সাড়া দিয়ে আলোচনা শুরু করুন
সরকারের কঠোর ও অনমনীয় মনোভাবের কারণে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট আরো জটিল রূপ নিচ্ছে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে জাতীয় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষ এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে গিয়ে ব্যাপক ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিদিন পুলিশের গুলিতে একাধিক ব্যক্তি হতাহত হচ্ছেন।
বাংলাদেশের অব্যাহত রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন দুই নেত্রীকে চিঠি দিয়ে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক, ক্ষমতাসীন দল এই আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বান কি মুনের চিঠি দেয়ার খবর প্রকাশের পর ১৪ দলের বৈঠকে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের সাথে বৈঠকে না বসার ঘোষণা আবার দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে করছে আরো বেশি হতাশ ও উদ্বিগ্ন। এ দিকে, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেÑ নির্বাচন নিয়ে সংলাপ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাসীকার্যক্রম হিসেবে গণ্য করে তা দমনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রম দেশের ভেতরে ও বাইরে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কারণ এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সঙ্কটের শুরু। সহিংসতার ঘটনাগুলোও রাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে। এটা নিছক আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়।
ফলে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ ও আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার ফল হতে পারে অনেক সুদূরপ্রসারী। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ কখনোই উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ নয়। এ দেশের মানুষ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই চায় এবং বহু দিন এর সুফল ভোগ করেছে। ১৯৫৪ সাল থেকে এ দেশে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়ে এসেছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকারে ঘাটতি থাকলেও ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে এ দেশের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফলে নতুন করে সংসদ নির্বাচনের জন্য আলোচনার যে তাগিদ বিভিন্ন মহল থেকে দেয়া হচ্ছে, তা উপেক্ষা করা হবে ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করব, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকার আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সঙ্কট নিরসনে দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।
বাংলাদেশের অব্যাহত রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন দুই নেত্রীকে চিঠি দিয়ে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক, ক্ষমতাসীন দল এই আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বান কি মুনের চিঠি দেয়ার খবর প্রকাশের পর ১৪ দলের বৈঠকে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের সাথে বৈঠকে না বসার ঘোষণা আবার দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে করছে আরো বেশি হতাশ ও উদ্বিগ্ন। এ দিকে, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেÑ নির্বাচন নিয়ে সংলাপ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাসীকার্যক্রম হিসেবে গণ্য করে তা দমনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রম দেশের ভেতরে ও বাইরে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কারণ এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সঙ্কটের শুরু। সহিংসতার ঘটনাগুলোও রাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে। এটা নিছক আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়।
ফলে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ ও আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার ফল হতে পারে অনেক সুদূরপ্রসারী। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ কখনোই উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ নয়। এ দেশের মানুষ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই চায় এবং বহু দিন এর সুফল ভোগ করেছে। ১৯৫৪ সাল থেকে এ দেশে ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়ে এসেছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকারে ঘাটতি থাকলেও ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে এ দেশের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফলে নতুন করে সংসদ নির্বাচনের জন্য আলোচনার যে তাগিদ বিভিন্ন মহল থেকে দেয়া হচ্ছে, তা উপেক্ষা করা হবে ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করব, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকার আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সঙ্কট নিরসনে দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।
No comments