চারদিক-‘অন্যভাবে সক্ষম’ মানুষের দুঃখ-কষ্ট by মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া
বাস থেকে নামার সময় প্রায়ই হেলপার বলে, ‘ওস্তাদ, গাড়ি স্লো কইরা দেন, একজন প্রতিবন্ধী নামবে!’ সভা-সেমিনার কিংবা কর্মশালায় প্রায়ই আমন্ত্রিত অতিথিরা বিনয় করে বলেন, ‘ওরা প্রতিবন্ধী, ওরা খুবই অসহায়, ওদের জন্য আমাদের কিছু করা দরকার।’
আজ ৪ এপ্রিল। জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। এই দিবসে কম করে হলেও লক্ষবার শব্দ হবে ‘প্রতিবন্ধী’ নামের এ শব্দটি। এই বিকট শব্দতরঙ্গে লক্ষবারই আহত হবে আমাদের হূদয়।
অভিধানে ইংরেজি Disability শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ অসামর্থ্য, আর Disable শব্দের অর্থ অক্ষম করা, অযোগ্য করা বা অনুপযুক্ত। এই অনুপযুক্ত শারীরিক দিক থেকে যতটা না, তার চেয়ে ঢের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে। শারীরিক দিক থেকে জীবনটা চালাতে পারলেও মনের দিক থেকে আমরা আজ সত্যিই প্রতিবন্ধী। টমি ওয়াংয়ের কবিতাটাই ঘুরেফিরে মনে আসে—‘যদি তুমি মানুষটিকে না দেখে শুধু তার প্রতিবন্ধিতাকে দেখো, কে তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী? যদি ন্যায়বিচারের জন্য তোমার ভাইয়ের কান্না তুমি শুনতে না পাও, কে তবে শ্রবণপ্রতিবন্ধী? যদি তুমি তোমার বোনের সঙ্গে না মিশে তাকে আলাদা করে রাখো, কে তবে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী? সব মানুষের দাবি আদায়ে তুমি যদি পাশে না দাঁড়াতে পারো, কে তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী? প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা এবং তোমরাও।’ প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম প্রতিবন্ধকতাই হলো এই প্রতিবন্ধী শব্দটি। যেহেতু কোনো না কোনোভাবে আমরা জীবন নির্বাহ করতে সক্ষম, তাহলে কেন আমাদের ক্ষেত্রে এই ‘অক্ষম’, ‘অনুপযুক্ত’ শব্দটা ব্যবহার করা হবে? ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে ‘অন্যভাবে সক্ষম’।
যখন শুনি, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের খোঁড়া বা ল্যাংড়া, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কানা, শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের বয়রা বলে সম্বোধন করা হয়, তখন সম্বোধনকারীদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, ‘এটা কি আত্মতৃপ্তি পাওয়ার জন্য, নাকি তিরস্কৃত কিংবা অবজ্ঞা করার জন্য বলা হয়? এই কষ্টদায়ক শব্দগুলো এখনই পরিহার করা উচিত। অনেক সংস্থা ঘরোয়া পরিবেশে প্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে ‘অন্যভাবে সক্ষম’ শব্দ উচ্চারণ করলেও তাদের প্রতিবেদন, লিফলেট, ম্যাগাজিন, বই কিংবা মুখের কথায় সব সময় প্রতিবন্ধী শব্দটা ব্যবহার করে থাকে। পৃথিবীতে আমরা কত কিছু কলমের খোঁচায় আর মুখের জোরে পরিবর্তন করে ফেলি, শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দে আশ্রিত এই অমানবিক এবং কষ্টদায়ক শব্দটা পরিবর্তন করতে পারব না? এ প্রশ্নটা আমাকে অহর্নিশ পোড়ায়! কারণ, এই ৭০০ কোটি জনসংখ্যার ভিড়ে ৯০ কোটি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’গুলোর হূদয় পোড়ার অংশীদার আমিও যে একজন! এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। যোগ্যতা অনুযায়ী ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’কে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এই তত্ত্ব ও প্রয়োগের সমন্বয় সমাজে আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অতঃপর এই সচেতনতাই আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনয়নে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পরোক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
২০১১ ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী কোনো না কোনো ধরনের ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’। এদের বেশির ভাগের বাস এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, যারা দরিদ্র এবং অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ১৯৯২-২০০৩কে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র দশক ঘোষণা সত্ত্বেও দেখা যায়, তাদের কল্যাণে প্রণীত আইনের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। পরিবেশগত বাধা, নতুন উদ্ভাবিত চিকিৎসা-পদ্ধতি গ্রহণ, সেবামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা ও আয়ের সুযোগের অভাবের কারণে এখানে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সামাজিক কমিশন (ইউএনএসকাপ) ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র জন্য দ্বিতীয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দশক ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে আনুমানিক দেড় কোটি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’ রয়েছে। এডিডি নিউজ লেটারে উল্লিখিত তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮ শতাংশ শারীরিক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ৩২ শতাংশ দৃষ্টি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ২২ শতাংশ শ্রবণ ও বাক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ৭ শতাংশ বুদ্ধি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ১১ শতাংশ একাধিক বা বহুমাত্রিক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’। এদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে প্রয়োজন দারিদ্র্য বিমোচনের সব কর্মসূচিতে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সে ক্ষেত্রেও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবিক অধিকারগুলো সম ও পরিপূর্ণভাবে ভোগ করার বিষয়টির উন্নয়ন, সুরক্ষা ও সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সালে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষের অধিকারসংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে’ (UNCRPD) স্বাক্ষর করে। কিন্তু তাদের দাবি ছিল, বাংলাদেশে ওই সনদের আলোকে তৈরি হবে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র উপযোগী একটি আইন, যেখানে প্রত্যেকের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এ প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। এদিকে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সব নিয়োগে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র কোটা পূরণ করার কথা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। অন্যদিকে, সরকারঘোষিত ১০ শতাংশ সরকারি চাকরির কোটাও অনেকাংশে পূরণ করা হচ্ছে না।
‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র বেঁচে থাকার লড়াইটি সহনীয় করতে আইনগত সুরক্ষা এবং তার বাস্তবায়ন জরুরি।
মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াঅভিধানে ইংরেজি Disability শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ অসামর্থ্য, আর Disable শব্দের অর্থ অক্ষম করা, অযোগ্য করা বা অনুপযুক্ত। এই অনুপযুক্ত শারীরিক দিক থেকে যতটা না, তার চেয়ে ঢের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে। শারীরিক দিক থেকে জীবনটা চালাতে পারলেও মনের দিক থেকে আমরা আজ সত্যিই প্রতিবন্ধী। টমি ওয়াংয়ের কবিতাটাই ঘুরেফিরে মনে আসে—‘যদি তুমি মানুষটিকে না দেখে শুধু তার প্রতিবন্ধিতাকে দেখো, কে তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী? যদি ন্যায়বিচারের জন্য তোমার ভাইয়ের কান্না তুমি শুনতে না পাও, কে তবে শ্রবণপ্রতিবন্ধী? যদি তুমি তোমার বোনের সঙ্গে না মিশে তাকে আলাদা করে রাখো, কে তবে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী? সব মানুষের দাবি আদায়ে তুমি যদি পাশে না দাঁড়াতে পারো, কে তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী? প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা এবং তোমরাও।’ প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম প্রতিবন্ধকতাই হলো এই প্রতিবন্ধী শব্দটি। যেহেতু কোনো না কোনোভাবে আমরা জীবন নির্বাহ করতে সক্ষম, তাহলে কেন আমাদের ক্ষেত্রে এই ‘অক্ষম’, ‘অনুপযুক্ত’ শব্দটা ব্যবহার করা হবে? ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে ‘অন্যভাবে সক্ষম’।
যখন শুনি, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের খোঁড়া বা ল্যাংড়া, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কানা, শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের বয়রা বলে সম্বোধন করা হয়, তখন সম্বোধনকারীদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, ‘এটা কি আত্মতৃপ্তি পাওয়ার জন্য, নাকি তিরস্কৃত কিংবা অবজ্ঞা করার জন্য বলা হয়? এই কষ্টদায়ক শব্দগুলো এখনই পরিহার করা উচিত। অনেক সংস্থা ঘরোয়া পরিবেশে প্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে ‘অন্যভাবে সক্ষম’ শব্দ উচ্চারণ করলেও তাদের প্রতিবেদন, লিফলেট, ম্যাগাজিন, বই কিংবা মুখের কথায় সব সময় প্রতিবন্ধী শব্দটা ব্যবহার করে থাকে। পৃথিবীতে আমরা কত কিছু কলমের খোঁচায় আর মুখের জোরে পরিবর্তন করে ফেলি, শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দে আশ্রিত এই অমানবিক এবং কষ্টদায়ক শব্দটা পরিবর্তন করতে পারব না? এ প্রশ্নটা আমাকে অহর্নিশ পোড়ায়! কারণ, এই ৭০০ কোটি জনসংখ্যার ভিড়ে ৯০ কোটি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’গুলোর হূদয় পোড়ার অংশীদার আমিও যে একজন! এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। যোগ্যতা অনুযায়ী ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’কে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এই তত্ত্ব ও প্রয়োগের সমন্বয় সমাজে আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অতঃপর এই সচেতনতাই আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনয়নে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পরোক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
২০১১ ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী কোনো না কোনো ধরনের ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’। এদের বেশির ভাগের বাস এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, যারা দরিদ্র এবং অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ১৯৯২-২০০৩কে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র দশক ঘোষণা সত্ত্বেও দেখা যায়, তাদের কল্যাণে প্রণীত আইনের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। পরিবেশগত বাধা, নতুন উদ্ভাবিত চিকিৎসা-পদ্ধতি গ্রহণ, সেবামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা ও আয়ের সুযোগের অভাবের কারণে এখানে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সামাজিক কমিশন (ইউএনএসকাপ) ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র জন্য দ্বিতীয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দশক ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশে আনুমানিক দেড় কোটি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’ রয়েছে। এডিডি নিউজ লেটারে উল্লিখিত তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮ শতাংশ শারীরিক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ৩২ শতাংশ দৃষ্টি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ২২ শতাংশ শ্রবণ ও বাক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ৭ শতাংশ বুদ্ধি ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’, ১১ শতাংশ একাধিক বা বহুমাত্রিক ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষ’। এদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে প্রয়োজন দারিদ্র্য বিমোচনের সব কর্মসূচিতে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সে ক্ষেত্রেও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবিক অধিকারগুলো সম ও পরিপূর্ণভাবে ভোগ করার বিষয়টির উন্নয়ন, সুরক্ষা ও সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সালে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষের অধিকারসংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে’ (UNCRPD) স্বাক্ষর করে। কিন্তু তাদের দাবি ছিল, বাংলাদেশে ওই সনদের আলোকে তৈরি হবে ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র উপযোগী একটি আইন, যেখানে প্রত্যেকের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এ প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। এদিকে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সব নিয়োগে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র কোটা পূরণ করার কথা থাকলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। অন্যদিকে, সরকারঘোষিত ১০ শতাংশ সরকারি চাকরির কোটাও অনেকাংশে পূরণ করা হচ্ছে না।
‘অন্যভাবে সক্ষম মানুষে’র বেঁচে থাকার লড়াইটি সহনীয় করতে আইনগত সুরক্ষা এবং তার বাস্তবায়ন জরুরি।
mahbuburrahman77@gmail.com
No comments