রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ-তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম। দলটি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও অনুসন্ধান কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দেয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক সংলাপের পঞ্চম দিনে রাষ্ট্রপতি গতকাল রোববার বঙ্গভবনে প্রথমে গণফোরাম এবং পরে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপ করেন। ইসলামী ঐক্যজোট রাষ্ট্রপতির পছন্দে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং প্রধান
দুই রাজনৈতিক জোটের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সংলাপ শেষে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি এখন আর বিএনপির একার নয়। পুরো জাতির দাবি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দলীয় সরকার এককভাবে এটা (সুষ্ঠু নির্বাচন) নিশ্চিত করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনও এককভাবে তা পারে না, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে রায়ে দুই মেয়াদে এই ব্যবস্থা রাখার মত রয়েছে।
গণফোরাম সূত্র জানায়, সংলাপে দলের পক্ষে বলা হয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। এ জন্য কমিশনকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে গণফেরাম একমত পোষণ করেছে। প্রস্তাবিত একটি খসড়া আইনও রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
সংলাপে ড. কামালের নেতৃত্বে গণফোরামের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন এইচ এম খালেকুজ্জামান, আবদুর রউফ, মোস্তফা মহসীন মণ্টু, সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
সুব্রত চৌধুরী পরে প্রথম আলোকে বলেন, সংলাপে দলের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রধান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কাছ থেকে পাঁচজনের করে নামের তালিকা চাইতে পারেন। এই দুই জোটের তালিকা থেকে দুজন করে মোট চারজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। আর তিনি নিজে সিইসি নিয়োগ দেবেন। তাঁদের দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
রাষ্ট্রপতি গত ২২ ডিসেম্বর থেকে এই সংলাপ শুরু করেছেন। আজ সোমবার তিনি বেলা ১১টায় ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ এবং দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংলাপ করবেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে রায়ে দুই মেয়াদে এই ব্যবস্থা রাখার মত রয়েছে।
গণফোরাম সূত্র জানায়, সংলাপে দলের পক্ষে বলা হয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। এ জন্য কমিশনকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে গণফেরাম একমত পোষণ করেছে। প্রস্তাবিত একটি খসড়া আইনও রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
সংলাপে ড. কামালের নেতৃত্বে গণফোরামের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন এইচ এম খালেকুজ্জামান, আবদুর রউফ, মোস্তফা মহসীন মণ্টু, সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
সুব্রত চৌধুরী পরে প্রথম আলোকে বলেন, সংলাপে দলের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রধান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কাছ থেকে পাঁচজনের করে নামের তালিকা চাইতে পারেন। এই দুই জোটের তালিকা থেকে দুজন করে মোট চারজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। আর তিনি নিজে সিইসি নিয়োগ দেবেন। তাঁদের দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
রাষ্ট্রপতি গত ২২ ডিসেম্বর থেকে এই সংলাপ শুরু করেছেন। আজ সোমবার তিনি বেলা ১১টায় ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ এবং দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংলাপ করবেন।
No comments