ইভিএম নিয়ে শঙ্কা
আহমেদ জামাল/ জাহিদ হাসান, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির ভোট নিয়ে দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন ভোটাররা। প্রযুক্তির কারসাজিতে নিজের মূল্যবান ভোটটি
পৃষ্ঠা ৮ কলাম ১
পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে না পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের নমুনা ভোটিং প্রশিক্ষণ সভা-সেমিনারে প্রচারণা কোন কিছুতেই আস্থা পাচ্ছেন না ভোটাররা। তাদের অভিযোগ, ফলাফল বানচাল করার অসৎ উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কারণ এতে যে কোন ভোটারের ভোটটি তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে পড়লো কিনা তা দেখা বা জানার সুযোগ নেই- এমন অভিমত তাদের। গতকাল সরজমিন শহরের মফিজাবাদ কলোনি, শাঁখারিপট্টি, গদার মা’র কলোনি ঘুরে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের এমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাদের দাবি পুরনো পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হোক- যাতে আমরা দেখতে এবং জানতে পারি কে কাকে ভোট দিলাম। আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে ভোট নেয়ার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভাল হতে পারে না। ওদিকে ভোটারদের পাশাপাশি ইভিএম পদ্ধতির ভোটিং নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত নাগরিক ফেরামের মনিরুল হক সাক্কুসহ অনেক প্রার্থীও শঙ্কিত। ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রযুক্তির মারপ্যাঁচে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে অবহেলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি মফিজাবাদ কলোনি। এই কলোনির ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭৫০। নির্বাচন ছাড়া এই কলোনিবাসীর খোঁজ কেউ নেয় না- এমন অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের। তবু তারা মনের টানে ভোট দেন, কেন্দ্রে যান- এমন মন্তব্য করেন গৃহিণী কাকলী বেগম, শিল্পী আক্তার, সালেহা বেগমসহ অনেকেই। তাদের দাবি- মেশিনে ভোটগ্রহণের পিছনে নিশ্চয় সরকারের কোন মতলব আছে। শিল্পী বলেন, শুনেছি যে দেশ এই মেশিনে ভোট দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে সে দেশেই এটা বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে এই বাতিল পদ্ধতিতে আমরা ভোট দেবো কেন? তিনি বলেন, নানা কারণে অনেক মহিলা ইভিএম-এর কোন সেমিনার বা প্রশিক্ষণে যায়নি কিংবা যেতে পারেনি। তাহলে ভোটের দিন ওই সব মহিলার কি হবে? এক্ষেত্রে বয়স্ক অশিক্ষিত ভীত মহিলারা বেশি সমস্যায় পড়বেন বলে মন্তব্য করেন শিল্পী। এ সময় উপস্থিত অনেক গৃহিণী শিল্পীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। সিল-টিপসইয়ের পরিবর্তে মেশিনে টিপাটিপির মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে দাবি করেন কলোনির বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা আবদুর রশীদ। তিনি দাবি করেন, কুমিল্লার নির্বাচনে এই টিপাটিপির মাধ্যমে কেবল মেয়র পদের ভোট এদিক-ওদিক হবে। অন্য পদের ভোটের ব্যাপারে হয়তো তেমন হেরফের হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যন্ত্রের মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই পদ্ধতি চালু করেছেন বলে তার অভিমত। সাধারণ পরিবারের অনেক মহিলার অজ্ঞতার কারণে বহু ভোট বাতিল হয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা এই কলোনির বাসিন্দা রানার। তার মতে, অনেক সহজ সরল মহিলা ভয়ে মেশিনের ঠিক জায়গায় হয়তো বা টিপ না দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। গরিব অশিক্ষিত মহিলাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের প্রচারণা কোন কাজে আসেনি বলেও তার দাবি। প্রায় ৭০ বছর বয়স্ক আবদুস সাত্তার মিয়ার আক্ষেপ জীবনের শেষ সময়ে নিজের ভোট নিজ হাতে বাক্সে দিতে পারলাম না। তিনি বলেন, এক একটা ভোট অমূল্য। কিন্তু এই ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলার স্বার্থে এই নতুন কায়দা-কানুন বের করা হয়েছে। আগে সিল মেরে হাতে কালির টিপ দিয়ে ভোট দেয়ার মধ্যে আনন্দ আছে মন্তব্য করে সেই পদ্ধতি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান আবদুস সাত্তার। কথা হয় গদার মা’র কলোনির গৃহবধূ নুপুর, সামনা বেগমসহ অনেকের সঙ্গে। ইভিএম পদ্ধতির প্রশিক্ষণে কলোনির অনেক মহিলাই যায়নি বলে জানান তারা। তাদের যুক্তি ভোট হবে ৫ তারিখে, তার আগে আমরা প্রশিক্ষণে কেন যাবো? তাদের মতে, আমার ভোট আমি কাকে দিলাম- এটা দেখার সুযোগ না থাকলে সেই ধরনের ভোট দিতে আগ্রহী নন অনেক মহিলা। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা চিন্তায় আছেন এই কলোনির বাসিন্দা কাজল বেগম। তিনি বলেন, তারা যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছে সেভাবে ভোট দেবো ঠিকই। কিন্তু ওই ভোট যে আমার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে যাবে তার গ্যারান্টি কি? ইভিএম পদ্ধতিকে সবচেয়ে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন অশীতিপর বৃদ্ধ ফজর আলী। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের খুশিমতো ভোটটা দিতে পারলে মরেও শান্তি পেতাম। কারণ জীবনে এই সিটির নির্বাচন হয়তো আর না-ও পেতে পারি। কিন্তু সরকার আমাদেরকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা যন্ত্রের মারপ্যাঁচ বুঝি না। আগের মতো সোজাসাপটা পদ্ধতিতে ভোট দিতে চাই। ভোট আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব অধিকার। সেই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান ফজর আলী। এদিকে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীর আপত্তিও বেশ জোরালো। বিএনপি থেকে অব্যাহতি নেয়া অন্যতম মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই পদ্ধতির নির্বাচনে এক মার্কার ভোট অন্য মার্কার পক্ষে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। কারণ, এই পদ্ধতিটি ভুল তার প্রমাণ এর উদ্ভাবক দেশটিতেই এটা অচল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জেনে শুনে আমি নির্বাচনে এসেছি জনগণের চাপে। জনগণের চাহিদায়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবক’টি কেন্দ্রে (৬৫) ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য শনিবার থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নমুনা ভোটিং প্রশিক্ষণ শুরু করেছে কমিশন। আগামীকাল পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলার কর্মসূচি রয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসীকে একটি সুষ্ঠু ও নির্ভুল নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন।
পৃষ্ঠা ৮ কলাম ১
পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে না পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের নমুনা ভোটিং প্রশিক্ষণ সভা-সেমিনারে প্রচারণা কোন কিছুতেই আস্থা পাচ্ছেন না ভোটাররা। তাদের অভিযোগ, ফলাফল বানচাল করার অসৎ উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কারণ এতে যে কোন ভোটারের ভোটটি তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে পড়লো কিনা তা দেখা বা জানার সুযোগ নেই- এমন অভিমত তাদের। গতকাল সরজমিন শহরের মফিজাবাদ কলোনি, শাঁখারিপট্টি, গদার মা’র কলোনি ঘুরে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের এমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাদের দাবি পুরনো পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হোক- যাতে আমরা দেখতে এবং জানতে পারি কে কাকে ভোট দিলাম। আমাদেরকে অন্ধকারে রেখে ভোট নেয়ার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভাল হতে পারে না। ওদিকে ভোটারদের পাশাপাশি ইভিএম পদ্ধতির ভোটিং নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত নাগরিক ফেরামের মনিরুল হক সাক্কুসহ অনেক প্রার্থীও শঙ্কিত। ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রযুক্তির মারপ্যাঁচে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে অবহেলিত ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি মফিজাবাদ কলোনি। এই কলোনির ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭৫০। নির্বাচন ছাড়া এই কলোনিবাসীর খোঁজ কেউ নেয় না- এমন অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের। তবু তারা মনের টানে ভোট দেন, কেন্দ্রে যান- এমন মন্তব্য করেন গৃহিণী কাকলী বেগম, শিল্পী আক্তার, সালেহা বেগমসহ অনেকেই। তাদের দাবি- মেশিনে ভোটগ্রহণের পিছনে নিশ্চয় সরকারের কোন মতলব আছে। শিল্পী বলেন, শুনেছি যে দেশ এই মেশিনে ভোট দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে সে দেশেই এটা বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে এই বাতিল পদ্ধতিতে আমরা ভোট দেবো কেন? তিনি বলেন, নানা কারণে অনেক মহিলা ইভিএম-এর কোন সেমিনার বা প্রশিক্ষণে যায়নি কিংবা যেতে পারেনি। তাহলে ভোটের দিন ওই সব মহিলার কি হবে? এক্ষেত্রে বয়স্ক অশিক্ষিত ভীত মহিলারা বেশি সমস্যায় পড়বেন বলে মন্তব্য করেন শিল্পী। এ সময় উপস্থিত অনেক গৃহিণী শিল্পীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। সিল-টিপসইয়ের পরিবর্তে মেশিনে টিপাটিপির মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে দাবি করেন কলোনির বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দা আবদুর রশীদ। তিনি দাবি করেন, কুমিল্লার নির্বাচনে এই টিপাটিপির মাধ্যমে কেবল মেয়র পদের ভোট এদিক-ওদিক হবে। অন্য পদের ভোটের ব্যাপারে হয়তো তেমন হেরফের হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যন্ত্রের মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই পদ্ধতি চালু করেছেন বলে তার অভিমত। সাধারণ পরিবারের অনেক মহিলার অজ্ঞতার কারণে বহু ভোট বাতিল হয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা এই কলোনির বাসিন্দা রানার। তার মতে, অনেক সহজ সরল মহিলা ভয়ে মেশিনের ঠিক জায়গায় হয়তো বা টিপ না দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। গরিব অশিক্ষিত মহিলাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের প্রচারণা কোন কাজে আসেনি বলেও তার দাবি। প্রায় ৭০ বছর বয়স্ক আবদুস সাত্তার মিয়ার আক্ষেপ জীবনের শেষ সময়ে নিজের ভোট নিজ হাতে বাক্সে দিতে পারলাম না। তিনি বলেন, এক একটা ভোট অমূল্য। কিন্তু এই ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলার স্বার্থে এই নতুন কায়দা-কানুন বের করা হয়েছে। আগে সিল মেরে হাতে কালির টিপ দিয়ে ভোট দেয়ার মধ্যে আনন্দ আছে মন্তব্য করে সেই পদ্ধতি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান আবদুস সাত্তার। কথা হয় গদার মা’র কলোনির গৃহবধূ নুপুর, সামনা বেগমসহ অনেকের সঙ্গে। ইভিএম পদ্ধতির প্রশিক্ষণে কলোনির অনেক মহিলাই যায়নি বলে জানান তারা। তাদের যুক্তি ভোট হবে ৫ তারিখে, তার আগে আমরা প্রশিক্ষণে কেন যাবো? তাদের মতে, আমার ভোট আমি কাকে দিলাম- এটা দেখার সুযোগ না থাকলে সেই ধরনের ভোট দিতে আগ্রহী নন অনেক মহিলা। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা চিন্তায় আছেন এই কলোনির বাসিন্দা কাজল বেগম। তিনি বলেন, তারা যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছে সেভাবে ভোট দেবো ঠিকই। কিন্তু ওই ভোট যে আমার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে যাবে তার গ্যারান্টি কি? ইভিএম পদ্ধতিকে সবচেয়ে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন অশীতিপর বৃদ্ধ ফজর আলী। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের খুশিমতো ভোটটা দিতে পারলে মরেও শান্তি পেতাম। কারণ জীবনে এই সিটির নির্বাচন হয়তো আর না-ও পেতে পারি। কিন্তু সরকার আমাদেরকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা যন্ত্রের মারপ্যাঁচ বুঝি না। আগের মতো সোজাসাপটা পদ্ধতিতে ভোট দিতে চাই। ভোট আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব অধিকার। সেই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান ফজর আলী। এদিকে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীর আপত্তিও বেশ জোরালো। বিএনপি থেকে অব্যাহতি নেয়া অন্যতম মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই পদ্ধতির নির্বাচনে এক মার্কার ভোট অন্য মার্কার পক্ষে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। কারণ, এই পদ্ধতিটি ভুল তার প্রমাণ এর উদ্ভাবক দেশটিতেই এটা অচল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জেনে শুনে আমি নির্বাচনে এসেছি জনগণের চাপে। জনগণের চাহিদায়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবক’টি কেন্দ্রে (৬৫) ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য শনিবার থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নমুনা ভোটিং প্রশিক্ষণ শুরু করেছে কমিশন। আগামীকাল পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলার কর্মসূচি রয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসীকে একটি সুষ্ঠু ও নির্ভুল নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন।
No comments