উদ্যোগকে আমরা উড়িয়ে দিলেও জাতিসংঘের উদ্যোগকে সেটা করা সম্ভব নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে এ নেতা আরো বলেন, ওই সময় আমরা কেউ সংলাপে বসতে রাজি হইনি। কিন্তু জাতিসংঘের উদ্যোগে তারানকোর মধ্যস্থতায় অবশেষে দুই দল সংলাপে বসতে বাধ্য হয়েছে। তাই এবারো সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত মধ্যমপন্থী নেতাদের মতে, এ চিঠিকে তাচ্ছিল্য করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং চিঠির জবাব দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করাই শ্রেয়। না হলে শান্তিরক্ষী মিশনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘ থেকে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়া অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফরে আসলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দুই দলের মধ্যে হওয়া অলিখিত সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি আবার আলোচনায় আসতে পারে। এছাড়া দুই দলকে সংলাপে বসতেও বাধ্য করা হতে পারে। সেজন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি আসলেও তারানকো যাতে বাংলাদেশ সফরে না আসেন সেই লক্ষে সব ধরণের ক’টনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ি প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন বিষয়টি দেখভাল করছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে শুরু হওয়া অচলাবন্থার অবসানে দেশী বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জাতিসংঘসহ ক’টনৈতিক মহল সংলাপের তাগিদ দিলেও সরকার কোনোভাবেই তা আমলে নেয়নি। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে দেয়া সুশীল সমাজের সংলাপের উদ্যোগও ক্ষমতাসীন দলের অনীহার কারণে এক রকম চাপা পড়ে আছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীজোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্কট নিরসনে সংলাপের তাগিদ দিয়ে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই চিঠির কথা প্রকাশ করেনি। মঙ্গলবার রাতে চিঠির কথা গণমাধ্যমে জানাজানি হলেও দল ও সরকারের কোনো নেতা বা কর্মকর্তাই চিঠির বিষয়টি স্বীকার করেন নি।
অবশেষে বিভিন্ন সূত্রসহ গতকাল গণমাধ্যমে চিঠির কথা প্রকাশ হলে সরকারও তা স্বীকার করে নেয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে সহিংসতার প্রতি নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। চিঠিটি আরো দুই সপ্তাহ আগে লেখা হয়েছে। কিন্তু আমরা গত পরশুদিন (সোমবার) পেয়েছি।’
সূত্রগুলো জানায়, চিঠি পওয়ার পর সরকারপক্ষ কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে। আর কৌশলগত কারণেই ওই চিঠির কথা কাউকে জানানো হয়নি। কিন্তু গণমাধ্যমে চিঠির কথা প্রকাশ হলে খানিকটা নড়েচড়ে বসেন সরকারের নীতি নির্ধারকেরা। গতকাল সব আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বান কি মুনের ওই চিঠির প্রসঙ্গ আলোচনা হয়। এ সময় কেউ কেউ চিঠি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মনোবল ঠিক রেখে চিঠিকে পাত্তা না দিয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে অটল থাকার যুক্তি তুলে ধরেন। তাদের মতে, অন্যান্য সব উদ্যোগের মতো আন্তর্জাতিক এ উদ্যোগটিও ব্যর্থ হবে। কারণ, বর্তমানে দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে না, যা চলছে তা হচ্ছে-বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদি তৎপরতা। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোনো রাজনীতি হতে পারেনা। এগুলো জঙ্গিবাদি তৎপরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই জাতিসংঘের চিঠির আহবানে সাড়া দেয়ার কোনো মানে নেই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘অনেকে অনেকভাবে আশা প্রকাশ করতে পারেন। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল। যারা দানবের মতো মানুষের ওপর হামলা করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
বাংলাদেশে এখন যুদ্ধ চলছে মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যুদ্ধে জয়ী না হয়ে সংলাপ হবে না। দানবের বিরুদ্ধে মানবের এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরে সংলাপ-সমঝোতা বৈঠক, তার আগে নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। সরকার এই পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম। সরকার কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। কোনো ধরণের সংলাপের প্রশ্নই আসে না। কোনো খুনির সঙ্গে সংলাপ করতে চাই না।’
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দল ও সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে যাই বলুকনা কেন বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের চিঠি নিয়ে সরকার রীতিমতো অশ্বস্তিতে রয়েছে। সেজন্য চিঠির ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলাপকালে বলেন, সঙ্কট নিরসনে অন্যান্য সব উদ্যোগের মতো জাতিসংঘের এ উদ্যোগকে এক করে দেখলে চলবে না। গায়ের জোরে সব কিছু নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়। এ চিঠির গুরুত্ব অনুভব করে বান কি মুনকে তার জবাবও দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন এ নেতা।
সম্পাদক মন্ডলীর একজন সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুশীল সমাজ ও ক’টনৈতিক সব উদ্যোগকে আমরা উড়িয়ে দিলেও জাতিসংঘের উদ্যোগকে সেটা করা সম্ভব নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে এ নেতা আরো বলেন, ওই সময় আমরা কেউ সংলাপে বসতে রাজি হইনি। কিন্তু জাতিসংঘের উদ্যোগে তারানকোর মধ্যস্থতায় অবশেষে দুই দল সংলাপে বসতে বাধ্য হয়েছে। তাই এবারো সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
No comments