থমথমে ইবি শিক্ষার্থীদের হলত্যাগ by দেলোয়ার মানিক
গাড়ি চাপায় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নির্বিচারে গাড়ি পোড়ানোর জের ধরে ক্যাম্পাসে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০০০ আবাসিক শিক্ষার্থী। বন্ধ ঘোষণা করার পর ছেলে ও মেয়েদের উভয়কে সোমবার সকাল দশটার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ৫টি পরিবহন সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এবং পরিবহন শ্রমিকদের আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে হলে ফিরেছে পরে তারা। সোমবার সকাল থেকে ৬টি হলের শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু ক্যাম্পাসের বাইরে বের হয়েই পরিবহন শ্রমিকদের হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার হন তারা। এরপর সকাল দশটার দিকে আবার হলে ফিরতে শুরু করে তারা। ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে লাঞ্ছিত ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে মারাত্মক দুর্ভোগ আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাঁচ সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের ফলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে রোববারের ঘটনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হামলা, সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার জনকে আসামি করে ইবি পুলিশ একটি মামলা করেছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, খুব সকালে যে সব শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। তারা আরও জানান, শিক্ষার্থীরা ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ইজিবাইকে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের বিভিন্ন রুটে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছে পরিবহন শ্রমিকরা। সাদ্দাম হলের ছাত্র ছাইফুর জানান, সকালে হল ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসের গেইট পেরিয়ে বাইরে যেতেই সঙ্গে থাকা ল্যাপটপটি একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে এসে ঘেরাও করে ধরে ছিনিয়ে নিয়েছে। শিক্ষার্থী নাজমা খানম জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাবে সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। খালেদা জিয়া হলের ছাত্রী জেসমিন বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে গেলেই পরিবহন ধর্মঘটীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কায় ভুগছে ছাত্রছাত্রীরা। ফলে ক্যাম্পাস ছাড়তে পারছে না তারা। এদিকে বন্ধ ঘোষণা করায় হলের ডাইনিংও বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাড়ি ফেরায় প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত স্বীকার করে নিয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান জানালেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে হল ছেড়ে বাড়ি ফিরতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাদের হল ছাড়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম জানান, হলত্যাগী ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফেরার পথে পরিবহন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে শুনেছি তবে তারা পরিবহন ধর্মঘটকারীদের দ্বারা হামলা বা আক্রমণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে ক্যাম্পাসে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাঁচ সংগঠন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে কুষ্টিয়া থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না আবার কোন গাড়ি ঢুকতেও দেয়া হচ্ছে না। ফলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সকালে সরকারি দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জেলার বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেও সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়। এসময় জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু দাবি করেন, এ হামলায় তাদের ৪ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার লিমন রায় জানান, রোববারের সহিংস ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। তার দাবি ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহগামী একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করে। বাসচালক অপ্রত্যাশিত ভাবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে টিটু রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর’ পরিবহন (ঝিনাইদহ-ব-১১-০০১) নামে একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ধাক্কায় গলা ছিঁড়ে ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থী মৃত্যুর সংবাদ মুহূর্তে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাড়ি ফেরায় প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত স্বীকার করে নিয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান জানালেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে হল ছেড়ে বাড়ি ফিরতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাদের হল ছাড়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম জানান, হলত্যাগী ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফেরার পথে পরিবহন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে শুনেছি তবে তারা পরিবহন ধর্মঘটকারীদের দ্বারা হামলা বা আক্রমণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে ক্যাম্পাসে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাঁচ সংগঠন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে কুষ্টিয়া থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না আবার কোন গাড়ি ঢুকতেও দেয়া হচ্ছে না। ফলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সকালে সরকারি দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জেলার বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেও সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়। এসময় জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু দাবি করেন, এ হামলায় তাদের ৪ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার লিমন রায় জানান, রোববারের সহিংস ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। তার দাবি ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাসের ঝিনাইদহগামী একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করে। বাসচালক অপ্রত্যাশিত ভাবে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে টিটু রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগামী ‘সাগর’ পরিবহন (ঝিনাইদহ-ব-১১-০০১) নামে একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ধাক্কায় গলা ছিঁড়ে ঘটনাস্থলেই ওই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থী মৃত্যুর সংবাদ মুহূর্তে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
No comments