ঈদের এক সপ্তাহ আগেই বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন-পোশাকশ্রমিকদের জীবনেও ঈদ আসুক
রোজা ও ঈদ সবার জন্য সমান নয়। অন্তত পোশাকশ্রমিকদের জন্য তা এখনো অনিশ্চয়তার মাস হয়ে আছে। এবারও ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়ার অনিশ্চয়তা নিয়ে কিছু শ্রমিক এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। গত রোববার শ্রম মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে মালিকপক্ষীয় তিনটি সংগঠনের সঙ্গে শ্রমমন্ত্রীর বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী সেখানে ঈদের আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের প্রয়োজনীয়তা জোরের সঙ্গেই উত্থাপন করেছেন। এখন দেখার বিষয়, পোশাকশিল্পের মালিকেরা এই প্রয়োজনের ডাকে কতটা সাড়া দেন।
বিগত প্রতিটি বছর রমজান মাস এলেই পোশাক কারখানার মালিকদের একটি অংশ নিজেদের দীন-দরিদ্র হিসেবে ফলাও করে প্রচার করেন এবং শ্রমিকদের পাওনা বেতন, বকেয়া, বোনাস ইত্যাদি দিতে গড়িমসি করেন। যথারীতি এবারও এ রকম কিছু ‘দীন-দরিদ্র’ মালিক একই রকম আচরণ করতে যাচ্ছেন। যদিও আগের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। সরকারের মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ঠিক করা হয়েছে। শ্রমিকেরা চেয়েছিলেন আরও বেশি এবং ঈদের আগেই তার বাস্তবায়ন। কিন্তু মালিকপক্ষ তা নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা রয়ে গেছে। ঈদের বোনাস নিয়ে নতুন করে গড়িমসি হলে, তা শ্রমিকদের হতাশা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সরকারও নতুন করে শ্রমিক বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কিছুটা সজাগ। কিন্তু কেবল কথায় নয়, কাজেও এর প্রমাণ রাখতে হবে।
শ্রমমন্ত্রী বেতন-বোনাস দিতে অপারগ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়ভার প্রধানত পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর ওপরই দিয়েছেন। তারা ব্যর্থ হলে সরকার সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু ঈদের আর দেরি নেই। দুই স্তরে তদারকি সময়সাপেক্ষ কাজ। সরকারকে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে, যাতে ঈদের পরে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পাওয়া নিশ্চিত হয়।
মন্ত্রী বেতন-বোনাস না পেলেও শ্রমিকদের বিক্ষোভ না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শ্রমিকদের বদলে যদি মালিকপক্ষকে এই কঠোর হুঁশিয়ারি যথাযথভাবে অনুভব করানো যায়, তাহলে তো আর বঞ্চিত শ্রমিকদের বিক্ষোভের ভয় থাকে না। শ্রমিকদেরও বুঝতে হবে, প্রতিবাদ বিশৃঙ্খলায় পরিণত হলে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি।
মনে রাখা দরকার, গত বছর রোজা ও ঈদ উপলক্ষেই ব্যাপক শ্রমিক-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। কিছু পোশাকশিল্পের মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় আবার এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বিগত প্রতিটি বছর রমজান মাস এলেই পোশাক কারখানার মালিকদের একটি অংশ নিজেদের দীন-দরিদ্র হিসেবে ফলাও করে প্রচার করেন এবং শ্রমিকদের পাওনা বেতন, বকেয়া, বোনাস ইত্যাদি দিতে গড়িমসি করেন। যথারীতি এবারও এ রকম কিছু ‘দীন-দরিদ্র’ মালিক একই রকম আচরণ করতে যাচ্ছেন। যদিও আগের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। সরকারের মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ঠিক করা হয়েছে। শ্রমিকেরা চেয়েছিলেন আরও বেশি এবং ঈদের আগেই তার বাস্তবায়ন। কিন্তু মালিকপক্ষ তা নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা রয়ে গেছে। ঈদের বোনাস নিয়ে নতুন করে গড়িমসি হলে, তা শ্রমিকদের হতাশা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সরকারও নতুন করে শ্রমিক বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কিছুটা সজাগ। কিন্তু কেবল কথায় নয়, কাজেও এর প্রমাণ রাখতে হবে।
শ্রমমন্ত্রী বেতন-বোনাস দিতে অপারগ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়ভার প্রধানত পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর ওপরই দিয়েছেন। তারা ব্যর্থ হলে সরকার সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু ঈদের আর দেরি নেই। দুই স্তরে তদারকি সময়সাপেক্ষ কাজ। সরকারকে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে, যাতে ঈদের পরে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পাওয়া নিশ্চিত হয়।
মন্ত্রী বেতন-বোনাস না পেলেও শ্রমিকদের বিক্ষোভ না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শ্রমিকদের বদলে যদি মালিকপক্ষকে এই কঠোর হুঁশিয়ারি যথাযথভাবে অনুভব করানো যায়, তাহলে তো আর বঞ্চিত শ্রমিকদের বিক্ষোভের ভয় থাকে না। শ্রমিকদেরও বুঝতে হবে, প্রতিবাদ বিশৃঙ্খলায় পরিণত হলে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি।
মনে রাখা দরকার, গত বছর রোজা ও ঈদ উপলক্ষেই ব্যাপক শ্রমিক-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল। কিছু পোশাকশিল্পের মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় আবার এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments