মেসিদের সংবর্ধনা
পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হয়। সে কারণেই সাধারণ ভক্ত-সমর্থকদের সামনে উপস্থাপন করা গেল না আর্জেন্টিনা দলকে। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় মেসিদের দেশে ফেরা। বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল বিমানবন্দর পেরিয়ে ফুটবল ফেডারেশনে আসে। সেখানে দেশের প্রেসিডেন্ট বরণ করে নেন দলকে। খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে দেশে দেয়া হল মেসিদের সংবর্ধনা।বুয়েন্স আয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণ ওবেলিস্ক মনুমেন্ট। ঐতিহাসিক এই মনুমেন্টের সামনে হাজির হতে পারতেন মেসিরা। তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ হতো। কিন্তু খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। কারণ আগের দিন ফাইনালে আর্জেন্টিনার হারের পর ওখানে ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা।
ফুটবল দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করেছে। তবে বিমানবন্দরে মেসিদের স্বাগত জানাতে অনেক মানুষ গেছেন। এরপর তিনটি বাসে করে ফুটবল সংস্থায় চলে আসে দল। সেখানে আলবিসেলেস্তেরা দারুণ এক সময় কাটিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ক্রিচনারের দেয়া সংবর্ধনায় মেসি দেশের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দুঃখ প্রকাশ করেছেন খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি বলে। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রানার্সআপ হওয়ার পরও তাদের সমান সমর্থন দেয়ায়। দলের সবার সঙ্গে আলিঙ্গন করেছেন প্রেসিডেন্ট। দল খুব স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিমর্ষ ছিল। কারণ শিরোপা মিস হয়ে যাওয়া। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা। ফাইনালে হেরে যাওয়া। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে প্রেসিডেন্ট নিজেইে চেষ্টা করেছেন হাসিখুশি পরিবেশ তৈরি করতে। অন্যদের সঙ্গে গঞ্জালো হিগুয়াইন, ডি মারিয়া, লাভেজ্জিদের খোঁচাখুঁচি করেছেন। জার্মান গোলকিপার নুয়ারের সঙ্গে সংর্ঘষে হিগুয়াইন মুখে ও মাথায় গুরুতর ব্যথা পান। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রেসিডেন্ট হিগুয়াইনকে এমআরআই স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। সুদর্শন লাভেজ্জিকে প্রেসিডেন্ট জিজ্ঞেস করেন, ‘পোচো, তোমাকে নাকি দলের সেক্স সিম্বল বলা হয়?’ কিছু বলার চেষ্টা করেন লাভেজ্জি। ডি মারিয়াকে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ডি মারিয়া, এদিকে আসো। মেয়েরা তো শুধু তোমাকেই চায়।’ চমৎকার এক অনুষ্ঠান শেষে দলের সবাই ফিরেছেন পরিবারের কাছে। এদিকে দীর্ঘ একটি মাস ফুটবলে বুঁদ হয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এবার আবার তাদের অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে। এএফপি।
No comments