যে কারণে নিকৃষ্টতম উ. কোরিয়া
জাতিসংঘ চলতি মাসে উত্তর কোরিয়াকে
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলা নিয়ে একটি ভোটাভুটির
আয়োজন করবে। এর আগে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে
একটি খসড়া প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। একনায়ক কিম জং উনের সরকারকে মোকাবেলা
করতে হবে অনেক চ্যালেঞ্জ। এতে অবশ্য ভেটো দিতে পারে চীন ও রাশিয়া। তবে হেগে
দেশটির বিচার হোক বা না হোক- অভ্যন্তরীণভাবেই ক্ষয়ে যাচ্ছে দেশটি। সোমবার
টেলিগ্রাফ প্রকাশিত ছয়টি তথ্যে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ভেতর থেকে দেশটি বিশ্বের
নিকৃষ্টতম দেশ হয়ে উঠছে
১. দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় দু’দশক ধরে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া একই সমান্তরালে থেকে উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ১৯৭০ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়া দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার এনে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে এখন জি-২০ সদস্য হয়ে গেছে। অন্যদিকে একনায়কতান্ত্রিক কমিউনিস্ট শাসন চালিয়ে নিজেদের সামনে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনীতি ব্যানার টানিয়ে রেখেছে। কিন্তু জিডিপি মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশগুলো কাতারে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। ১৯৩ দেশের মধ্যে তার অবস্থান ১৮০তম। দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠী বা এক কোটি দুই লাখ মানুষ একেবারে ‘হতদরিদ্র’। ২. জীবন-মৃত্যু : দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় উত্তর কোরিয়ার মানুষ গড়ে ১২ বছর আগে মৃত্যুবরণ করে। দক্ষিণে যেখানে গড় আয়ু ৮১ বছর, সেখানে কিমের হারমিট সাম্রাজ্যে মাত্র ৬৯ বছর। ৩. ক্ষুধা : মারাত্মক খাদ্যঘাটতি উত্তর কোরিয়ার গড় আয়ু কমে যাওয়ার কারণ। ১৯৯০ দশকের এক মহামারিতে ৬-২৫ লাখ মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা গিয়েছিল। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণের খাবার পায় না।
৪. সামরিকায়ন : জনসংখ্যার হিসাবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীর দেশ উত্তর কোরিয়া। প্রায় ১২ লাখ সেনাসদস্য রয়েছে তাদের। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ জনগণ সক্রিয় সেনাসদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছে। যা এশিয়ার যে কোনো দেশের তুলনায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। ছেলেদের ১৭ বছর বয়স হলেই সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগ দিতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ বছর কাজ করতে হবে। মেয়েদের জন্য ৭ বছর। ৫. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : মুক্ত অর্থনীতি ও আর্থিক স্বাধীনতার দিক দিয়ে বৈশ্বিক সূচকের তলানিতে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর আইনের শাসন, শ্রমিক স্বাধীনতা, বাণিজ্য সুবিধা নেই বললেই চলে। ৬. দেশান্তর : ‘নিকৃষ্টতম’ শাসনব্যবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে পালাচ্ছে দেশটির অধিবাসীরা। যদিও কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বসিয়েছেন। আগের দু’বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রতিবছর দেশান্তরী হওয়ার সংখ্যা অন্তত ২ হাজার কমে গেছে। ১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ পালিয়ে দ. কোরিয়া, চীন, রাশিয়া ও জাপানে চলে গেছে।
১. দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় দু’দশক ধরে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া একই সমান্তরালে থেকে উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ১৯৭০ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়া দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার এনে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে এখন জি-২০ সদস্য হয়ে গেছে। অন্যদিকে একনায়কতান্ত্রিক কমিউনিস্ট শাসন চালিয়ে নিজেদের সামনে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনীতি ব্যানার টানিয়ে রেখেছে। কিন্তু জিডিপি মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশগুলো কাতারে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। ১৯৩ দেশের মধ্যে তার অবস্থান ১৮০তম। দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠী বা এক কোটি দুই লাখ মানুষ একেবারে ‘হতদরিদ্র’। ২. জীবন-মৃত্যু : দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় উত্তর কোরিয়ার মানুষ গড়ে ১২ বছর আগে মৃত্যুবরণ করে। দক্ষিণে যেখানে গড় আয়ু ৮১ বছর, সেখানে কিমের হারমিট সাম্রাজ্যে মাত্র ৬৯ বছর। ৩. ক্ষুধা : মারাত্মক খাদ্যঘাটতি উত্তর কোরিয়ার গড় আয়ু কমে যাওয়ার কারণ। ১৯৯০ দশকের এক মহামারিতে ৬-২৫ লাখ মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা গিয়েছিল। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণের খাবার পায় না।
৪. সামরিকায়ন : জনসংখ্যার হিসাবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীর দেশ উত্তর কোরিয়া। প্রায় ১২ লাখ সেনাসদস্য রয়েছে তাদের। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ জনগণ সক্রিয় সেনাসদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছে। যা এশিয়ার যে কোনো দেশের তুলনায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। ছেলেদের ১৭ বছর বয়স হলেই সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগ দিতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ বছর কাজ করতে হবে। মেয়েদের জন্য ৭ বছর। ৫. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : মুক্ত অর্থনীতি ও আর্থিক স্বাধীনতার দিক দিয়ে বৈশ্বিক সূচকের তলানিতে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর আইনের শাসন, শ্রমিক স্বাধীনতা, বাণিজ্য সুবিধা নেই বললেই চলে। ৬. দেশান্তর : ‘নিকৃষ্টতম’ শাসনব্যবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে পালাচ্ছে দেশটির অধিবাসীরা। যদিও কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বসিয়েছেন। আগের দু’বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রতিবছর দেশান্তরী হওয়ার সংখ্যা অন্তত ২ হাজার কমে গেছে। ১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ পালিয়ে দ. কোরিয়া, চীন, রাশিয়া ও জাপানে চলে গেছে।
No comments