ফুটপাতে যতো উৎপাত by টিটু সাহা
প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় অসংখ্য মানুষ হেঁটে চলাচল করে। কিন্তু যে ফুটপাত দিয়ে তাদের হাঁটতে হয়, তা হাঁটার জন্য উপযোগী নয়। হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (এইচডিআরসি) একটি গবেষণার তথ্যমতে, ঢাকায় মানুষের ৭৬ শতাংশ যাতায়াত ৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
এর অর্ধেকই হেঁটে চলাচল করে। এসব মানুষের বেশিরভাগই হাঁটার জন্য ব্যবহার করে নগরীর ফুটপাতগুলো। তবে দুঃখজনক হচ্ছে, মহানগরীর এই ফুটপাতগুলো পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রায় অনুপযুক্ত।
খোলা ম্যানহোল, হকারদের দৌরাত্ম, অবৈধ স্থপনা, দখল, অবৈধ পার্কিং, মানুষের মলমূত্র ও অন্য আবর্জনা, মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম, ভবন নির্মাণ সামগ্রী গায়ে পড়ার আশঙ্কাসহ নানা কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে ঢাকার ফুটপাতগুলো। ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, মৌচাক, মতিঝিল, ধানমণ্ডিসহ নগরীর এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ফুটপাতগুলো সাধারণ পথচারীদের চলাচলের উপযোগী। ফুটপাতের এসব সমস্যা সমাধোনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষদের মধ্যে রয়েছে দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা।
ফুটপাতে চলতে গেলে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে একটি হলো খোলা ম্যানহোল। দেখা যায়, ফুটপাতে বিপজ্জনকভাবে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় রয়েছে। একটু অসচেতন হলেই সেখানে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পথচারীর। সরেজমিন রাজধানীর ফার্মগেট, মৌচাক, মালিবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ অনেক এলাকায় দেখা গেছে, ফুটপাতের ম্যানহোল খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রাজধানীর ফুটপাতে হকারের উৎপাত আরেকটি বড় সমস্যা। ফার্মগেট, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, নিউমার্কেট ও মতিঝিলসহ প্রায় সব ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাতই অবৈধ হকারদের দখলে। পণ্যসামগ্রীতে ফুটপাত এমনভাবে দখল করা যে, সে পথ দিয়ে মানুষের চলাচল করা অসম্ভব।
অভিযোগ রয়েছে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাব ও পুলিশ-মাস্তানদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে ব্যবসা।
দেখা গেছে, ফার্মগেট সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতের প্রায় পুরোটা জুড়ে হকারদের পণ্যসামগ্রী থরে থরে সাজানো। এখানকার ফুটপাতগুলোতে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সবসময় রীতিমত যানজট লেগেই থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দখলে থাকা ফুটপাতগুলোতে সাধারণ পথচারীরা চলতে গিয়ে নানা সমস্যা ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফলে ফুটপাতে হাঁটতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না অনেকেই।
নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উচ্ছেদ না করে সমস্যাযুক্ত এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে হকারদের বসার ব্যবস্থা করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু ঢালাওভাবে সব হকারদের উচ্ছেদ করলে নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হবে।’
অনেক স্থানে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশন নিজেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে। ধানমণ্ডি, ঝিগাতলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কাঁটাবন, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, প্রেসক্লাব প্রভৃতি এলাকায় ফুটপাত দখল করে বেসরকারি বাস এবং বিআরটিসি সার্ভিসের কাউন্টার বসানো হয়েছে। ফুটপাতে অস্থায়ী এসব কাউন্টার প্রতিনিয়ত পথচারি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবলিক টয়লেট না থাকায় ফুটপাতই রাজধানীর টয়লেট হয়ে উঠেছে। ফার্মগেট থেকে খামারবাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার উত্তর পার্শ্বে দেখা যায়, পার্কসংলগ্ন ফুটপাতের অবস্থা শোচনীয়। এ পথে দেখা যায় লোকজন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করছে। ফলে নোংরা ও দুর্গন্ধে এ পথ কেউ মাড়ান না। হলিক্রস কলেজের সামনে, টিএসসি, জাদুঘরের পাশে, কাওরানবাজারসহ অনেক এলাকার ফুটপাতেও এ সমস্যা ভয়াবহ।
আবার কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে, ফুটপাত দখল করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলছে। ফলে এসব ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না।
অনেক ফুটপাতে দেখা গেছে ইট, রড, বালি, পাথর প্রভৃতি নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে। পথ চলতে গিয়ে অনেকেই বিপজ্জনকবাবে পড়ে থাকা এসব নির্মাণসামগ্রীতে হোঁচট খেয়ে আহত হওয়ারও বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌচাক, ধানমণ্ডি, গুলিস্তান, পল্টনসহ রাজধানীর অনেক স্থানের ফুটপাতেই এ দৃশ্য চোখে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দিনের পর দিন পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষকে বললেও তাদের কথা কেউ কানে নেয় না।
বিজয়নগর, ইস্কাটন রোডে ফুটপাত বন্ধ করে গাড়ি মেরামত করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর আরো অনেক স্থানেই এরকম দৃশ্য চোখে পড়েছে।
সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক তুষার রহমান জানান, রাজধানীর অসংখ্য মানুষ ফুটপাত ব্যবহার করে। কিন্তু ফুটপাতের পরিমাণ সে তুলনায় অনেক কম। যেটুকু রয়েছে তাও চলাচলের জন্য অনিরাপদ। তীব্র যানজটের সময় দেখা যায়, অনেকে নিয়ম ভেঙে ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তিনি দ্রুত ফুটপাতে চলাচরকারী পথচারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
নগরীতে যানজটের অন্যতম একটি কারণ রাস্তা দখল করে অবৈধ পার্কিং। তবে অবৈধ পার্কিং ফুটপাত দখল করেও করা হয়। সরজমিন নিউমার্কেট, মতিঝিল অফিস এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ফুটপাতে নিয়মিত প্রাইভেট কার পার্কিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস এলাকা, শপিং মল, মার্কেট এবং বড়বড় রেস্টুরেন্টের সামনে এ সমস্যা প্রবল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার ওভারব্রিজগুলোও ফুটপাতে পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। দেখা গেছে, অনেক ওভারব্রিজ রয়েছে যেগুলো ফুটপাতের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ফুটপাতের ডিজাইনও মানুষের চলাচলের উপযোগী নয়।
অন্যদিকে যে এলাকায় আবার ফুটপাতে এসব কোনো সমসাই নেই সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। সম্প্রতি দেখা গেছে, রাস্তার পাশে যেসব ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলো থেকে ইট-পাথর-লোহার টুকরোসহ নির্মাণ সামগ্রী পড়ে পথচারীরা আহত হচ্ছে। রাজধানীতে এরকম একটি ঘটনায় কিছুদিন আগে পান্থপথে এক ছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করে। কিন্তু তাতে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
দুটি সিটি কর্পোরেশনের তথ্যমতে, ঢাকায় মোট ফুটপাতের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার।
খোলা ম্যানহোল, হকারদের দৌরাত্ম, অবৈধ স্থপনা, দখল, অবৈধ পার্কিং, মানুষের মলমূত্র ও অন্য আবর্জনা, মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম, ভবন নির্মাণ সামগ্রী গায়ে পড়ার আশঙ্কাসহ নানা কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে ঢাকার ফুটপাতগুলো। ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, মৌচাক, মতিঝিল, ধানমণ্ডিসহ নগরীর এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ফুটপাতগুলো সাধারণ পথচারীদের চলাচলের উপযোগী। ফুটপাতের এসব সমস্যা সমাধোনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষদের মধ্যে রয়েছে দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা।
ফুটপাতে চলতে গেলে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে একটি হলো খোলা ম্যানহোল। দেখা যায়, ফুটপাতে বিপজ্জনকভাবে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় রয়েছে। একটু অসচেতন হলেই সেখানে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পথচারীর। সরেজমিন রাজধানীর ফার্মগেট, মৌচাক, মালিবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ অনেক এলাকায় দেখা গেছে, ফুটপাতের ম্যানহোল খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রাজধানীর ফুটপাতে হকারের উৎপাত আরেকটি বড় সমস্যা। ফার্মগেট, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, নিউমার্কেট ও মতিঝিলসহ প্রায় সব ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাতই অবৈধ হকারদের দখলে। পণ্যসামগ্রীতে ফুটপাত এমনভাবে দখল করা যে, সে পথ দিয়ে মানুষের চলাচল করা অসম্ভব।
অভিযোগ রয়েছে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাব ও পুলিশ-মাস্তানদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে ব্যবসা।
দেখা গেছে, ফার্মগেট সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতের প্রায় পুরোটা জুড়ে হকারদের পণ্যসামগ্রী থরে থরে সাজানো। এখানকার ফুটপাতগুলোতে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সবসময় রীতিমত যানজট লেগেই থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দখলে থাকা ফুটপাতগুলোতে সাধারণ পথচারীরা চলতে গিয়ে নানা সমস্যা ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফলে ফুটপাতে হাঁটতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না অনেকেই।
নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উচ্ছেদ না করে সমস্যাযুক্ত এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে হকারদের বসার ব্যবস্থা করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু ঢালাওভাবে সব হকারদের উচ্ছেদ করলে নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হবে।’
অনেক স্থানে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশন নিজেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে। ধানমণ্ডি, ঝিগাতলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কাঁটাবন, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, প্রেসক্লাব প্রভৃতি এলাকায় ফুটপাত দখল করে বেসরকারি বাস এবং বিআরটিসি সার্ভিসের কাউন্টার বসানো হয়েছে। ফুটপাতে অস্থায়ী এসব কাউন্টার প্রতিনিয়ত পথচারি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবলিক টয়লেট না থাকায় ফুটপাতই রাজধানীর টয়লেট হয়ে উঠেছে। ফার্মগেট থেকে খামারবাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার উত্তর পার্শ্বে দেখা যায়, পার্কসংলগ্ন ফুটপাতের অবস্থা শোচনীয়। এ পথে দেখা যায় লোকজন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করছে। ফলে নোংরা ও দুর্গন্ধে এ পথ কেউ মাড়ান না। হলিক্রস কলেজের সামনে, টিএসসি, জাদুঘরের পাশে, কাওরানবাজারসহ অনেক এলাকার ফুটপাতেও এ সমস্যা ভয়াবহ।
আবার কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে, ফুটপাত দখল করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলছে। ফলে এসব ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না।
অনেক ফুটপাতে দেখা গেছে ইট, রড, বালি, পাথর প্রভৃতি নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে। পথ চলতে গিয়ে অনেকেই বিপজ্জনকবাবে পড়ে থাকা এসব নির্মাণসামগ্রীতে হোঁচট খেয়ে আহত হওয়ারও বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌচাক, ধানমণ্ডি, গুলিস্তান, পল্টনসহ রাজধানীর অনেক স্থানের ফুটপাতেই এ দৃশ্য চোখে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দিনের পর দিন পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষকে বললেও তাদের কথা কেউ কানে নেয় না।
বিজয়নগর, ইস্কাটন রোডে ফুটপাত বন্ধ করে গাড়ি মেরামত করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর আরো অনেক স্থানেই এরকম দৃশ্য চোখে পড়েছে।
সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক তুষার রহমান জানান, রাজধানীর অসংখ্য মানুষ ফুটপাত ব্যবহার করে। কিন্তু ফুটপাতের পরিমাণ সে তুলনায় অনেক কম। যেটুকু রয়েছে তাও চলাচলের জন্য অনিরাপদ। তীব্র যানজটের সময় দেখা যায়, অনেকে নিয়ম ভেঙে ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তিনি দ্রুত ফুটপাতে চলাচরকারী পথচারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
নগরীতে যানজটের অন্যতম একটি কারণ রাস্তা দখল করে অবৈধ পার্কিং। তবে অবৈধ পার্কিং ফুটপাত দখল করেও করা হয়। সরজমিন নিউমার্কেট, মতিঝিল অফিস এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ফুটপাতে নিয়মিত প্রাইভেট কার পার্কিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস এলাকা, শপিং মল, মার্কেট এবং বড়বড় রেস্টুরেন্টের সামনে এ সমস্যা প্রবল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার ওভারব্রিজগুলোও ফুটপাতে পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। দেখা গেছে, অনেক ওভারব্রিজ রয়েছে যেগুলো ফুটপাতের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ফুটপাতের ডিজাইনও মানুষের চলাচলের উপযোগী নয়।
অন্যদিকে যে এলাকায় আবার ফুটপাতে এসব কোনো সমসাই নেই সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। সম্প্রতি দেখা গেছে, রাস্তার পাশে যেসব ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলো থেকে ইট-পাথর-লোহার টুকরোসহ নির্মাণ সামগ্রী পড়ে পথচারীরা আহত হচ্ছে। রাজধানীতে এরকম একটি ঘটনায় কিছুদিন আগে পান্থপথে এক ছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করে। কিন্তু তাতে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
দুটি সিটি কর্পোরেশনের তথ্যমতে, ঢাকায় মোট ফুটপাতের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার।
No comments