মাঠ ভাঙাগড়ায় নষ্ট ৯শ কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ নির্মাণের
নামে ভাঙাগড়ায় সাত বছরে নষ্ট হয়েছে ৯শ’ কোটি টাকা। অথচ ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে
স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। মেলার
মাঠ নির্মাণের ব্যয় দিয়ে এ সময় তিনটি স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা যেত।
মাঠ নির্মাণের নামে অর্থ অপচয়ের মধ্যে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১শ’ কোটি টাকা।
বাকিটুকু গেছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পকেট থেকে।
স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে বিলম্বের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ- রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সদিচ্ছা ও চরম অবহেলার কারণে মূলত তা হচ্ছে না। ইপিবি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণের চেয়ে অস্থায়ী প্রাঙ্গণে মেলা আয়োজন করতে বেশি উৎসাহী। কারণ প্রতিবছর মেলার মাঠ নির্মাণ, স্টল বরাদ্দ, অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বড় ধরনের অনিয়মের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরও স্টল বরাদ্দের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে।
জানা গেছে, বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী ও দেশী-বিদেশী মেলার জন্য ২০০৭ সালে ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। রাজধানীর পূর্বাচলের চার নম্বর সেক্টরে এ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা। মোট ব্যয়ের মধ্যে চীনের আর্থিক সহায়তা হচ্ছে ২৬৫ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থায়ন হচ্ছে সরকারের।
কিন্তু প্রকল্পটি হাতে নেয়ার পর কেটে গেছে ৭ বছর। এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায়নি। কেন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে- জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ইউসুফ আলী যুগান্তরকে বলেন, স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে এ সমস্যা হয়। এখন জমি বন্দোবস্ত হয়েছে। আশা করি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এদিকে মেলার স্থায়ী প্রাঙ্গণ নির্মাণ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সের জন্য নতুন করে আরও ১০ একর জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখন মোট জমির পরিমাণ হচ্ছে ২০ একর। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। অস্থায়ী বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণের পেছনে বড় ধরনের টাকা নষ্টের বিষয়টি স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেলার জন্য একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স রয়েছে। এখন বাংলাদেশেও সেটি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছর বেসরকারি কোম্পানিগুলো স্টল, প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টল ও প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট, মেলার প্রধান গেট তৈরির পেছনে কমপক্ষে ১শ’ কোটি টাকা ব্যয় করছে। এ তথ্য বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ওই হিসাবে গত সাত বছরে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে মেলার পেছনে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো খাতে সরকারি ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা, ২০০৮ সালে ব্যয় হয় ৬ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকায়। ২০১০ সালে ১২ কোটি টাকা, ২০১১ সালে ১৫ কোটি টাকা, ২০১২ সালে ১৮ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ২০ কোটি টাকা ও ২০১৪ সালে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অর্থাৎ গত সাত বছরে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ ও অবকাঠামো তৈরির পেছনে।
এদিকে বাণিজ্য মেলা ঘিরে এত বড় ব্যয় হলেও এ তথ্য নিয়ে বড় ধরনের লুকোচুরি রয়েছে ইপিবিতে। সংশ্লিষ্ট শাখা ও বিভাগ মেলার ব্যয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। এমনকি এসব ব্যয়সংক্রান্ত তথ্যের অনেক ফাইল পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হয়েছে। যুগান্তরের পক্ষ থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণের ব্যয় সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয় ইপিবির সচিব ড. এএফএম মঞ্জুর কাদিরের কাছে। এ তথ্য সরবরাহের নামে তিনি এ প্রতিবেদককে ১৫ দিন অপেক্ষায় রাখেন। সর্বশেষ তথ্য সরবরাহের অপারগতা জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে অনেক ফাইল গায়েব করে দেয়া হয়। ফাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইপিবিতে নতুন নতুন কর্মকর্তা আসেন। অনেক পুরনো কর্মকর্তা যাওয়ার সময় মেলার ব্যয়সংক্রান্ত ফাইল পর্যন্ত গায়েব করে দেন। ফলে সব তথ্য একসঙ্গে দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণ ঘিরে বড় ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। এ অনিয়মের নেপথ্যে ইপিবির কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় মেলার মাঠ নির্মাণের বিভিন্ন ধরনের কাজ একটি চক্র ঘুরে ফিরে পেয়ে থাকে। যে কারণে এসব কর্মকর্তা দিনের পর দিন মেলা আয়োজনে কাজ করছে। অনেক সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা ইপিবির কর্মকর্তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও মন্ত্রণালয়ের অনেক নির্দেশ তোয়াক্কা না করে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে বিলম্বের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ- রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সদিচ্ছা ও চরম অবহেলার কারণে মূলত তা হচ্ছে না। ইপিবি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণের চেয়ে অস্থায়ী প্রাঙ্গণে মেলা আয়োজন করতে বেশি উৎসাহী। কারণ প্রতিবছর মেলার মাঠ নির্মাণ, স্টল বরাদ্দ, অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বড় ধরনের অনিয়মের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরও স্টল বরাদ্দের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে।
জানা গেছে, বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী ও দেশী-বিদেশী মেলার জন্য ২০০৭ সালে ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। রাজধানীর পূর্বাচলের চার নম্বর সেক্টরে এ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা। মোট ব্যয়ের মধ্যে চীনের আর্থিক সহায়তা হচ্ছে ২৬৫ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থায়ন হচ্ছে সরকারের।
কিন্তু প্রকল্পটি হাতে নেয়ার পর কেটে গেছে ৭ বছর। এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায়নি। কেন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে- জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ইউসুফ আলী যুগান্তরকে বলেন, স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে এ সমস্যা হয়। এখন জমি বন্দোবস্ত হয়েছে। আশা করি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এদিকে মেলার স্থায়ী প্রাঙ্গণ নির্মাণ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সের জন্য নতুন করে আরও ১০ একর জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখন মোট জমির পরিমাণ হচ্ছে ২০ একর। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। অস্থায়ী বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণের পেছনে বড় ধরনের টাকা নষ্টের বিষয়টি স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেলার জন্য একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স রয়েছে। এখন বাংলাদেশেও সেটি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছর বেসরকারি কোম্পানিগুলো স্টল, প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টল ও প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট, মেলার প্রধান গেট তৈরির পেছনে কমপক্ষে ১শ’ কোটি টাকা ব্যয় করছে। এ তথ্য বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ওই হিসাবে গত সাত বছরে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে মেলার পেছনে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো খাতে সরকারি ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা, ২০০৮ সালে ব্যয় হয় ৬ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকায়। ২০১০ সালে ১২ কোটি টাকা, ২০১১ সালে ১৫ কোটি টাকা, ২০১২ সালে ১৮ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ২০ কোটি টাকা ও ২০১৪ সালে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অর্থাৎ গত সাত বছরে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ ও অবকাঠামো তৈরির পেছনে।
এদিকে বাণিজ্য মেলা ঘিরে এত বড় ব্যয় হলেও এ তথ্য নিয়ে বড় ধরনের লুকোচুরি রয়েছে ইপিবিতে। সংশ্লিষ্ট শাখা ও বিভাগ মেলার ব্যয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। এমনকি এসব ব্যয়সংক্রান্ত তথ্যের অনেক ফাইল পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হয়েছে। যুগান্তরের পক্ষ থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণের ব্যয় সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয় ইপিবির সচিব ড. এএফএম মঞ্জুর কাদিরের কাছে। এ তথ্য সরবরাহের নামে তিনি এ প্রতিবেদককে ১৫ দিন অপেক্ষায় রাখেন। সর্বশেষ তথ্য সরবরাহের অপারগতা জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে অনেক ফাইল গায়েব করে দেয়া হয়। ফাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইপিবিতে নতুন নতুন কর্মকর্তা আসেন। অনেক পুরনো কর্মকর্তা যাওয়ার সময় মেলার ব্যয়সংক্রান্ত ফাইল পর্যন্ত গায়েব করে দেন। ফলে সব তথ্য একসঙ্গে দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অবকাঠামো নির্মাণ ঘিরে বড় ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। এ অনিয়মের নেপথ্যে ইপিবির কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় মেলার মাঠ নির্মাণের বিভিন্ন ধরনের কাজ একটি চক্র ঘুরে ফিরে পেয়ে থাকে। যে কারণে এসব কর্মকর্তা দিনের পর দিন মেলা আয়োজনে কাজ করছে। অনেক সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা ইপিবির কর্মকর্তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও মন্ত্রণালয়ের অনেক নির্দেশ তোয়াক্কা না করে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
No comments