আরিফের নাম প্রত্যাহারে সিলেটে সিরিজ কর্মসূচি by ওয়েছ খছরু
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার দাবিতে সিলেটের রাজপথের আন্দোলন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আত্মগোপনে থাকা মেয়র আরিফকে নগরভবনে ফিরিয়ে আনতে সিটি কাউন্সিলর, পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সিলেটে চালানো হচ্ছে নানা কর্মসূচি। দেয়া হচ্ছে হরতালের হুমকি। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের পক্ষকাল ব্যাপী কর্মসূচি প্রায় শেষ প্রান্তে। এখন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সিটি কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, মেয়র আরিফকে প্রায় নতুন করে চার্জশিটভুক্ত করায় তারা যে কর্মসূচি পালন করেছেন তাতে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এ কারণে তারা হরতালসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির চিন্তা-ভাবনা করছেন। আর সিলেটের পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, নতুন করে মেয়র আরিফকে চার্জশিটভুক্ত করার প্রক্রিয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা চলছে। এ কারণে তারা বিষয়টিকে রাজনীতির বাইরে মানতে নারাজ। মামলায় চার্জশিটভুক্ত হওয়ার পর গত ২০ দিন ধরে কোথায় আছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তা বলতে পারছেন না কেউ। মেয়র আরিফের ঘনিষ্ঠসূত্রগুলো দাবি করছে, মেয়র আরিফকে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে তিনি নগরভবনে যাচ্ছেন না। এ অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমও। মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা ও মহানগর হকার্স দল গতকাল সোমবার সিটি কর্পোরেশনের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে এক সমাবেশ করে। মহানগর হকার্স দলের সভাপতি আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খোকন ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান, সহ-সভাপতি আহাদ মিয়া, ইসমাইল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চান মিয়া। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর হকার্স দলের সহসভাপতি ইলিয়াছ মিয়া, হেলাল মিয়া, রফিক মিয়া, খোকন আহমদ, ফরিদ মিয়া, মহানগর হকার্স দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক মিয়া, সালেক মিয়া, কিতাব আলী, বাহারুল ইসলাম, জাবেদ আহমদ, মহানগর হকার্স দলের সহসাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, ফকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ফয়ছল আহমদ, মনু মিয়া, নজরুল মিয়া, সাজু মিয়া, মহারাজ, রুবেল আহমদ, আবদুস সালাম, ইমন আহমদ, জুমন আহমদ, নাসির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন দেলু, ফারুক আহমদ, শেখ রফিক, ইমাম আলী, আউয়াল মিয়া প্রমুখ।
আলোর মিছিলে পুলিশের বাধা, আন্দোলনের হুমকি : পুলিশি বাধার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে আলোর মিছিল করতে পারলেন না সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সিটি কাউন্সিলররা এই আলোর মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। রোববার রাতে নগরভবন থেকে আলোর মিছিলটি বের করার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান ফটকে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ-কাউন্সিলর বাকবিত-া চলে। পুলিশের বাধার কারণে সিটি পয়েন্টে তাৎক্ষণিক সমাবেশ করেন সিটি কাউন্সিলররা। এ সময় কাউন্সিলররা বলেন, এ কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররাসহ সর্বস্তরের সিলেটবাসী অংশ নিয়েছেন। এটা দলীয় কোন কর্মসূচি নয়। এরপরও এ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া দুঃখজনক। কাউন্সিলররা বলেন, আরিফুল হক চৌধুরীর নাম চার্জশিট থেকে বাদ না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা বলেন, আমরা কাউন্সিলররা বসে যদি হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করি- তাহলে নগরীতে একটি যানবাহনও চলবে না। সিলেটকে প্রয়োজনে অচল করে দিতে পারবো। পুলিশের এই ন্যক্কারজনক ভূমিকা অব্যাহত থাকলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কাউন্সিলররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট ছালেহ আহমদ চৌধুরী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মুহিত জাবেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন সজীব, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রকিব তুহিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল জলিল নজরুল, সংরক্ষিত ৩ আসনের কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সংরক্ষিত ৪ আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগম রুমি, সংরক্ষিত ৫ আসনের কাউন্সিলর দিবা রাণী দে, সংরক্ষিত ৮ আসনের কাউন্সিলর সালেহা কবীর শেপী, সংরক্ষিত ৯ আসনের কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজসহ আরও অনেকে। এদিকে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ছালেহ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলররা। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আগে থেকে পুলিশ কমিশনার বরাবর অবগত করার পরও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশের কর্মকর্তা কাউন্সিলরদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে তিনি এই অশুভ কর্মকা- শুরু করেছেন তা রহস্যজনক।
আলোর মিছিলে পুলিশের বাধা, আন্দোলনের হুমকি : পুলিশি বাধার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে আলোর মিছিল করতে পারলেন না সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সিটি কাউন্সিলররা এই আলোর মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। রোববার রাতে নগরভবন থেকে আলোর মিছিলটি বের করার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান ফটকে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ-কাউন্সিলর বাকবিত-া চলে। পুলিশের বাধার কারণে সিটি পয়েন্টে তাৎক্ষণিক সমাবেশ করেন সিটি কাউন্সিলররা। এ সময় কাউন্সিলররা বলেন, এ কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররাসহ সর্বস্তরের সিলেটবাসী অংশ নিয়েছেন। এটা দলীয় কোন কর্মসূচি নয়। এরপরও এ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া দুঃখজনক। কাউন্সিলররা বলেন, আরিফুল হক চৌধুরীর নাম চার্জশিট থেকে বাদ না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা বলেন, আমরা কাউন্সিলররা বসে যদি হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করি- তাহলে নগরীতে একটি যানবাহনও চলবে না। সিলেটকে প্রয়োজনে অচল করে দিতে পারবো। পুলিশের এই ন্যক্কারজনক ভূমিকা অব্যাহত থাকলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কাউন্সিলররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট ছালেহ আহমদ চৌধুরী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মুহিত জাবেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন সজীব, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রকিব তুহিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল জলিল নজরুল, সংরক্ষিত ৩ আসনের কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সংরক্ষিত ৪ আসনের কাউন্সিলর আমেনা বেগম রুমি, সংরক্ষিত ৫ আসনের কাউন্সিলর দিবা রাণী দে, সংরক্ষিত ৮ আসনের কাউন্সিলর সালেহা কবীর শেপী, সংরক্ষিত ৯ আসনের কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজসহ আরও অনেকে। এদিকে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ছালেহ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলররা। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আগে থেকে পুলিশ কমিশনার বরাবর অবগত করার পরও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশের কর্মকর্তা কাউন্সিলরদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে তিনি এই অশুভ কর্মকা- শুরু করেছেন তা রহস্যজনক।
No comments