বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী: কালোটাকাকে অবশ্যই বিনিয়োগের মধ্যে আনতে হবে-বাজেট মোটেই বিশাল না, ঘাটতিও তত বেশি নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক দেশে বিপুল অঙ্কের কালোটাকা রয়েছে। অন্যদিকে, কর দেওয়ার যোগ্য ব্যবসায়ীও রয়েছেন দেশে অনেক। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু কালোটাকা মূল অর্থনীতিতে বা বিনিয়োগের ধারায় আসছে না। আবার ব্যবসায়ীদের অনেকেই কর দেন না।
এসব কথা উল্লেখ করে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ‘কর ফাঁকিবাজ’ এবং তাঁদের এই প্রবণতাকে ‘লজ্জাকর ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। পুরো সংবাদ সম্মেলনই ছিল মূলত প্রশ্নোত্তরনির্ভর।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, অনেকেই বলছেন, বাজেট উচ্চাভিলাষী বা বিশাল হয়েছে। মোটেই তা বিশাল নয়। আকার মাত্র ১৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এ বাজেটের ঘাটতিও তত বেশি নয়, জিডিপির ৫ শতাংশ মাত্র।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। সঙ্গে রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ইকবাল মাহমুদ এবং পরিকল্পনাসচিব ভূঁইয়া শফিকুল ইসলামকে।
এ সময় সামনে বসা ছিলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কালোটাকা সাদা হওয়ার পরিমাণ আশাব্যঞ্জক না হওয়ার কথা স্বীকার করেও অন্যবারের মতো আগামী অর্থবছরেও সেই সুযোগ রাখার যুক্তি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে চাই। তবে শাস্তির বিধান চাপিয়ে দিয়েছি।’
কালোটাকা: অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে আমি কালো বলি না, বলি অপ্রদর্শিত আয়। এ টাকা অবশ্যই বিনিয়োগের মধ্যে আনতে হবে।’ এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৮ থেকে ৮২ শতাংশ অপ্রদর্শিত আয়ের অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার জরিমানার বিষয়ে ভুল সংবাদ দেওয়া হয়েছে, ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যাঁরা এই সুযোগ নেবেন তাঁদের নির্ধারিত করহারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। কারও করহার যদি ১৫ শতাংশ হয়, তাহলে তিনি ২৫ শতাংশ করহারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন। আর কারও করহার যদি হয় ২৫ শতাংশ, তাহলে তাঁকে কর দিতে হবে ৩৫ শতাংশ হারে।
শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ফলে এ খাতে সরকারের কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, চলতি অর্থবছরে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এখনো এক মাস সময় আছে। শেষ সময়ে ভালো সাড়া পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
কালোটাকা আদায়ের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে কি না—প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে এ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। আমি উত্তর দিই। ওগুলো মিলিয়ে নিলেই শ্বেতপত্রের মতো হয়ে যাবে।’
মূল্যস্ফীতি: অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার বাজেট বক্তব্যে বলেছি আগামী অর্থবছর আমরা মূল্যস্ফীতিকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাই। সেটা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। কীভাবে, কেমনে—এটা করব সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার নিশ্চয়ই কৌশল আছে। সব কৌশল সব সময় বলা যায় না।’
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মূল্যস্ফীতিসংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষভাগে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলেন, ‘কথা বলে বলে আমরা অনেক সময় মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিই।’
পরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে গভর্নরও বলেন, ‘আমাদের বিনীত অনুরোধ, অযথা কথা বলে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে দেবেন না। গরিব মানুষকে সাহায্য করুন।’
গভর্নর আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি বর্তমানে স্বস্তিদায়ক অবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে তা একক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। আগামী মাসে মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের পতন ঘটবে বলে তিনি আশা করছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিতে নেওয়া পদক্ষেপের সুফল পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘মুদ্রানীতিতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই টাকার মানকে আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও মুদ্রান
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, অনেকেই বলছেন, বাজেট উচ্চাভিলাষী বা বিশাল হয়েছে। মোটেই তা বিশাল নয়। আকার মাত্র ১৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এ বাজেটের ঘাটতিও তত বেশি নয়, জিডিপির ৫ শতাংশ মাত্র।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। সঙ্গে রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ইকবাল মাহমুদ এবং পরিকল্পনাসচিব ভূঁইয়া শফিকুল ইসলামকে।
এ সময় সামনে বসা ছিলেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কালোটাকা সাদা হওয়ার পরিমাণ আশাব্যঞ্জক না হওয়ার কথা স্বীকার করেও অন্যবারের মতো আগামী অর্থবছরেও সেই সুযোগ রাখার যুক্তি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে চাই। তবে শাস্তির বিধান চাপিয়ে দিয়েছি।’
কালোটাকা: অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কালোটাকাকে আমি কালো বলি না, বলি অপ্রদর্শিত আয়। এ টাকা অবশ্যই বিনিয়োগের মধ্যে আনতে হবে।’ এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৮ থেকে ৮২ শতাংশ অপ্রদর্শিত আয়ের অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার জরিমানার বিষয়ে ভুল সংবাদ দেওয়া হয়েছে, ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যাঁরা এই সুযোগ নেবেন তাঁদের নির্ধারিত করহারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। কারও করহার যদি ১৫ শতাংশ হয়, তাহলে তিনি ২৫ শতাংশ করহারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন। আর কারও করহার যদি হয় ২৫ শতাংশ, তাহলে তাঁকে কর দিতে হবে ৩৫ শতাংশ হারে।
শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ফলে এ খাতে সরকারের কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, চলতি অর্থবছরে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এখনো এক মাস সময় আছে। শেষ সময়ে ভালো সাড়া পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
কালোটাকা আদায়ের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে কি না—প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে এ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। আমি উত্তর দিই। ওগুলো মিলিয়ে নিলেই শ্বেতপত্রের মতো হয়ে যাবে।’
মূল্যস্ফীতি: অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার বাজেট বক্তব্যে বলেছি আগামী অর্থবছর আমরা মূল্যস্ফীতিকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাই। সেটা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। কীভাবে, কেমনে—এটা করব সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার নিশ্চয়ই কৌশল আছে। সব কৌশল সব সময় বলা যায় না।’
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মূল্যস্ফীতিসংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষভাগে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলেন, ‘কথা বলে বলে আমরা অনেক সময় মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিই।’
পরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে গভর্নরও বলেন, ‘আমাদের বিনীত অনুরোধ, অযথা কথা বলে মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে দেবেন না। গরিব মানুষকে সাহায্য করুন।’
গভর্নর আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি বর্তমানে স্বস্তিদায়ক অবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে তা একক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। আগামী মাসে মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের পতন ঘটবে বলে তিনি আশা করছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিতে নেওয়া পদক্ষেপের সুফল পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘মুদ্রানীতিতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই টাকার মানকে আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও মুদ্রান
No comments