চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-নিশ্চিত করুন শিক্ষার পরিবেশ
আবার গোলযোগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিহ্নিত একটি শক্তি আবার নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে বলেই ধারণা করা যেতে পারে। শাটল ট্রেনে হামলা চালিয়ে, চালককে অপহরণ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের বাসের চাকা কেটে দিয়ে দানবীয় চেহারায় আবার আবির্ভূত হতে চায় একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক
দলের ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার নতুন কৌশলও বেছে নিয়েছে সংগঠনটি। এবার শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকদের ঘরে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে একইভাবে সুপার গ্লু লাগানো হয়েছে বাস চালু করার সুইচেও।
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা নিহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ খুলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দুই দিন আগে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো। কিন্তু একটি আবাসিক হলে পরস্পরবিরোধী ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির মুখোমুখি অবস্থান নিলে ওই হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনই ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন থেকেই ছাত্রশিবির নতুন করে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতির বক্তব্যে তার ইঙ্গিতও রয়েছে। তিনি বলেছেন, 'বন্ধ থাকা শাহ্ আমানত হলের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এটা করতে পারে।' তিনি ছাত্রশিবিরের এই তাণ্ডবকে যৌক্তিক আন্দোলন বলেছেন। ছাত্রশিবির যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এ প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকেই যেন গোলযোগ লেগেই আছে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে। একসময় রগকাটা রাজনীতি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় বলে কথিত আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত সংগঠনগুলোর সংঘর্ষ লেগেই আছে। এ সংঘর্ষের কারণে গত দুই বছরে ১৫১ দিন ক্লাস বন্ধ থেকেছে। নিয়মিত পাঠ থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত হতে হয়েছে। একনাগাড়ে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হন। এখানে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ থেকে একটি করে দিন নষ্ট হলেও সেটা যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ক্ষতি, তেমনি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীদের পরিবারও। শিক্ষাবর্ষ প্রলম্বিত হওয়ার পাশাপাশি এতে বেড়ে যায় শিক্ষাব্যয়। সবচেয়ে বড় কথা, শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় অনিশ্চয়তার মধ্যে।
সংঘাতময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলযোগ সৃষ্টি অব্যাহত রেখে শিবির তাদের মূল রাজনৈতিক সংগঠনের দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রচেষ্টাকেই মদদ দিচ্ছে কি না, সচেতন দেশবাসী সে প্রশ্ন করছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বিঘি্নত হবে এমন কোনো কর্মসূচি দেশবাসী সমর্থন করছে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেনের চালক অপহরণ ও বাসের টায়ার কেটে দেওয়ার ঘটনার জের গড়িয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টায়। শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হয়েছে গাছতলায়। বাতিল করতে হয়েছে পরীক্ষা। কাজেই ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো কর্মসূচি কঠোর হাতে দমন করাই হবে বাঞ্ছনীয়। যেকোনো মূল্যেই শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা নিহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ খুলে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দুই দিন আগে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো। কিন্তু একটি আবাসিক হলে পরস্পরবিরোধী ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির মুখোমুখি অবস্থান নিলে ওই হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনই ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন থেকেই ছাত্রশিবির নতুন করে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতির বক্তব্যে তার ইঙ্গিতও রয়েছে। তিনি বলেছেন, 'বন্ধ থাকা শাহ্ আমানত হলের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এটা করতে পারে।' তিনি ছাত্রশিবিরের এই তাণ্ডবকে যৌক্তিক আন্দোলন বলেছেন। ছাত্রশিবির যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এ প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকেই যেন গোলযোগ লেগেই আছে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে। একসময় রগকাটা রাজনীতি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় বলে কথিত আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত সংগঠনগুলোর সংঘর্ষ লেগেই আছে। এ সংঘর্ষের কারণে গত দুই বছরে ১৫১ দিন ক্লাস বন্ধ থেকেছে। নিয়মিত পাঠ থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত হতে হয়েছে। একনাগাড়ে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হন। এখানে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ থেকে একটি করে দিন নষ্ট হলেও সেটা যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ক্ষতি, তেমনি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীদের পরিবারও। শিক্ষাবর্ষ প্রলম্বিত হওয়ার পাশাপাশি এতে বেড়ে যায় শিক্ষাব্যয়। সবচেয়ে বড় কথা, শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় অনিশ্চয়তার মধ্যে।
সংঘাতময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলযোগ সৃষ্টি অব্যাহত রেখে শিবির তাদের মূল রাজনৈতিক সংগঠনের দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রচেষ্টাকেই মদদ দিচ্ছে কি না, সচেতন দেশবাসী সে প্রশ্ন করছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বিঘি্নত হবে এমন কোনো কর্মসূচি দেশবাসী সমর্থন করছে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেনের চালক অপহরণ ও বাসের টায়ার কেটে দেওয়ার ঘটনার জের গড়িয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টায়। শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হয়েছে গাছতলায়। বাতিল করতে হয়েছে পরীক্ষা। কাজেই ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো কর্মসূচি কঠোর হাতে দমন করাই হবে বাঞ্ছনীয়। যেকোনো মূল্যেই শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
No comments