এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-আলোকচিত্রীর সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেক
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে ২৭ মার্চ এসেছিলেন আলোকচিত্রী ও আলোকচিত্র পরামর্শদাতা (ফটোগ্রাফার অ্যান্ড ভিজুয়াল কনসালট্যান্ট) অনিন্দ্য কবির অভিক। তিনি কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্র পেশার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলোকচিত্র (ফটোগ্রাফি) পেশাকে সামাজিকভাবে কীভাবে নেওয়া হয়? পরিবার থেকেই বা কী ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়?
অনিন্দ্য কবির অভিক: ক্যামেরায় ছবি তুলতে হলে জানতে হবে আলোকচিত্রের নানা কৌশল। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত আলোকচিত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশেই এখন তরুণদের হাতে ক্যামেরা রয়েছে। আমাদের দেশে অনেকেই এ পেশাকে একটু বাঁকা চোখে দেখে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার কারণেই হয়ে থাকে। তবে তরুণেরা যেভাবে এ পেশায় আসছে তা ফটোগ্রাফির জন্য সত্যিই ইতিবাচক দিক।
কথাবন্ধু: ফটোগ্রাফি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। সে ক্ষেত্রে এখানে কী কী প্রতিবন্ধকতা কাজ করে বলে আপনি মনে করেন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: সত্যিই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এখানে ভালো করতে নিজেকেই নিজের সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে তুলতে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। যোগ্য ও দক্ষ না হলে এখানে টিকে থাকা খুবই কঠিন।
শ্রোতাবন্ধু মিতু (খুদেবার্তা থেকে): চাকরি অথবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি পেশায় কাজের ক্ষেত্রগুলো কোথায়? এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি?
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি নানা রকমের হয়ে থাকে। যেমন: ফটোজার্নালিজম, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, ইভেন্ট ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। কেউ যদি ফটোজার্নালিস্ট হতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে সংবাদ বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কারণ, এখানে কিছু ছবি তুলে নিয়ে এলেই হবে না, তার সঙ্গে একটি গল্পও থাকতে হবে। এ জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার। দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফটোগ্রাফির ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়। তার মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘পাঠশালা’ বছরজুড়েই নানা কোর্সের আয়োজন করে থাকে। দু-একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। আরও কিছু ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বেসিক ও অ্যাডভান্স কোর্স অফার করে থাকে।
কথাবন্ধু: একজন দক্ষ আলোকচিত্রশিল্পী হতে হলে কি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি খুবই জরুরি?
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি হচ্ছে একটি আর্ট বা সৃজনশীলতা। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে আর্ট বা সৃজনশীলতা হয় না। সৃজনশীলতা ভেতরে থাকতে হয় এবং তাকে লালন করতে হয়। এভাবেই একজন শিল্পীর সাফল্য আসে। তাই সবকিছু শুধু পড়াশোনা দিয়ে সম্ভব নয়।
শ্রোতাবন্ধু করম আলী (খুদেবার্তা থেকে): একজন আলোকচিত্রীর কি কোনো সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে?
অনিন্দ্য কবির অভিক: আলোকচিত্র বা ছবি তোলা একজন ফটোগ্রাফারের পেশা অথবা নেশা। একজন আলোকচিত্রীর সামাজিক দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে। কারণ, তিনি এমন কিছু করবেন না, যাতে কোনো ঝামেলা হয় বা কেউ বিরক্ত হন।একজন আলোকচিত্রী সব সময় সত্যকে তুলে ধরবেন। এটাই তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা।
কথাবন্ধু: আমাদের অনেকেরই ধারণা, দামি ক্যামেরা বা অনেক বেশি মেগাপিক্সেল হলেই সেটি একটি ভালো ক্যামেরা। এটা কি ঠিক?
অনিন্দ্য কবির অভিক: মেগাপিক্সেল মানেই ভালো ক্যামেরা নয়। তার কারণ, নামী একটি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসেটেও ৪১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেওয়া হয়। এখন আপনি যদি মেগাপিক্সেলে বিশ্বাস করেন তাহলে বলব, আপনি ফোনটা কিনবেন, ক্যামেরা নয়। ক্যামেরার মধ্যে ইমেজ সেন্সর, লেন্সসহ অনেক বিষয় থাকে। তাই ক্যামেরার ক্ষেত্রে শুধু মেগাপিক্সেল গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ জন্য অনেক বিষয় দেখে তারপরই ক্যামেরা কেনা উচিত।
কথাবন্ধু: ফটোগ্রাফি কি শুধুই স্মৃতিকে ধারণ করা, না অন্য কিছু? আপনি কী মনে করেন।
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি সব সময় একটি মুহূর্তকেই ধরে রাখে। সেটার প্রয়োগ এবং ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আবার ফটোগ্রাফি দিয়ে সচেতনতাও তৈরি করা সম্ভব। যেকোনো মাধ্যমেই ফটোগ্রাফির প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। একজন ফটোগ্রাফার সমাজ ও মানুষের জন্য ভালো অবদান রাখতে পারেন।
কথাবন্ধু: অনলাইনে এখন অনেক ওয়েবসাইট থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করা যায়। এই কোর্সগুলোর খরচ কেমন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: অনলাইনে অনেকেই এখন কোর্স করাচ্ছে। এ জন্য গুগলে অনলাইন ফটোগ্রাফি কোর্স লিখে সার্চ দিলেই দেখবেন, অনেক ওয়েবসাইট চলে আসবে। ইনস্টিটিউট ও কোর্স ভেদে খরচ কমবেশি হতে পারে।
শ্রোতাবন্ধু জয় (খুদেবার্তা থেকে): একজন আলোকচিত্রীর অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন পত্রিকা তাঁদের ছবি ছাপাচ্ছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ছবি পাঠিয়ে আলোকচিত্রীরা প্রতারিত হচ্ছেন। এটি আলোকচিত্রশিল্পীদের কাজের ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: এটি খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও দুঃখজনক ঘটনা। বড় বড় সংবাদপত্র থেকে শুরু করে ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও এবং এজেন্সিগুলো অবলীলায় এই কাজ করে থাকে। ফটোগ্রাফি এখন পুরোটাই ইন্টারনেটনির্ভর। ফটোগ্রাফারদের ছবি প্রচার করার একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এ জন্য আমরা অনেকেই ফ্লিকার বা ফেসবুক ব্যবহার করি। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়তই ছবি চুরি করে তা প্রচার করে। অনেক সময় প্রতিষ্ঠানগুলো দুঃখ প্রকাশ করলেও মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হন ফটোগ্রাফার।
কথাবন্ধু: এ ব্যাপারে কোনো আইন বা কোনো নীতিমালা আছে কি? যদি থাকে তবে তার বাস্তবায়ন বা কোনো প্রয়োগ আছে কি না?
অনিন্দ্য কবির অভিক: এ ব্যাপারে আইন তো আছেই। কিন্তু আইনটি আসলে যুগোপযোগী নয়। আইনগত পদ্ধতিটি অনেক দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে কেউ এ বিষয়ে এগোতে চায় না। যাঁরা আলোকচিত্রীদের অনুমতি না নিয়ে ছবিগুলো নিচ্ছেন, তাঁরা এ ব্যাপারটি জানেন। তবে জেনেও কেন তাঁরা এ কাজ করছেন, সেটাই আসলে বোধগম্য নয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
অনিন্দ্য কবির অভিক: ক্যামেরায় ছবি তুলতে হলে জানতে হবে আলোকচিত্রের নানা কৌশল। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত আলোকচিত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশেই এখন তরুণদের হাতে ক্যামেরা রয়েছে। আমাদের দেশে অনেকেই এ পেশাকে একটু বাঁকা চোখে দেখে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার কারণেই হয়ে থাকে। তবে তরুণেরা যেভাবে এ পেশায় আসছে তা ফটোগ্রাফির জন্য সত্যিই ইতিবাচক দিক।
কথাবন্ধু: ফটোগ্রাফি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। সে ক্ষেত্রে এখানে কী কী প্রতিবন্ধকতা কাজ করে বলে আপনি মনে করেন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: সত্যিই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এখানে ভালো করতে নিজেকেই নিজের সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে তুলতে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। যোগ্য ও দক্ষ না হলে এখানে টিকে থাকা খুবই কঠিন।
শ্রোতাবন্ধু মিতু (খুদেবার্তা থেকে): চাকরি অথবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি পেশায় কাজের ক্ষেত্রগুলো কোথায়? এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে কি?
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি নানা রকমের হয়ে থাকে। যেমন: ফটোজার্নালিজম, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, ইভেন্ট ফটোগ্রাফি, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। কেউ যদি ফটোজার্নালিস্ট হতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে সংবাদ বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কারণ, এখানে কিছু ছবি তুলে নিয়ে এলেই হবে না, তার সঙ্গে একটি গল্পও থাকতে হবে। এ জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার। দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফটোগ্রাফির ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়। তার মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘পাঠশালা’ বছরজুড়েই নানা কোর্সের আয়োজন করে থাকে। দু-একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। আরও কিছু ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বেসিক ও অ্যাডভান্স কোর্স অফার করে থাকে।
কথাবন্ধু: একজন দক্ষ আলোকচিত্রশিল্পী হতে হলে কি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি খুবই জরুরি?
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি হচ্ছে একটি আর্ট বা সৃজনশীলতা। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে আর্ট বা সৃজনশীলতা হয় না। সৃজনশীলতা ভেতরে থাকতে হয় এবং তাকে লালন করতে হয়। এভাবেই একজন শিল্পীর সাফল্য আসে। তাই সবকিছু শুধু পড়াশোনা দিয়ে সম্ভব নয়।
শ্রোতাবন্ধু করম আলী (খুদেবার্তা থেকে): একজন আলোকচিত্রীর কি কোনো সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে?
অনিন্দ্য কবির অভিক: আলোকচিত্র বা ছবি তোলা একজন ফটোগ্রাফারের পেশা অথবা নেশা। একজন আলোকচিত্রীর সামাজিক দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে। কারণ, তিনি এমন কিছু করবেন না, যাতে কোনো ঝামেলা হয় বা কেউ বিরক্ত হন।একজন আলোকচিত্রী সব সময় সত্যকে তুলে ধরবেন। এটাই তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা।
কথাবন্ধু: আমাদের অনেকেরই ধারণা, দামি ক্যামেরা বা অনেক বেশি মেগাপিক্সেল হলেই সেটি একটি ভালো ক্যামেরা। এটা কি ঠিক?
অনিন্দ্য কবির অভিক: মেগাপিক্সেল মানেই ভালো ক্যামেরা নয়। তার কারণ, নামী একটি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনসেটেও ৪১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেওয়া হয়। এখন আপনি যদি মেগাপিক্সেলে বিশ্বাস করেন তাহলে বলব, আপনি ফোনটা কিনবেন, ক্যামেরা নয়। ক্যামেরার মধ্যে ইমেজ সেন্সর, লেন্সসহ অনেক বিষয় থাকে। তাই ক্যামেরার ক্ষেত্রে শুধু মেগাপিক্সেল গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ জন্য অনেক বিষয় দেখে তারপরই ক্যামেরা কেনা উচিত।
কথাবন্ধু: ফটোগ্রাফি কি শুধুই স্মৃতিকে ধারণ করা, না অন্য কিছু? আপনি কী মনে করেন।
অনিন্দ্য কবির অভিক: ফটোগ্রাফি সব সময় একটি মুহূর্তকেই ধরে রাখে। সেটার প্রয়োগ এবং ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আবার ফটোগ্রাফি দিয়ে সচেতনতাও তৈরি করা সম্ভব। যেকোনো মাধ্যমেই ফটোগ্রাফির প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। একজন ফটোগ্রাফার সমাজ ও মানুষের জন্য ভালো অবদান রাখতে পারেন।
কথাবন্ধু: অনলাইনে এখন অনেক ওয়েবসাইট থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করা যায়। এই কোর্সগুলোর খরচ কেমন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: অনলাইনে অনেকেই এখন কোর্স করাচ্ছে। এ জন্য গুগলে অনলাইন ফটোগ্রাফি কোর্স লিখে সার্চ দিলেই দেখবেন, অনেক ওয়েবসাইট চলে আসবে। ইনস্টিটিউট ও কোর্স ভেদে খরচ কমবেশি হতে পারে।
শ্রোতাবন্ধু জয় (খুদেবার্তা থেকে): একজন আলোকচিত্রীর অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন পত্রিকা তাঁদের ছবি ছাপাচ্ছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ছবি পাঠিয়ে আলোকচিত্রীরা প্রতারিত হচ্ছেন। এটি আলোকচিত্রশিল্পীদের কাজের ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন?
অনিন্দ্য কবির অভিক: এটি খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও দুঃখজনক ঘটনা। বড় বড় সংবাদপত্র থেকে শুরু করে ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও এবং এজেন্সিগুলো অবলীলায় এই কাজ করে থাকে। ফটোগ্রাফি এখন পুরোটাই ইন্টারনেটনির্ভর। ফটোগ্রাফারদের ছবি প্রচার করার একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এ জন্য আমরা অনেকেই ফ্লিকার বা ফেসবুক ব্যবহার করি। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়তই ছবি চুরি করে তা প্রচার করে। অনেক সময় প্রতিষ্ঠানগুলো দুঃখ প্রকাশ করলেও মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হন ফটোগ্রাফার।
কথাবন্ধু: এ ব্যাপারে কোনো আইন বা কোনো নীতিমালা আছে কি? যদি থাকে তবে তার বাস্তবায়ন বা কোনো প্রয়োগ আছে কি না?
অনিন্দ্য কবির অভিক: এ ব্যাপারে আইন তো আছেই। কিন্তু আইনটি আসলে যুগোপযোগী নয়। আইনগত পদ্ধতিটি অনেক দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে কেউ এ বিষয়ে এগোতে চায় না। যাঁরা আলোকচিত্রীদের অনুমতি না নিয়ে ছবিগুলো নিচ্ছেন, তাঁরা এ ব্যাপারটি জানেন। তবে জেনেও কেন তাঁরা এ কাজ করছেন, সেটাই আসলে বোধগম্য নয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments