ডেসটিনির 'অনিয়ম' তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
ডেসটিনি গ্রুপের সার্বিক অনিয়মের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে খতিয়ে দেখবে জয়েন্ট স্টক কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে অবৈধ আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ কমিটি গঠন
করা হয়েছিল গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের পর গতকাল মঙ্গলবার ওই কমিটির প্রধানকে এক নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, কেবল ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিই নয়, ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমও তদন্ত করবে এ কমিটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন। ডেসটিনি কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওই কর্মকর্তা।
এর পরই তদন্ত কমিটির প্রধান ও জয়েন্ট স্টক কম্পানির ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার আহমেদুর রহিমকে গতকাল সচিবালয়ে ডেকে নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁকে তখনই এ ব্যাপারে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা সব ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও এখনো সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধি চূড়ান্ত না হওয়ায় তদন্তকাজ শুরুই করতে পারেনি কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল পর্যন্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কোনো কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্রুত নাম পাঠাতে সোমবার এসইসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আহমেদুর রহিমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রবিধি ও নীতি অধিশাখার উপসচিব মো. রিজওয়ানুল হুদা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি-২) মনজুর হাসান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের উপপরিচালক এনামুল হক মজুমদার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান।
অতিদ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির প্রধানকে গত সোমবার চিঠিও পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বললে ডেসটিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারসহ গ্রাহকদের রাতারাতি বড়লোক বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেন করছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি যেকোনো সময় যুবক ও আইটিসিএলের মতো হতে পারে। এ ছাড়া গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ক্ষমতাও ডেসটিনির নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন। ডেসটিনি কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওই কর্মকর্তা।
এর পরই তদন্ত কমিটির প্রধান ও জয়েন্ট স্টক কম্পানির ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার আহমেদুর রহিমকে গতকাল সচিবালয়ে ডেকে নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁকে তখনই এ ব্যাপারে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা সব ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও এখনো সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধি চূড়ান্ত না হওয়ায় তদন্তকাজ শুরুই করতে পারেনি কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল পর্যন্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কোনো কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্রুত নাম পাঠাতে সোমবার এসইসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আহমেদুর রহিমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রবিধি ও নীতি অধিশাখার উপসচিব মো. রিজওয়ানুল হুদা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি-২) মনজুর হাসান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের উপপরিচালক এনামুল হক মজুমদার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান।
অতিদ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির প্রধানকে গত সোমবার চিঠিও পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বললে ডেসটিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেসটিনির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারসহ গ্রাহকদের রাতারাতি বড়লোক বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেন করছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি যেকোনো সময় যুবক ও আইটিসিএলের মতো হতে পারে। এ ছাড়া গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ক্ষমতাও ডেসটিনির নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments