ফুটবল উৎসবের অবসান -ইতিবাচক উদ্দীপনার জয় হোক
বিপুল আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী মানুষের আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে একাত্ম হয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষত, আমাদের তরুণ সমাজের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল প্রবল।
এ দেশের অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমীর প্রিয় দুটি দল স্বাগতিক ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে ঘিরে ছিল বিপুল আশা-উদ্দীপনা; এ দুটি দলের কোনোটাই কাপ জয়ে সফল হলো না বটে, কিন্তু তাতে এই বৈশ্বিক মহা-আয়োজনের উৎসবমুখরতা একটুও বিঘ্নিত হয়নি। জয়-পরাজয় মেনে নিয়ে উৎসবের সর্বজনীন আনন্দে শরিক থাকার ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশেও।
বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে মাসব্যাপী যে উৎসবের আমেজ বিরাজিত ছিল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তার কিছু প্রভাব পড়েছে। বিশেষ আয়োজন ছিল মুদ্রণ ও সম্প্রচার উভয় গণমাধ্যমে; বেশ সরব হয়ে উঠেছিল ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ফুটবলপ্রেমীরা তাঁদের প্রিয় দলের পতাকা তৈরি করেছিলেন, জার্সি কেনাবেচার ধুম পড়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, প্রিয় দলের প্রতি ভক্তি-সমর্থন প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের প্রতি অসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতার রূপ লাভ করেনি।
ভূরাজনৈতিক নানা সমীকরণের বাস্তবতার মধ্যেই ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল গোটা বিশ্বের সব জাতি ও জনগণকে যেভাবে একাত্ম করেছে, তা কেবল ক্রীড়ানন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর একটি প্রতীকী ব্যঞ্জনা আছে। এ ধরনের সর্বজনীন আনন্দোৎসবে প্রতিফলিত হয় পুরো মানবজাতির ঐক্য ও সংহতি। একই ধরনের ইতিবাচক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সহিষ্ণুতা দিয়ে আমরা আমাদের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজে পেতে পারি; দূর করতে পারি সামাজিক নানা সমস্যা, যেগুলো দুরারোগ্য ব্যাধির মতো যুগ যুগ ধরে পীড়িত করছে আমাদের। জ্ঞান-বিজ্ঞান, নতুন নতুন প্রযুক্তি, সৃজনশীল ব্যবসা উদ্যোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিপুল কর্মোদ্দীপনায় মেতে উঠতে পারে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ।
বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো সর্বজনীন বৈশ্বিক আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক উৎসাহ-উদ্দীপনার জয় হোক।
এ দেশের অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমীর প্রিয় দুটি দল স্বাগতিক ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে ঘিরে ছিল বিপুল আশা-উদ্দীপনা; এ দুটি দলের কোনোটাই কাপ জয়ে সফল হলো না বটে, কিন্তু তাতে এই বৈশ্বিক মহা-আয়োজনের উৎসবমুখরতা একটুও বিঘ্নিত হয়নি। জয়-পরাজয় মেনে নিয়ে উৎসবের সর্বজনীন আনন্দে শরিক থাকার ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশেও।
বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে মাসব্যাপী যে উৎসবের আমেজ বিরাজিত ছিল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তার কিছু প্রভাব পড়েছে। বিশেষ আয়োজন ছিল মুদ্রণ ও সম্প্রচার উভয় গণমাধ্যমে; বেশ সরব হয়ে উঠেছিল ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ফুটবলপ্রেমীরা তাঁদের প্রিয় দলের পতাকা তৈরি করেছিলেন, জার্সি কেনাবেচার ধুম পড়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, প্রিয় দলের প্রতি ভক্তি-সমর্থন প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের প্রতি অসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতার রূপ লাভ করেনি।
ভূরাজনৈতিক নানা সমীকরণের বাস্তবতার মধ্যেই ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল গোটা বিশ্বের সব জাতি ও জনগণকে যেভাবে একাত্ম করেছে, তা কেবল ক্রীড়ানন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর একটি প্রতীকী ব্যঞ্জনা আছে। এ ধরনের সর্বজনীন আনন্দোৎসবে প্রতিফলিত হয় পুরো মানবজাতির ঐক্য ও সংহতি। একই ধরনের ইতিবাচক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সহিষ্ণুতা দিয়ে আমরা আমাদের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খুঁজে পেতে পারি; দূর করতে পারি সামাজিক নানা সমস্যা, যেগুলো দুরারোগ্য ব্যাধির মতো যুগ যুগ ধরে পীড়িত করছে আমাদের। জ্ঞান-বিজ্ঞান, নতুন নতুন প্রযুক্তি, সৃজনশীল ব্যবসা উদ্যোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিপুল কর্মোদ্দীপনায় মেতে উঠতে পারে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ।
বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো সর্বজনীন বৈশ্বিক আনন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক উৎসাহ-উদ্দীপনার জয় হোক।
No comments