ছাত্রলীগের রাজনীতির বলি -ঘাতক–সন্ত্রাসীদের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়
রাজনীতিমুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলামকে জীবন দিতে হলো ছাত্রলীগের
অপরাজনীতির কারণে। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও সংগঠনটির
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম নেতা সঞ্জয় ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এটাই
তাঁর কাল হলো। প্রতিপক্ষ গ্রুপের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা গত সোমবার তাঁকে
কুপিয়ে হত্যা করে।
কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। এসবের পরও নাঈমুল হত্যার বিচার সম্পর্কে সংশয়মুক্ত থাকা যাচ্ছে না। ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই নেতা উল্টো উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ছাত্রলীগ সারা দেশে খুনখারাবি ও সন্ত্রাস চালালেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি হল কমিটি স্থগিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব উপাচার্যের ওপরই হত্যার দায় চাপাতে চাইছেন। আইনের শাসন চাইলে সরকারকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন যে ব্যবস্থা নিক না কেন, নাঈমুলকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কাউকে এভাবে জীবন দিতে না হয়, সে জন্যই এই হত্যার বিচার হতে হবে। নাঈমুল হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। আর সন্ত্রাস ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও দায়িত্ব শেষ করতে পারে না। তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ঘাতক–সন্ত্রাসীদের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। এসবের পরও নাঈমুল হত্যার বিচার সম্পর্কে সংশয়মুক্ত থাকা যাচ্ছে না। ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই নেতা উল্টো উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ছাত্রলীগ সারা দেশে খুনখারাবি ও সন্ত্রাস চালালেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি হল কমিটি স্থগিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব উপাচার্যের ওপরই হত্যার দায় চাপাতে চাইছেন। আইনের শাসন চাইলে সরকারকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন যে ব্যবস্থা নিক না কেন, নাঈমুলকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে আর কাউকে এভাবে জীবন দিতে না হয়, সে জন্যই এই হত্যার বিচার হতে হবে। নাঈমুল হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। আর সন্ত্রাস ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও দায়িত্ব শেষ করতে পারে না। তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ঘাতক–সন্ত্রাসীদের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
No comments