সিলেটে অস্ত্রের ভাণ্ডার সন্ত্রাসীরা অধরা
সিলেট নগরীতে প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক
অস্ত্রের মহড়া হলেও অস্ত্রভাণ্ডার এখনও অক্ষত রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দলীয়
ক্যাডাররা একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া দিয়ে নগরীতে
আতংক ছড়িয়েছেন। অথচ এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃংখলা বাহিনীর কোনো
গরজ নেই। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে বিরাজ
করছে আতংক। মাঝে মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনী লোকদেখানো কিছু অস্ত্র উদ্ধার
করলেও একটিও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি এসব অস্ত্রবাজের
অস্ত্রসহ ছবি আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে থাকলেও রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেফতার
করা হচ্ছে না। আবার কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও তাদের হেফাজতে থাকা অস্ত্র
উদ্ধার করেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার
(মিডিয়া) রহমত উল্লাহ দাবি করেন, ইতিমধ্যে বেশকিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা
হয়েছে। তারপরও যখনই অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অভিযান
চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সিলেটে
যোগদানের পর অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি থানা পুলিশ গত ৩ বছরে উদ্ধার করেছে বিভিন্ন ধরনের মাত্র ২৩টি অস্ত্র ও ৯৮ রাউন্ড গুলি। কিন্তু একটিও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই জংধরা এবং পরিত্যক্ত। অথচ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণবিরোধী আন্দোলন, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন সংঘর্ষে প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করেছে নগরবাসী। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় আম্বরখানা এলাকাসহ গোটা সিলেটবাসী বিস্মিত হলেও তৎকালীন ক্ষমতাধরদের চাপের মুখে পুলিশ পরদিন অপব্যাখ্যা করে প্রেসনোট দেয়। এছাড়া নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া দেয় সন্ত্রাসীরা। এমনকি পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, তাওরাস রিভলবার, ৭.৫ পিস্তল, সি-জেড পিস্তল, ওয়েবলি রিভলবার, ৩.২ উইলসন রিভলবার, ভাস্কো পিস্তল ৭.৫, নাইন এমএম পিস্তল, চাইনিজ রাইফেল, অটো শাটারগান, শাটারগান, কাটা রাইফেল, ডাবল ব্যারেল বন্দুক, সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক প্রভৃতি। এসব অস্ত্রের একটিও উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের গডফাদাররা ক্ষমতাধর হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।
জানা গেছে, এসব সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ ও চাঁদাবাজদের অনেকেই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট। আবার অনেকে পেশাদার। সিলেটের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণকারী এ ধরনের ২৮ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের নামের তালিকা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে ১৫২ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের তালিকা তৈরি করে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যদিও এ তালিকাটি অনেক পুরনো। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অনেকেই দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। আবার অনেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে গত ৩ বছরে সিলেট নগরী থেকে বিভিন্ন ধরনের ২৩টি অস্ত্র ও ৯৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসএমপির অধীনস্থ ৬টি থানা এলাকা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ২০১২ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ৭টি অস্ত্র, ২০১৩ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি অস্ত্র, ৭৬ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য ৮টি অস্ত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন দলীয় সরকারের আমলে ব্যবহৃত ও মজুদ থাকা অস্ত্রভাণ্ডার এখনও অক্ষত রয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর সেসব অস্ত্র মজুদের ঠিকানা পাল্টে নগরীর অস্ত্র চলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামে। ফলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তেমন কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা বিধান কুমার সাহাকে আটকের মাধ্যমে একে-৫৬সহ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমান দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফের অস্ত্রগুলো শহরে চলে আসে। এরমধ্যে অধিকাংশ অস্ত্রই এখন শাসকদলের ক্যাডারদের হাতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও তার আশপাশ এলাকা, নগরীর আবাসিক কলোনি এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্র দিয়েই নগরীতে খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এসব অপকর্মের মূল হোতাদের গ্রেফতার করছে না আইনশৃংখলা বাহিনী। ফলে, দলীয় সরকার ও চলমান পরিস্থিতিতেও তারা এখনও নিরাপদে রয়ে গেছে। পর পর দু’বার ক্ষমতায় যাওয়ার পর সরকারদলীয় ক্যাডাররা এখন অনেকটা বেপরোয়া। ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া চালানো হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি থানা পুলিশ গত ৩ বছরে উদ্ধার করেছে বিভিন্ন ধরনের মাত্র ২৩টি অস্ত্র ও ৯৮ রাউন্ড গুলি। কিন্তু একটিও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই জংধরা এবং পরিত্যক্ত। অথচ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণবিরোধী আন্দোলন, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন সংঘর্ষে প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করেছে নগরবাসী। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় আম্বরখানা এলাকাসহ গোটা সিলেটবাসী বিস্মিত হলেও তৎকালীন ক্ষমতাধরদের চাপের মুখে পুলিশ পরদিন অপব্যাখ্যা করে প্রেসনোট দেয়। এছাড়া নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া দেয় সন্ত্রাসীরা। এমনকি পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, তাওরাস রিভলবার, ৭.৫ পিস্তল, সি-জেড পিস্তল, ওয়েবলি রিভলবার, ৩.২ উইলসন রিভলবার, ভাস্কো পিস্তল ৭.৫, নাইন এমএম পিস্তল, চাইনিজ রাইফেল, অটো শাটারগান, শাটারগান, কাটা রাইফেল, ডাবল ব্যারেল বন্দুক, সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক প্রভৃতি। এসব অস্ত্রের একটিও উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের গডফাদাররা ক্ষমতাধর হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।
জানা গেছে, এসব সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ ও চাঁদাবাজদের অনেকেই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট। আবার অনেকে পেশাদার। সিলেটের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণকারী এ ধরনের ২৮ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের নামের তালিকা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে ১৫২ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের তালিকা তৈরি করে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যদিও এ তালিকাটি অনেক পুরনো। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অনেকেই দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। আবার অনেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে গত ৩ বছরে সিলেট নগরী থেকে বিভিন্ন ধরনের ২৩টি অস্ত্র ও ৯৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসএমপির অধীনস্থ ৬টি থানা এলাকা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ২০১২ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ৭টি অস্ত্র, ২০১৩ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি অস্ত্র, ৭৬ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য ৮টি অস্ত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন দলীয় সরকারের আমলে ব্যবহৃত ও মজুদ থাকা অস্ত্রভাণ্ডার এখনও অক্ষত রয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর সেসব অস্ত্র মজুদের ঠিকানা পাল্টে নগরীর অস্ত্র চলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামে। ফলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তেমন কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা বিধান কুমার সাহাকে আটকের মাধ্যমে একে-৫৬সহ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমান দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফের অস্ত্রগুলো শহরে চলে আসে। এরমধ্যে অধিকাংশ অস্ত্রই এখন শাসকদলের ক্যাডারদের হাতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও তার আশপাশ এলাকা, নগরীর আবাসিক কলোনি এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্র দিয়েই নগরীতে খুন, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। কিন্তু এসব অপকর্মের মূল হোতাদের গ্রেফতার করছে না আইনশৃংখলা বাহিনী। ফলে, দলীয় সরকার ও চলমান পরিস্থিতিতেও তারা এখনও নিরাপদে রয়ে গেছে। পর পর দু’বার ক্ষমতায় যাওয়ার পর সরকারদলীয় ক্যাডাররা এখন অনেকটা বেপরোয়া। ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া চালানো হয়।
No comments