ঘটনাস্থল : নরসিংদী-আগুনে পুড়ে শেষ তিন বোন
বাবা আসেনি বলে ঘুমাতে যাচ্ছিল না তিন বোন। অপেক্ষা করতে করতে রাত অনেক। এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘরে জ্বালানো হয় কুপি। শেষে গল্প শুনিয়ে তিন মেয়েকে পরম যত্নে ঘুম পাড়ান মা নুরজাহান বেগম। স্বামী ঘরে না ফেরায় উৎকণ্ঠিত নুরজাহান দরজায় তালা দিয়ে তাঁর খোঁজে বের হন।
কিন্তু ফিরে এসে আদরের তিন সন্তানের মুখ আর দেখা হয়নি তাঁর। কুপি থেকে লাগা আগুনে পুড়ে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে তারা।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায় হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন বোন হলো বীথি আক্তার (৬), লামিয়া আক্তার (৩) ও পাঁচ মাসের জান্নাত বেগম। তারা ওই এলাকার সাত্তার মিয়ার মেয়ে। এদের মধ্যে বীথি স্থানীয় গাউছিয়া পেশোয়ারিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, সাত্তার মিয়া বাসাইল এলাকার সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি রিকশার গ্যারেজে কাজ করেন। রাত ১১টার দিকে তাঁকে খুঁজতে স্ত্রী নুরজাহান দরজায় তালা দিয়ে বের হন। কিছুক্ষণ পরই কুপি থেকে ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দরজায় তালা থাকায় শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তিন বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সন্তানদের অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-বাবা। তাঁদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত লোকজনও চোখের পানি ফেলে।
মেয়েদের হারিয়ে নূরজাহান বিলাপ করতে করতে বলেছিলেন, 'কারেন্ট চলে যাওয়ায় কুপির আগুন জ্বালাইছিলাম। কিন্তু সে আগুন যে আমার মাইয়্যাগো পুরাইয়্যা মারব তা তো ভাবি নাই। আমার ভুলের জন্যই আমার মাইয়্যাগো মরতে হলো। তাদের ছেড়ে আমি এখন কিভাবে থাকব।' বলতে বলতে আবার বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাত্তার মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কী থেকে কী হইয়্যা গেল, কিচ্ছু বুঝতে পারতাছি না। বিকালে আমি মাদের (মেয়েদের) আদর কইরা কাজ করতে আইছি। আমার মা-রা এভাবে আমাদের ছাইরা যাইতে পারে না।'
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কুপি থেকে আলনার কাপড়ে আগুন লেগে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের তিন বোনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায় হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন বোন হলো বীথি আক্তার (৬), লামিয়া আক্তার (৩) ও পাঁচ মাসের জান্নাত বেগম। তারা ওই এলাকার সাত্তার মিয়ার মেয়ে। এদের মধ্যে বীথি স্থানীয় গাউছিয়া পেশোয়ারিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, সাত্তার মিয়া বাসাইল এলাকার সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি রিকশার গ্যারেজে কাজ করেন। রাত ১১টার দিকে তাঁকে খুঁজতে স্ত্রী নুরজাহান দরজায় তালা দিয়ে বের হন। কিছুক্ষণ পরই কুপি থেকে ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দরজায় তালা থাকায় শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তিন বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সন্তানদের অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-বাবা। তাঁদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত লোকজনও চোখের পানি ফেলে।
মেয়েদের হারিয়ে নূরজাহান বিলাপ করতে করতে বলেছিলেন, 'কারেন্ট চলে যাওয়ায় কুপির আগুন জ্বালাইছিলাম। কিন্তু সে আগুন যে আমার মাইয়্যাগো পুরাইয়্যা মারব তা তো ভাবি নাই। আমার ভুলের জন্যই আমার মাইয়্যাগো মরতে হলো। তাদের ছেড়ে আমি এখন কিভাবে থাকব।' বলতে বলতে আবার বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাত্তার মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কী থেকে কী হইয়্যা গেল, কিচ্ছু বুঝতে পারতাছি না। বিকালে আমি মাদের (মেয়েদের) আদর কইরা কাজ করতে আইছি। আমার মা-রা এভাবে আমাদের ছাইরা যাইতে পারে না।'
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কুপি থেকে আলনার কাপড়ে আগুন লেগে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের তিন বোনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
No comments