টেন্ডারবাজি বন্ধ হবে কবে-দরপত্র ছিনতাই
এক ঠিকাদার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মাণকাজ পাওয়ার আশায় প্রায় দুই লাখ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ দরপত্র জমা দিলেন। এখানে-সেখানে নয়, জমা দিলেন অধিদপ্তর কার্যালয়ের খোদ নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে রাখা টেন্ডার বাক্সে।
তারপর ১৫-২০ জন যুবক এসে কর্মচারীদের পিটিয়ে টেন্ডার বাক্সের তালা ভেঙে ব্যাংক ড্রাফটসহ দরপত্রটি নিয়ে চলে গেল।
বাংলাদেশে এমন দৃশ্যে তাজ্জব হওয়ার কিছু নেই। টেন্ডারবাজি নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ পর্যন্ত হয়, লাশও পড়ে। সে তুলনায় নাটোরের এলজিইডি কার্যালয়ে গত রোববারের টেন্ডারবাজির ঘটনাটি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ। শুধু তা-ই নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন; কোনো মামলা করেননি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মাত্র। কর্মচারীদের পিটিয়ে টেন্ডার বাক্সের তালা ভেঙে ব্যাংক ড্রাফটসহ দাখিল করা দরপত্র নিয়ে যাওয়া কী এমন অপরাধ যে ফৌজদারি মামলা ঠুকতে হবে!
ব্যাপার হলো, ওই ঠিকাদার নাটোর জেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। আর যারা তাঁর দাখিল করা দরপত্র ও এক লাখ ৯৭ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট টেন্ডার বাক্সের তালা ভেঙে নিয়ে গেছে, তারা নাটোর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম মোর্তুজা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের জ্যেষ্ঠ ছেলে সোহেল সরকারের লোকজন। অবশ্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর ছেলে বা দলের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল।
কী তদন্ত করবে পুলিশ? এলজিইডির লোকজনের সঙ্গে পুলিশের কী বৈঠক হলো? তাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষের কি কোনো নিরাপত্তা নেই? সেখান থেকে তালাবদ্ধ টেন্ডার বাক্স ভেঙে দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট নিয়ে যাওয়া তো ডাকাতির মতো অপরাধ। কর্মচারীদের প্রথমে যারা তালা খুলতে বলেছিল, তাঁরা খোলেননি বলে যারা তাঁদের মেরে-পিটে বাক্সের তালা ভেঙেছিল, তারা কারা, কর্মচারীরা কি তা জানেন না?
যিনি সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন, পুলিশ কেন তাঁর অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না? নির্বাহী প্রকৌশলী লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলোর কী জবাব? কেন তিনি রোববার থেকে দরপত্র বাক্স পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ নিয়োগ করেননি? কেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দরপত্র দাখিলের ব্যবস্থা না করে শুধু নিজের কার্যালয়ে নিজের কক্ষে দাখিলের ব্যবস্থা করেছেন? এবং নিজের কক্ষে সেই টেন্ডার বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এত বড় একটি অপরাধের ঘটনার পর তিনি কেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে বলছেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
অবিলম্বে টেন্ডার ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে সরকারের এত এত কঠোর উদ্যোগের কথা নইলে অর্থহীন হয়ে যায়।
বাংলাদেশে এমন দৃশ্যে তাজ্জব হওয়ার কিছু নেই। টেন্ডারবাজি নিয়ে বন্দুকযুদ্ধ পর্যন্ত হয়, লাশও পড়ে। সে তুলনায় নাটোরের এলজিইডি কার্যালয়ে গত রোববারের টেন্ডারবাজির ঘটনাটি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ। শুধু তা-ই নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন; কোনো মামলা করেননি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মাত্র। কর্মচারীদের পিটিয়ে টেন্ডার বাক্সের তালা ভেঙে ব্যাংক ড্রাফটসহ দাখিল করা দরপত্র নিয়ে যাওয়া কী এমন অপরাধ যে ফৌজদারি মামলা ঠুকতে হবে!
ব্যাপার হলো, ওই ঠিকাদার নাটোর জেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। আর যারা তাঁর দাখিল করা দরপত্র ও এক লাখ ৯৭ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট টেন্ডার বাক্সের তালা ভেঙে নিয়ে গেছে, তারা নাটোর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম মোর্তুজা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের জ্যেষ্ঠ ছেলে সোহেল সরকারের লোকজন। অবশ্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর ছেলে বা দলের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল।
কী তদন্ত করবে পুলিশ? এলজিইডির লোকজনের সঙ্গে পুলিশের কী বৈঠক হলো? তাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষের কি কোনো নিরাপত্তা নেই? সেখান থেকে তালাবদ্ধ টেন্ডার বাক্স ভেঙে দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট নিয়ে যাওয়া তো ডাকাতির মতো অপরাধ। কর্মচারীদের প্রথমে যারা তালা খুলতে বলেছিল, তাঁরা খোলেননি বলে যারা তাঁদের মেরে-পিটে বাক্সের তালা ভেঙেছিল, তারা কারা, কর্মচারীরা কি তা জানেন না?
যিনি সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন, পুলিশ কেন তাঁর অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না? নির্বাহী প্রকৌশলী লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলোর কী জবাব? কেন তিনি রোববার থেকে দরপত্র বাক্স পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ নিয়োগ করেননি? কেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দরপত্র দাখিলের ব্যবস্থা না করে শুধু নিজের কার্যালয়ে নিজের কক্ষে দাখিলের ব্যবস্থা করেছেন? এবং নিজের কক্ষে সেই টেন্ডার বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এত বড় একটি অপরাধের ঘটনার পর তিনি কেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে বলছেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
অবিলম্বে টেন্ডার ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে সরকারের এত এত কঠোর উদ্যোগের কথা নইলে অর্থহীন হয়ে যায়।
No comments