সিন্ডিকেটের কব্জায় ভোজ্যতেলের বাজার by হামিদ বিশ্বাস
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে তা কমছে না। গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দর ছিল ৫৬ থেকে ৭১ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন মনে করে বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের দাম হওয়া উচিত প্রতি লিটার ৮৪ টাকা। অথচ বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১১১ থেকে ১১৩ টাকা পর্যন্ত। এতে ট্যারিফ কমিশনের দেয়া মতও উপেক্ষিত হচ্ছে। যেখানে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই মনে করেন, ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। দেশের ভোজ্যতেলের বাজার একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। অবশ্য ব্যবসায়ীরা এমনটি স্বীকার করেন না। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের দাম ৩৬ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ। অন্যদিকে অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে একই সময়ে কমেছে ৯ শতাংশ। দেশের বাজারে কমেছে ৭ শতাংশ। ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর প্রতি টন সয়াবিন তেলের সব খরচসহ আমদানি মূল্য (সিঅ্যান্ডএফ) ছিল ৯৪ হাজার ৬৪৩ টাকা (১১৯৮ ডলার)। চলতি বছরের একই সময়ে ৬০ হাজার ৫৪১ টাকায় (৭৬৬ ডলার) আমদানি হয়েছে। এক বছরে প্রতি টনে দাম কমেছে ৩৪ হাজার ১০২ টাকা। এর ফলে প্রতি লিটারে কমেছে ৩৪ টাকা। কিন্তু তার প্রতিফলন বাস্তবে নেই। এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন মানবজমিনকে জানান, এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সমপ্রতি একটি বৈঠক হয়েছে। যেখানে তেল আমদানিকারকদের বেশির ভাগই উপস্থিত ছিলেন। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তেলের একটি যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে কনজিউমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ভোজ্যতেলের বাজার। এ কারণে অতিরিক্ত মুনাফা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল মিলছে না। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দর বাড়ে, সঙ্গে সঙ্গে দেশেও দর বেড়ে যায়। তিনি বলেন, এ জন্য টিসিবি’র বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাদ্যপণ্য টিসিবি’র মাধ্যমে আমদানি করে কোম্পানিগুলোর কাছে সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একই সঙ্গে খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিলে অতি মুনাফার প্রবণতা কমবে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি ব্যয় ৬০ টাকা ৫৪ পয়সা। এর সঙ্গে পরিশোধনসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় প্রতি লিটারে ১৬ টাকা এবং বোতলবদ্ধ করতে খরচ ৭ টাকা। এতে প্রতি লিটারে দাম হওয়া উচিত ৮৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে মুনাফা করছে প্রায় ২৯ টাকা। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত করে কোন পরিবর্তন হয়নি। ভোজ্যতেলে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৬ টাকায়। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১২২ থেকে ১২৬ টাকা। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১৮ শতাংশ। গত বছরে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১০৪ থেকে ১০৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৮০ থেকে ৯৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আগের চড়া দামে আমদানি করা সয়াবিন তেলের এখনও যথেষ্ট মজুত রয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে একই হারে দাম কমছে না। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবের সঙ্গেও তাদের মতের ভিন্নতা রয়েছে। তাদের মতে, এখন প্রতি লিটার সয়াবিনে আমদানি ব্যয় ৬৬ টাকা। এর সঙ্গে লিটারের পরিশোধন ব্যয় ১৯ টাকা এবং বোতল ও আনুষঙ্গিক ব্যয় ১৫ টাকা। এর ফলে প্রতি লিটারে ১০০ টাকা খরচ পড়ছে। কোম্পানি মিলগেট থেকে ১০২ টাকায় প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। এখন ডিলারদের কমিশন ৫ টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কমিশন ৫ টাকা হারে দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি লিটারের খুচরা মূল্য ১১২ টাকা পড়ছে। ভোজ্যতেলের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিলগেট থেকে তেল কিনছেন বলে দাবি করেন। তারা বলেন, দেশের বাজারে খোলা তেল বেশি বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের বিক্রি খুবই কম। অন্যদিকে শীতকাল হওয়ায় তেলের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে এখন বোতলবদ্ধ সুপার পাম, রাইস ব্রান ও সানফ্লাওয়ার তেল বিক্রি হচ্ছে। এসব তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বোতলবদ্ধ সয়াবিন বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে এখন অযৌক্তিক ভাবে বাড়তি দামে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের আগে আমদানি করা ৮৭০ থেকে ৯৮০ ডলারের অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এখনও ২ লাখ টনের বেশি চট্টগ্রামে মজত রয়েছে। তিনি বলেন, বোতলবদ্ধ তেলের দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে। এ দাম হঠাৎ কমানো সম্ভব হয় না। কাওরান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিলন জানান, বর্তমানে রূপচাঁদা, তীর, ফ্রেশ, পুষ্টিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল কোম্পানি-নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীদের বাড়তি দামে বিক্রির করার সুযোগ নেই। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে যে হারে কমেছে একই হারে খুচরায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি ব্যয় ৬০ টাকা ৫৪ পয়সা। এর সঙ্গে পরিশোধনসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় প্রতি লিটারে ১৬ টাকা এবং বোতলবদ্ধ করতে খরচ ৭ টাকা। এতে প্রতি লিটারে দাম হওয়া উচিত ৮৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে মুনাফা করছে প্রায় ২৯ টাকা। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত করে কোন পরিবর্তন হয়নি। ভোজ্যতেলে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৬ টাকায়। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১২২ থেকে ১২৬ টাকা। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১৮ শতাংশ। গত বছরে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১০৪ থেকে ১০৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৮০ থেকে ৯৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আগের চড়া দামে আমদানি করা সয়াবিন তেলের এখনও যথেষ্ট মজুত রয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে একই হারে দাম কমছে না। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবের সঙ্গেও তাদের মতের ভিন্নতা রয়েছে। তাদের মতে, এখন প্রতি লিটার সয়াবিনে আমদানি ব্যয় ৬৬ টাকা। এর সঙ্গে লিটারের পরিশোধন ব্যয় ১৯ টাকা এবং বোতল ও আনুষঙ্গিক ব্যয় ১৫ টাকা। এর ফলে প্রতি লিটারে ১০০ টাকা খরচ পড়ছে। কোম্পানি মিলগেট থেকে ১০২ টাকায় প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। এখন ডিলারদের কমিশন ৫ টাকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কমিশন ৫ টাকা হারে দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি লিটারের খুচরা মূল্য ১১২ টাকা পড়ছে। ভোজ্যতেলের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিলগেট থেকে তেল কিনছেন বলে দাবি করেন। তারা বলেন, দেশের বাজারে খোলা তেল বেশি বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেলের বিক্রি খুবই কম। অন্যদিকে শীতকাল হওয়ায় তেলের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে এখন বোতলবদ্ধ সুপার পাম, রাইস ব্রান ও সানফ্লাওয়ার তেল বিক্রি হচ্ছে। এসব তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বোতলবদ্ধ সয়াবিন বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে এখন অযৌক্তিক ভাবে বাড়তি দামে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের আগে আমদানি করা ৮৭০ থেকে ৯৮০ ডলারের অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এখনও ২ লাখ টনের বেশি চট্টগ্রামে মজত রয়েছে। তিনি বলেন, বোতলবদ্ধ তেলের দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে। এ দাম হঠাৎ কমানো সম্ভব হয় না। কাওরান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিলন জানান, বর্তমানে রূপচাঁদা, তীর, ফ্রেশ, পুষ্টিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল কোম্পানি-নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীদের বাড়তি দামে বিক্রির করার সুযোগ নেই। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে যে হারে কমেছে একই হারে খুচরায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
No comments