৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ আদালতের
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকা
গুলশান-বনানীতে মিনিবার ও রেস্টুরেন্টে লাইসেন্সবিহীন মদ, বিয়ার অ্যালকোহল
কেনাবেচা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই
সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন মদ, বিয়ার, অ্যালকোহল বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে করা এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি
শেষে সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান
সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকার (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ডিজি ও পরিচালকের প্রতি এ আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে বনানী-গুলশানে ৪০ মিনিবার শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এই রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, গুলশান ও বনানী থানার ওসি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও যুগান্তর সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায় গুলশান-বনানীতে লাইসেন্স ছাড়া মদ, বিয়ার ও অ্যালকোহল কেনাবেচা চলার কারণে যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, যা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে। এমনকি এসব ক্ষেত্রে লাইসেন্স নেয়ার বিধান থাকলেও তা নেয়া হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন মদ, বিয়ার, অ্যালকোহল বিক্রি করলে শাস্তির বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। আদালত শুনানি শেষে উল্লিখিত আদেশের পাশাপাশি একটি রুলও জারি করেছেন।
কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালত ২৩ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য যুগান্তর সম্পাদককে একটি এফিডেভিট দাখিল করতে বলেছেন।
যুগান্তরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান-বনানীর বেশির ভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিণত হয়েছে মিনিবারে। অনুমোদন ছাড়া বেআইনিভাবে এসব হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বিদেশী ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার। কিন্তু এসব অপরাধ দমনে যাদের এগিয়ে আসার কথা তারা এক রকম নির্বিকার। শুধু মাসোয়ারা তোলার জন্য হোটেলগুলোর তালিকা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তালিকা ধরে ৪০টি হোটেল থেকে প্রতি মাসে এ চক্রের অলিখিত ঘুষের পরিমাণ অন্তত অর্ধকোটি টাকা। আর এতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকার (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ডিজি ও পরিচালকের প্রতি এ আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে বনানী-গুলশানে ৪০ মিনিবার শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এই রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, গুলশান ও বনানী থানার ওসি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও যুগান্তর সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায় গুলশান-বনানীতে লাইসেন্স ছাড়া মদ, বিয়ার ও অ্যালকোহল কেনাবেচা চলার কারণে যুব সমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, যা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে। এমনকি এসব ক্ষেত্রে লাইসেন্স নেয়ার বিধান থাকলেও তা নেয়া হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন মদ, বিয়ার, অ্যালকোহল বিক্রি করলে শাস্তির বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। আদালত শুনানি শেষে উল্লিখিত আদেশের পাশাপাশি একটি রুলও জারি করেছেন।
কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালত ২৩ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য যুগান্তর সম্পাদককে একটি এফিডেভিট দাখিল করতে বলেছেন।
যুগান্তরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান-বনানীর বেশির ভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিণত হয়েছে মিনিবারে। অনুমোদন ছাড়া বেআইনিভাবে এসব হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বিদেশী ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার। কিন্তু এসব অপরাধ দমনে যাদের এগিয়ে আসার কথা তারা এক রকম নির্বিকার। শুধু মাসোয়ারা তোলার জন্য হোটেলগুলোর তালিকা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তালিকা ধরে ৪০টি হোটেল থেকে প্রতি মাসে এ চক্রের অলিখিত ঘুষের পরিমাণ অন্তত অর্ধকোটি টাকা। আর এতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
No comments