ধাঁধা দুনিয়া
ছবির ধাঁধা স্লাপি ডাকনামের পাশের ছবির এ চলচ্চিত্র নির্মাতা জন্মেছেন জার্মানির মিউনিখে। সময়টা ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি তিনি ভিয়েনা ফিল্ম একাডেমিতে অধ্যাপনা করেন। তাঁর বাবা ফ্রিটজ হানেকে একজন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক এবং মা অভিনেত্রী।
দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও নাটকের ওপর পড়াশোনা করা এ পরিচালক ক্যারিয়ারের শুরুতে গান ও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্র সমালোচনাও পেশা ছিল একসময়।
পরিচালনার হাতেখড়ি হয় ১৯৭৪ সালে টেলিভিশনে কাজ করার সুবাদে। ১৯৮৯ সালে সেভেনথ কন্টিনেন্ট ছবিটির মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় যাত্রা।
‘শিল্পের দায়িত্ব হচ্ছে প্রশ্ন করা, উত্তর খোঁজা নয়’—শিল্প সম্পর্কে নিজের এমন ভাবনার কথা বলেন তিনি।
২০০১ সালে দ্য পিয়ানো টিচার ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচকদের নজর কাড়তে সক্ষম হন দীর্ঘদিন মঞ্চের সঙ্গে জড়িত থাকা এ তারকা।
সম্প্রতি কান উৎসবে এই অস্ট্রীয় নির্মাতা লাভ (আমর) ছবিটির জন্য জিতে নিয়েছেন স্বর্ণপাম (পাম দ’র)। এর আগে ২০০৯ সালে হোয়াইট রিবন ছবিটি নির্মাণ করেও তিনি পেয়েছিলেন এ পুরস্কার।
লাভ ছবিটি তৈরি হয়েছে এক প্রবীণ দম্পতির সম্পর্কের সংকট নিয়ে।
বইয়ের পোকা
বসিয়া, শুইয়া, কাগজ পড়িয়া, তাস খেলিয়া, আড্ডা দিয়া, পরচর্চা ও পরনিন্দা করিয়া হয়রান হইয়া গেলাম। শান্তি পাইতেছি না। আসল কারণ অর্থাভাব। আমার যাহা করিবার, তাহা করিয়াছি। পরীক্ষায় পাস করিয়াছি। বহুস্থানে চাকরির দরখাস্ত দিয়াছি। এমনকি কিছুদিন ইনসিওরেন্সের দালালিও করিয়াছি, কিন্তু কিছুই হয় নাই। অবশ্য এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। স্টেশনারি দোকান বা মুদিখানা, অন্ততপক্ষে একটা পান-বিড়ির দোকান খুলিয়া একবার চেষ্টা করিয়া দেখিব ভাবি, কিন্তু আঃ মাছির জ্বালায় অস্থির! যেই একটু শুইব, ঠিক চোখের কোনটিতে আসিয়া বসিবে। এত মাছি আর এত গরম। সুস্থির হইয়া যে একটু চিন্তা করিব তাহার উপায় নাই। উঠিয়া বসিলাম। এই দারুণ দ্বিপ্রহরে বসিয়া চিন্তা করাও মুশকিল। শুইলেও মাছি! হাতে পয়সা থাকিলে মাছি মারিবার আরক ছিটাইয়া খানিকক্ষণ স্থির হইয়া চিন্তা করিতাম। আপনারা হয়তো হাসিতেছেন এবং ভাবিতেছেন, আচ্ছা চিন্তাশীল লোক তো!
পেটের চিন্তার মতো সহজ অথচ জটিল চিন্তা আর নাই। দিন-রাত সেই চিন্তাই করিতেছি। চিন্তাশীল নই, আমি চিন্তাগ্রস্ত।
আলোচিত একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
সংগ্রহ: কিঙ্কর আহসান
পরিচালনার হাতেখড়ি হয় ১৯৭৪ সালে টেলিভিশনে কাজ করার সুবাদে। ১৯৮৯ সালে সেভেনথ কন্টিনেন্ট ছবিটির মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় যাত্রা।
‘শিল্পের দায়িত্ব হচ্ছে প্রশ্ন করা, উত্তর খোঁজা নয়’—শিল্প সম্পর্কে নিজের এমন ভাবনার কথা বলেন তিনি।
২০০১ সালে দ্য পিয়ানো টিচার ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচকদের নজর কাড়তে সক্ষম হন দীর্ঘদিন মঞ্চের সঙ্গে জড়িত থাকা এ তারকা।
সম্প্রতি কান উৎসবে এই অস্ট্রীয় নির্মাতা লাভ (আমর) ছবিটির জন্য জিতে নিয়েছেন স্বর্ণপাম (পাম দ’র)। এর আগে ২০০৯ সালে হোয়াইট রিবন ছবিটি নির্মাণ করেও তিনি পেয়েছিলেন এ পুরস্কার।
লাভ ছবিটি তৈরি হয়েছে এক প্রবীণ দম্পতির সম্পর্কের সংকট নিয়ে।
বইয়ের পোকা
বসিয়া, শুইয়া, কাগজ পড়িয়া, তাস খেলিয়া, আড্ডা দিয়া, পরচর্চা ও পরনিন্দা করিয়া হয়রান হইয়া গেলাম। শান্তি পাইতেছি না। আসল কারণ অর্থাভাব। আমার যাহা করিবার, তাহা করিয়াছি। পরীক্ষায় পাস করিয়াছি। বহুস্থানে চাকরির দরখাস্ত দিয়াছি। এমনকি কিছুদিন ইনসিওরেন্সের দালালিও করিয়াছি, কিন্তু কিছুই হয় নাই। অবশ্য এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। স্টেশনারি দোকান বা মুদিখানা, অন্ততপক্ষে একটা পান-বিড়ির দোকান খুলিয়া একবার চেষ্টা করিয়া দেখিব ভাবি, কিন্তু আঃ মাছির জ্বালায় অস্থির! যেই একটু শুইব, ঠিক চোখের কোনটিতে আসিয়া বসিবে। এত মাছি আর এত গরম। সুস্থির হইয়া যে একটু চিন্তা করিব তাহার উপায় নাই। উঠিয়া বসিলাম। এই দারুণ দ্বিপ্রহরে বসিয়া চিন্তা করাও মুশকিল। শুইলেও মাছি! হাতে পয়সা থাকিলে মাছি মারিবার আরক ছিটাইয়া খানিকক্ষণ স্থির হইয়া চিন্তা করিতাম। আপনারা হয়তো হাসিতেছেন এবং ভাবিতেছেন, আচ্ছা চিন্তাশীল লোক তো!
পেটের চিন্তার মতো সহজ অথচ জটিল চিন্তা আর নাই। দিন-রাত সেই চিন্তাই করিতেছি। চিন্তাশীল নই, আমি চিন্তাগ্রস্ত।
আলোচিত একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
সংগ্রহ: কিঙ্কর আহসান
No comments