মমতার সফর অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে সহায়ক হবে
পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যে
বিদ্যমান অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। শুক্রবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে
যান মমতা ব্যানার্জী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত
শেষে রাষ্ট্রপতি এ আশা প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এহসানুল করিম
এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এহসানুল করিম জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় বেশ হাসিখুশি ছিলেন। তারা দুইজন পরস্পরের সঙ্গে আলাপের সময় দুইদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রপতিকে মমতা জানান, দুইদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুইদেশের মধ্যে তিস্তা, স্থল সীমানা চুক্তি, ছিট মহল বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা চলছে। সেসব বিষয় মীমাংসার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবেন মমতা।
দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রসঙ্গে মমতা বলেন, একসঙ্গে বসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব সমস্যার সমাধান করা যাবে। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে পশ্চিবঙ্গের সঙ্গে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক বিকাশের সুযোগ রয়েছে। এই খাত বিকশিত হলে বিদেশি পর্যটকেরা দুই দেশেই সফরে আসতে আরও আগ্রহী হবে।
আগরতলা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস ও খুলনা-কলকাতার মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতায় ‘নজরুল তীর্থ’ ও আসানশোলে ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে পদক্ষেপ নিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘নজরুল তীর্থ’ ও ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগ্রহ প্রকাশ করায় ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ। তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশ-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ওই মতবিনিময় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের বন্ধু। এ দুই দেশ যাতে ভাল থাকতে পারে, সে জন্য মনের দরজা খুলে দিতে হবে। এতে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মনের বেড়া আটকানো যাবে না।
তিস্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আমার উপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে এর সমাধান করবো। তিস্তা নিয়ে দুই দেশেরই সমস্যা রয়েছে। আমাদের উপর ছেড়ে দিন। এই চুক্তি নিয়ে চিন্তা করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশে এসে পৌছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অর্ভ্যথনা জানান। বিমান বন্দরে নেমেই আতিথেয়তায় মুগ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনে হচ্ছে নিজের দেশে এসেছি। তিনি বলেন, দুই বাংলার সম্পর্ক অনেক পুরোনো। সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় শুক্রবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
এহসানুল করিম জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় বেশ হাসিখুশি ছিলেন। তারা দুইজন পরস্পরের সঙ্গে আলাপের সময় দুইদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রপতিকে মমতা জানান, দুইদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুইদেশের মধ্যে তিস্তা, স্থল সীমানা চুক্তি, ছিট মহল বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা চলছে। সেসব বিষয় মীমাংসার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবেন মমতা।
দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রসঙ্গে মমতা বলেন, একসঙ্গে বসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সব সমস্যার সমাধান করা যাবে। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে পশ্চিবঙ্গের সঙ্গে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক বিকাশের সুযোগ রয়েছে। এই খাত বিকশিত হলে বিদেশি পর্যটকেরা দুই দেশেই সফরে আসতে আরও আগ্রহী হবে।
আগরতলা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস ও খুলনা-কলকাতার মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতায় ‘নজরুল তীর্থ’ ও আসানশোলে ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে পদক্ষেপ নিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘নজরুল তীর্থ’ ও ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগ্রহ প্রকাশ করায় ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ। তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশ-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ওই মতবিনিময় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের বন্ধু। এ দুই দেশ যাতে ভাল থাকতে পারে, সে জন্য মনের দরজা খুলে দিতে হবে। এতে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মনের বেড়া আটকানো যাবে না।
তিস্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আমার উপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে এর সমাধান করবো। তিস্তা নিয়ে দুই দেশেরই সমস্যা রয়েছে। আমাদের উপর ছেড়ে দিন। এই চুক্তি নিয়ে চিন্তা করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশে এসে পৌছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অর্ভ্যথনা জানান। বিমান বন্দরে নেমেই আতিথেয়তায় মুগ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনে হচ্ছে নিজের দেশে এসেছি। তিনি বলেন, দুই বাংলার সম্পর্ক অনেক পুরোনো। সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় শুক্রবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
No comments