পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ আসলে আউয়াল লীগ!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে, ২৩ বছর আগে
সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের। বর্তমানে যে ৩ জন নেতা
দল চালাচ্ছেন তারাও পদ আঁকড়ে আছেন টানা এক যুগ ধরে। পাশাপাশি প্রায় ১৬ বছর
ধরে এখানে নেই আওয়ামী লীগের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি। বর্তমানে দেশের প্রায়
সব কটি জেলায় আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন চললেও এই
জেলায় হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আবার হলেও তা কতটুকু গণতান্ত্রিক হবে
সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেননা গত এক যুগের অভিজ্ঞতায় এটি এখন প্রমাণিত
যে, পিরোজপুরে সাংগঠনিক ধারায় চলে না আওয়ামী লীগ। এখানে দল চলে স্থানীয়
সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের মর্জিতে। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ এখানে মূল দল এবং
অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব। প্রায় সব কটি শীর্ষ পদে বসে আছেন এমপি
আউয়াল ও তার পরিবারের সদস্যরা। যেন তিনি ও তার পরিবার ছাড়া দলে আর যোগ্য
কোনো নেতা নেই। এমপি আউয়াল অবশ্য এসব অভিযোগ স্বীকার করেননি। সব অপপ্রচার
বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯১ সালে। ডা. ক্ষিতিশ চন্দ মণ্ডলকে সভাপতি ও একেএমএ আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত ওই কমিটিই ছিল জেলার সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ১৯৯৫ সালে ওই কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্র। প্রায় ৩ বছর কমিটিবিহীন থাকার পর ১৯৯৮ সালে চণ্ডিচরণ পালকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। ২০০১ সালের নির্বাচনে জেলার সব কটি আসনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়ে চণ্ডিচরণ পদত্যাগ করেন। ২০০২ সালে সুধাংশু শেখর হালদারকে সভাপতি, একেএমএ আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক এবং আকরাম হোসেন ও হাকিম হাওলাদারকে সহ-সভাপতি করে ৪ জনের একটি কমিটি করে কেন্দ্র। এই ৪ জনকে দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি করার দায়িত্ব। কেন্দ্র থেকে এই কমিটি করে দেয়ার মাত্র ২ বছরের মাথায় (২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর) পরলোকগমন করেন বর্ষীয়ান নেতা সুধাংশু শেখর। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান আকরাম হোসেন। সেই থেকে আজ অবধি টানা ১২ বছর ধরে নেতৃত্বে রয়ে গেছেন একই মুখ। সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। অবশ্য কেউ বলতে এখানে সদর আসনের এমপি আউয়ালকেই বোঝেন সবাই। কেননা পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি বলতে তিনিই শুরু, তিনিই শেষ কথা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দল তথা জনপ্রতিনিধির পদ, সবকিছুতেই একক নিয়ন্ত্রণ এমপি আউয়ালের। কোনো ধরনের সম্মেলন ছাড়াই স্ত্রী লায়লা ইরাদকে বানিয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাস মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন ছোট ভাই মশিউর রহমান মহারাজ। মাত্র কদিন আগে সম্পন্ন পিরোজপুর সদর উপজেলার তথাকথিত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক করেন ভাগ্নে তোফাজ্জেল হোসেন খানকে। পিরোজপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সোহাগ তার ভাতিজা। আগামী সম্মেলনে ছোট ভাই মহারাজকে জেলা যুবলীগের সভাপতি করবেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এমপি আউয়ালের আরেক ভাই আবদুল মালেক পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র। মেজ ভাই মজিবর রহমান খালেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। তিনি যখন কোনো কাজে দেশের বাইরে যান তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অঘোষিত দায়িত্বে থাকেন খালেক। মাঝে এমন গুঞ্জনও উঠেছিল যে, জেলা পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেনকে সরিয়ে নিজের আরেক ভাইকে বসানোর চেষ্টা করছেন আউয়াল। পরে অবশ্য বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে গেলে থেমে যায় সেই লবিং।
এমপি আউয়াল কোনো কিছু হারানোর ঝুঁকি নিতে চান না বলেই বছরের পর পিরোজপুরের জেলা সম্মেলন আটকে আছে বলে সবার ধারণা। তবে এবার যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সব জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার তখন পিরোজপুরেও সম্মেলন হবে এই আশায় বুক বেঁধেছেন সবাই। যদিও এ ব্যাপারে এমপি আউয়ালের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। মাঝে একবার সম্মেলন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণের জন্য একটি দায়সারা চিঠি কেন্দ্রকে দেন আউয়াল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তার তেমন প্রচেষ্টা না থাকায় কিছুই হয়নি। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সম্মেলন। ভোলায় সম্মেলন নিয়ে চলছে তোড়জোড়। বরিশালের কমিটি এখনও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু সবকিছুই থেমে যায় পিরোজপুরে এসে। চলতি ডিসেম্বরে এখানে সম্মেলন হবে এমন একটা আলোচনা থাকলেও অনেকেই বলছেন, তেমন হলে আরও আগেই নির্ধারণ হয়ে যেত তারিখ।
অবশ্য এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে কিছু অন্য আলোচনাও রয়েছে। জেলা সম্মেলন মানেই কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের পিরোজপুরে উপস্থিতি। সেক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছামতো কমিটি করা শেষ পর্যন্ত সম্ভব নাও হতে পারে। এ কারণেই হয়তো বুঝেশুনে এগোতে চাইছেন আউয়াল। আবার কেউ কেউ বলছেন, নিজের পছন্দমতো কেন্দ্রীয় মেহমান আনার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে মুখ খুলবেন না তিনি। আর এসবের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি নিজ পরিবার নিদেনপক্ষে নিজের লোকজনের মধ্যে রাখা।
পিরোজপুরের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রনেতা এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না বলেন, কোনো প্রকার ভোটাভুটি কিংবা কাউন্সিলরদের মতামত ছাড়াই জেলার ৫ উপজেলায় নিজের লোকজন দিয়ে কমিটি বানিয়েছেন তিনি। এসবের একটাই টার্গেট। জেলার কাউন্সিলে নির্বাচন হলে যাতে এদের ভোটগুলো তার (এমপি আউয়াল) নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা সবাই চাই পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হোক। কিন্তু উনি যেভাবে তার পরিবার আর নিজের লোকজনকে ধরে ধরে কাউন্সিলর বানাচ্ছেন তাতে কতটুকু নির্ভরযোগ্য সম্মেলন করা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া সেই সম্মেলন গণতান্ত্রিকও হবে না।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে এমপি আউয়াল বলেন, ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কে কি বলল না বলল তাতে পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কিছু আসে যায় না। আমরা যারা মাঠে ময়দানে থাকি তারাই দলের চালিকাশক্তি। পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আমরা গঠনতান্ত্রিক পন্থায় নতুন কমিটি গঠনসহ দলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করব। গাছে কাঁঠাল আর গোঁফে তেল দিয়ে কোনো লাভ নেই। আগে সম্মেলন হোক। তাতে যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে তারপর যেন তারা অভিযোগ দিতে আসে। উপজেলা সম্মেলনে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে দলের জন্য তাদের ত্যাগের বিষয়টি আগে দেখে নিন। তারা নিরাপদে বসে বুলি কপচায় না। মাঠের রাজনীতিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে। আগে সম্মেলন হোক তারপর দেখুন কর্মীরা যা চায় তা হয়েছে কিনা।
পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯১ সালে। ডা. ক্ষিতিশ চন্দ মণ্ডলকে সভাপতি ও একেএমএ আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত ওই কমিটিই ছিল জেলার সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ১৯৯৫ সালে ওই কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্র। প্রায় ৩ বছর কমিটিবিহীন থাকার পর ১৯৯৮ সালে চণ্ডিচরণ পালকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। ২০০১ সালের নির্বাচনে জেলার সব কটি আসনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়ে চণ্ডিচরণ পদত্যাগ করেন। ২০০২ সালে সুধাংশু শেখর হালদারকে সভাপতি, একেএমএ আউয়ালকে সাধারণ সম্পাদক এবং আকরাম হোসেন ও হাকিম হাওলাদারকে সহ-সভাপতি করে ৪ জনের একটি কমিটি করে কেন্দ্র। এই ৪ জনকে দেয়া হয় পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি করার দায়িত্ব। কেন্দ্র থেকে এই কমিটি করে দেয়ার মাত্র ২ বছরের মাথায় (২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর) পরলোকগমন করেন বর্ষীয়ান নেতা সুধাংশু শেখর। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান আকরাম হোসেন। সেই থেকে আজ অবধি টানা ১২ বছর ধরে নেতৃত্বে রয়ে গেছেন একই মুখ। সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। অবশ্য কেউ বলতে এখানে সদর আসনের এমপি আউয়ালকেই বোঝেন সবাই। কেননা পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি বলতে তিনিই শুরু, তিনিই শেষ কথা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দল তথা জনপ্রতিনিধির পদ, সবকিছুতেই একক নিয়ন্ত্রণ এমপি আউয়ালের। কোনো ধরনের সম্মেলন ছাড়াই স্ত্রী লায়লা ইরাদকে বানিয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাস মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন ছোট ভাই মশিউর রহমান মহারাজ। মাত্র কদিন আগে সম্পন্ন পিরোজপুর সদর উপজেলার তথাকথিত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক করেন ভাগ্নে তোফাজ্জেল হোসেন খানকে। পিরোজপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সোহাগ তার ভাতিজা। আগামী সম্মেলনে ছোট ভাই মহারাজকে জেলা যুবলীগের সভাপতি করবেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এমপি আউয়ালের আরেক ভাই আবদুল মালেক পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র। মেজ ভাই মজিবর রহমান খালেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। তিনি যখন কোনো কাজে দেশের বাইরে যান তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অঘোষিত দায়িত্বে থাকেন খালেক। মাঝে এমন গুঞ্জনও উঠেছিল যে, জেলা পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেনকে সরিয়ে নিজের আরেক ভাইকে বসানোর চেষ্টা করছেন আউয়াল। পরে অবশ্য বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে গেলে থেমে যায় সেই লবিং।
এমপি আউয়াল কোনো কিছু হারানোর ঝুঁকি নিতে চান না বলেই বছরের পর পিরোজপুরের জেলা সম্মেলন আটকে আছে বলে সবার ধারণা। তবে এবার যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সব জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার তখন পিরোজপুরেও সম্মেলন হবে এই আশায় বুক বেঁধেছেন সবাই। যদিও এ ব্যাপারে এমপি আউয়ালের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। মাঝে একবার সম্মেলন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণের জন্য একটি দায়সারা চিঠি কেন্দ্রকে দেন আউয়াল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তার তেমন প্রচেষ্টা না থাকায় কিছুই হয়নি। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সম্মেলন। ভোলায় সম্মেলন নিয়ে চলছে তোড়জোড়। বরিশালের কমিটি এখনও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু সবকিছুই থেমে যায় পিরোজপুরে এসে। চলতি ডিসেম্বরে এখানে সম্মেলন হবে এমন একটা আলোচনা থাকলেও অনেকেই বলছেন, তেমন হলে আরও আগেই নির্ধারণ হয়ে যেত তারিখ।
অবশ্য এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে কিছু অন্য আলোচনাও রয়েছে। জেলা সম্মেলন মানেই কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের পিরোজপুরে উপস্থিতি। সেক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছামতো কমিটি করা শেষ পর্যন্ত সম্ভব নাও হতে পারে। এ কারণেই হয়তো বুঝেশুনে এগোতে চাইছেন আউয়াল। আবার কেউ কেউ বলছেন, নিজের পছন্দমতো কেন্দ্রীয় মেহমান আনার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে মুখ খুলবেন না তিনি। আর এসবের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি নিজ পরিবার নিদেনপক্ষে নিজের লোকজনের মধ্যে রাখা।
পিরোজপুরের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রনেতা এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না বলেন, কোনো প্রকার ভোটাভুটি কিংবা কাউন্সিলরদের মতামত ছাড়াই জেলার ৫ উপজেলায় নিজের লোকজন দিয়ে কমিটি বানিয়েছেন তিনি। এসবের একটাই টার্গেট। জেলার কাউন্সিলে নির্বাচন হলে যাতে এদের ভোটগুলো তার (এমপি আউয়াল) নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা সবাই চাই পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হোক। কিন্তু উনি যেভাবে তার পরিবার আর নিজের লোকজনকে ধরে ধরে কাউন্সিলর বানাচ্ছেন তাতে কতটুকু নির্ভরযোগ্য সম্মেলন করা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া সেই সম্মেলন গণতান্ত্রিকও হবে না।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে এমপি আউয়াল বলেন, ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কে কি বলল না বলল তাতে পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কিছু আসে যায় না। আমরা যারা মাঠে ময়দানে থাকি তারাই দলের চালিকাশক্তি। পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আমরা গঠনতান্ত্রিক পন্থায় নতুন কমিটি গঠনসহ দলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করব। গাছে কাঁঠাল আর গোঁফে তেল দিয়ে কোনো লাভ নেই। আগে সম্মেলন হোক। তাতে যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে তারপর যেন তারা অভিযোগ দিতে আসে। উপজেলা সম্মেলনে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে দলের জন্য তাদের ত্যাগের বিষয়টি আগে দেখে নিন। তারা নিরাপদে বসে বুলি কপচায় না। মাঠের রাজনীতিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে। আগে সম্মেলন হোক তারপর দেখুন কর্মীরা যা চায় তা হয়েছে কিনা।
No comments