টাইমস অব ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট: ভারতের সঙ্গে জুয়া খেলেছে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার বিরাট জুয়া খেলেছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। এখন দু’দেশের সম্পর্কে দূষিত রক্ত ঢুকে পড়েছে, তাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৫
হয়ে পড়েছে। গত ৩০শে ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ কথা লিখেছেন ইন্দ্রানী বাগচী।
ভারতীয় বিদেশনীতির শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত। কারণ কি? বছর শেষে জানা গেল, উন্নত হওয়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে না নিতে বাংলাদেশ নয়, বরং ভারতই পিছিয়ে পড়তে পারে।
এমনকি ঢাকার চাকরি ভারতীয় পেশাদার কূটনীতিকদের কাছে সব সময়ের আকর্ষণীয় বিষয় হলেও সাউথ ব্লক এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে বলেও খবর দিয়েছেন ইন্দ্রানী। তার কথায়, ইসরাইলে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নভতেজ স্বর্ণা থেকে শুরু করে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত পঙ্কজ শরণ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের নতুন হাইকমিশনার হওয়ার রেসে আছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা কাকে পাঠাবেন সে বিষয়ে মনঃস্থির করতে পারছেন না। ঢাকার সর্বশেষ ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্তীর অবসরে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে।
ঢাকার কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। কারণ ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে যিনিই আসুন তাকে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকালে দেখা যাবে। নভতেজ স্বর্ণা ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘতম মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। কূটনীতিক হিসেবে মস্কো ও ওয়াশিংটন দু’জায়গাতেই তিনি ছিলেন। দুই প্রধানমন্ত্রী, তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চার পররাষ্ট্র সচিব বদলে গেলেও নভতেজ স্বর্ণা ছিলেন মুখপাত্র হিসেবে স্বপদে বহাল। আরও একটি সূত্র বলেছে, তিনি হয় ঢাকা না হয় থিম্পু চান।
তবে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে যিনিই আসুন, তাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। পোড়াতে হবে বহু কাঠখড়। ইন্দ্রানী বাগচী বছরের শুরুতেই স্পষ্ট করলেন যে, তিস্তায় ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক যে ডুবেছিল সেটা খুব শিগগিরই উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ‘একটি ভাল বাংলাদেশ ক্ষেত্র ভারতীয় দ্বিধায় নষ্ট হচ্ছে-’ এই হচ্ছে তার নিবন্ধের শিরোনাম। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। তবে সেটা ঢের কম বাংলাদেশের জন্য, বড় কারণ এই যে, ভারতই বড় সিদ্ধান্তগুলো নিতে অপারগ হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে আখাউড়া ও ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে যোগ দেন। কারণ আখাউড়ার সমন্বিত চেকপোস্টের অবকাঠামো ১৮ মাস সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন করার যে প্রতিশ্রুতি পি চিদাম্বরম ঢাকঢোল পিটিয়ে দিয়েছিলেন তার কোন অগ্রগতি নেই। মনমোহন সরকারের প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশ ছিল সবচেয়ে আশাজাগানিয়া কিন্তু এখন তা নিম্নমুখী। সবসময়ের জন্য খেয়ালি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের রূপান্তরকরণ সফরটিকে শেষ মুহূর্তে গলাটিপে হত্যা করেছেন।
শেখ হাসিনা আগামী ১১ই জানুয়ারি আগরতলায় সম্মানসূচক ডিগ্রি নেবেন। এটা যে বাংলাদেশ সরকারের মন যোগানোর সুতোয় বাঁধা তা স্পষ্ট করেছেন ইন্দ্রানী বাগচী। তিনি লিখেছেন, এটা ছোট্ট শুভেচ্ছা। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে স্বাধীনভাবে সম্পর্ক গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার শেষ মন্তব্য, ভারতের বিদেশনীতির জন্য বাংলাদেশ একটি ভাল ক্ষেত্র। কিন্তু সুবিধার জানালা সীমিত। এ জন্য দরকার সতর্ক সেবাযত্ন। কিন্তু ভারতের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিবেশে সেটা সম্ভব নয়।
হয়ে পড়েছে। গত ৩০শে ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ কথা লিখেছেন ইন্দ্রানী বাগচী।
ভারতীয় বিদেশনীতির শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত। কারণ কি? বছর শেষে জানা গেল, উন্নত হওয়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে না নিতে বাংলাদেশ নয়, বরং ভারতই পিছিয়ে পড়তে পারে।
এমনকি ঢাকার চাকরি ভারতীয় পেশাদার কূটনীতিকদের কাছে সব সময়ের আকর্ষণীয় বিষয় হলেও সাউথ ব্লক এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে বলেও খবর দিয়েছেন ইন্দ্রানী। তার কথায়, ইসরাইলে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নভতেজ স্বর্ণা থেকে শুরু করে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত পঙ্কজ শরণ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের নতুন হাইকমিশনার হওয়ার রেসে আছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা কাকে পাঠাবেন সে বিষয়ে মনঃস্থির করতে পারছেন না। ঢাকার সর্বশেষ ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্তীর অবসরে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে।
ঢাকার কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। কারণ ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে যিনিই আসুন তাকে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকালে দেখা যাবে। নভতেজ স্বর্ণা ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘতম মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। কূটনীতিক হিসেবে মস্কো ও ওয়াশিংটন দু’জায়গাতেই তিনি ছিলেন। দুই প্রধানমন্ত্রী, তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চার পররাষ্ট্র সচিব বদলে গেলেও নভতেজ স্বর্ণা ছিলেন মুখপাত্র হিসেবে স্বপদে বহাল। আরও একটি সূত্র বলেছে, তিনি হয় ঢাকা না হয় থিম্পু চান।
তবে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে যিনিই আসুন, তাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। পোড়াতে হবে বহু কাঠখড়। ইন্দ্রানী বাগচী বছরের শুরুতেই স্পষ্ট করলেন যে, তিস্তায় ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক যে ডুবেছিল সেটা খুব শিগগিরই উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ‘একটি ভাল বাংলাদেশ ক্ষেত্র ভারতীয় দ্বিধায় নষ্ট হচ্ছে-’ এই হচ্ছে তার নিবন্ধের শিরোনাম। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। তবে সেটা ঢের কম বাংলাদেশের জন্য, বড় কারণ এই যে, ভারতই বড় সিদ্ধান্তগুলো নিতে অপারগ হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে আখাউড়া ও ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে যোগ দেন। কারণ আখাউড়ার সমন্বিত চেকপোস্টের অবকাঠামো ১৮ মাস সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন করার যে প্রতিশ্রুতি পি চিদাম্বরম ঢাকঢোল পিটিয়ে দিয়েছিলেন তার কোন অগ্রগতি নেই। মনমোহন সরকারের প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশ ছিল সবচেয়ে আশাজাগানিয়া কিন্তু এখন তা নিম্নমুখী। সবসময়ের জন্য খেয়ালি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের রূপান্তরকরণ সফরটিকে শেষ মুহূর্তে গলাটিপে হত্যা করেছেন।
শেখ হাসিনা আগামী ১১ই জানুয়ারি আগরতলায় সম্মানসূচক ডিগ্রি নেবেন। এটা যে বাংলাদেশ সরকারের মন যোগানোর সুতোয় বাঁধা তা স্পষ্ট করেছেন ইন্দ্রানী বাগচী। তিনি লিখেছেন, এটা ছোট্ট শুভেচ্ছা। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে স্বাধীনভাবে সম্পর্ক গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার শেষ মন্তব্য, ভারতের বিদেশনীতির জন্য বাংলাদেশ একটি ভাল ক্ষেত্র। কিন্তু সুবিধার জানালা সীমিত। এ জন্য দরকার সতর্ক সেবাযত্ন। কিন্তু ভারতের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিবেশে সেটা সম্ভব নয়।
No comments