পুলিশ, না ধারাবাহিক খুনি? -তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুন
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সত্য হলে তাঁকে একজন ‘সিরিয়াল কিলার’ বা ধারাবাহিক খুনি হিসেবে বর্ণনা করা যায়। গত সাত মাসে তাঁর হাতে তিন ব্যক্তির খুন হওয়ার অভিযোগ ভীষণ উদ্বেগের বিষয়।
খোদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেই যদি এমন গুরুতর অপরাধপ্রবণতা থাকে, তাহলে দেশের আইন প্রয়োগব্যবস্থা অপরাধ-সংঘটনের ব্যবস্থায় পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, পুলিশ বাহিনীর দু-একজন সদস্যের এমন অপরাধবৃত্তি গোটা বাহিনীর প্রতি জনসাধারণের অবশিষ্ট আস্থা ক্ষুণ্ন করতে পারে। তৃতীয়ত, সরকার যদি এমন অপরাধপ্রবণ পুলিশ সদস্যদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত না করে, তাহলে অন্য সদস্যের মধ্যেও এসব প্রবণতা সংক্রমিত হতে পারে।
মানুষকে আটক করে টাকা দাবি করা, মামলার ভয় দেখানো কিংবা বিদ্যমান ফৌজদারি মামলার আসামির তালিকাভুক্ত করা—পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরোনো। পুলিশের ‘গ্রেপ্তার-বাণিজ্য’ ইতিমধ্যে বহুল প্রচলিত শব্দবন্ধ। সরকার কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়নি বলে দিনে দিনে এগুলো থানা-পুলিশের আচরণের অংশ হয়ে উঠেছে। পুলিশের সদস্যরা শাস্তির ভয় ব্যতিরেকে এসব অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পেলে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কতটা বেপরোয়া ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, এসআই জাহিদুর রহমান খান তার দৃষ্টান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তারপর সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাঁকে অন্য থানায় কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে আরেকজনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে এ পর্যন্ত তাঁর হাতে তিন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিন ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যাঁর বিরুদ্ধে, সেই পুলিশ সদস্যকে শুধু প্রত্যাহার করাই যথেষ্ট নয়; তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
খোদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেই যদি এমন গুরুতর অপরাধপ্রবণতা থাকে, তাহলে দেশের আইন প্রয়োগব্যবস্থা অপরাধ-সংঘটনের ব্যবস্থায় পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, পুলিশ বাহিনীর দু-একজন সদস্যের এমন অপরাধবৃত্তি গোটা বাহিনীর প্রতি জনসাধারণের অবশিষ্ট আস্থা ক্ষুণ্ন করতে পারে। তৃতীয়ত, সরকার যদি এমন অপরাধপ্রবণ পুলিশ সদস্যদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত না করে, তাহলে অন্য সদস্যের মধ্যেও এসব প্রবণতা সংক্রমিত হতে পারে।
মানুষকে আটক করে টাকা দাবি করা, মামলার ভয় দেখানো কিংবা বিদ্যমান ফৌজদারি মামলার আসামির তালিকাভুক্ত করা—পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরোনো। পুলিশের ‘গ্রেপ্তার-বাণিজ্য’ ইতিমধ্যে বহুল প্রচলিত শব্দবন্ধ। সরকার কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়নি বলে দিনে দিনে এগুলো থানা-পুলিশের আচরণের অংশ হয়ে উঠেছে। পুলিশের সদস্যরা শাস্তির ভয় ব্যতিরেকে এসব অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পেলে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কতটা বেপরোয়া ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, এসআই জাহিদুর রহমান খান তার দৃষ্টান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তারপর সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাঁকে অন্য থানায় কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে আরেকজনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে এ পর্যন্ত তাঁর হাতে তিন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিন ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যাঁর বিরুদ্ধে, সেই পুলিশ সদস্যকে শুধু প্রত্যাহার করাই যথেষ্ট নয়; তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
No comments