পুঁজিবাজার: বিদায়ী বছরে বেশির ভাগ খাতেই ধস
এম এম মাসুদ: বছরজুড়ে মতিঝিলে ব্যাপক বিক্ষোভ, মিছিল, সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও অস্থিরতা বিরাজ করায় পুঁজিবাজারে কোন সুখবর ছিল না। এতে সঠিক সময়ে সরকার কার্যকর সিদ্ধান্ত না নেয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় চির ধরে। অবশ্য গত মাসের মাঝামাঝিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ফলে বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এদিকে গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট পক্ষের নানা উদ্যোগও কোন কাজে আসেনি। এতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যসূচক, আর্থিক লেনদেন, বাজার মূলধন কমেছে। সব মিলিয়ে ২০১১ সাল পুঁজিবাজারের জন্য অস্থিরতার বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ডিএসইর গত বছরের বাজার পর্যালোচনায় উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-
সূচকের পতন: ২০১১ সালের প্রথম কর্ম দিবস ২রা জানুয়ারি ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮৩০৫ পয়েন্টে। আবার একই বছরের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫২৫৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। তবে এ হিসাবে সার্বিকভাবে এক বছরে সূচক কমেছে ৩০৪৮ পয়েন্টের মতো।
বাজার মূলধন: ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা গত ৩০ ডিসেম্বর হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকায়। এ হিসেবে গত এক বছরে বাজার মূলধনের পরিমাণ কমেছে ৩৪ শতাংশ বা ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে তিন লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর এক বছরে বাজার মূলধন জিডিপির অনুপাতে ৫০.৬৭ শতাংশ থেকে কমে ৩৩.২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের রাজস্ব আয়: ডিএসইতে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর সংগ্রহ করে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। এর আগে জুলাই থেকে জুন ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপির অনুপাত: ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারি ডিএসই’র মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি’র অনুপাত ছিল ১৯.৭৪ পয়েন্ট। যা ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর বেড়ে ৫০.৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.২৩ শতাংশে।
লেনদেনযোগ্য সিকিউরিটিজ: ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ডিএসই ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০১টিতে। এর মধ্যে কোম্পানি ২৩২টি, মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি, ডিবেঞ্চার আটটি, ট্রেজারি বন্ড ২২১টি ও করপোরেট বন্ড তিনটি। যার মোট শেয়ার/সার্টিফিকেট সংখ্যা তিন হাজার ১৭০ কোটি ৯০ লাখ এবং মোট ইস্যুকৃত মূলধন ৮৭ হাজার ৭৫৫ কেটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি। যার মধ্যে কোম্পানি ২১৮টি, মিউচুয়াল ফান্ড ৩১টি, ডিবেঞ্চার ৮টি, ট্রেজারি বন্ড ১৮৬টি কর্পোরেট বন্ড ২টি। যার মোট শেয়ার বা সার্টিফিকেট সংখ্যা এক হাজার ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ এবং মোট ইস্যুকৃত মূলধন ৬৬ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা।
সিকিউরিটিজ লেনদেন: ২০১১ সালে ডিএসইতে এক হাজার ৬৯৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ২২৮টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যার মোট মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৯৯ কোটি ২০ লাখ ৮৮ হাজার ২৯১ টাকা। আর ২০১১ সালে মোট লেনদেন দিবসের সংখ্যা ছিল ২৩৫দিন, গড়ে প্রতিদিন সাত কোটি ২২ লাখ ৬৩০টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় এবং গড়ে টাকায় লেনদেন হয় ৬৬৪ কোটি ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯ টাকা। অন্যদিকে ২০১০ সালে এক হাজার ৬৯৭ কোটি ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়। যার মোট মূল্য চার লাখ ৯৯১ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ টাকা। ২০১০ সালে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪ দিন, গড় লেনদেন হয় ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৩টি সিকিউরিটিজ এবং গড় মূল্য টাকায় এক হাজার ৬৪৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৩১২ টাকা।
আইপিও: ২০১১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একটি ফিক্সড ইনকাম ফান্ড ও ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ১৪টি সিকিউরিটিজ বাজারে আসে। এর মাধ্যমে এক হাজার ৮৭৯ কোটি ১৬ লাখ ১০০ টাকার পরিশোধিত মূলধন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে আসে। প্রিমিয়ামসহ এক হাজার ৯৯১ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ: ২০১১ সালে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৭১৯ কোটি ১০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন ১৫টি সিকিউরিটিজ ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ড, একটি কনভার্টেবল বন্ডসহ মোট ১৫টি কোম্পানি। আর ২০১০ সালে ডিএসইতে রেকর্ড সংখ্যক সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত হয়। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন সম্পন্ন ২৫টি সিকিউরিটিজ।
বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
এসইসি পুনর্গঠন: শেয়ারবাজারে কারসাজির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (্এসইসি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। আগের কমিশনকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনকে এসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, হেলাল উদ্দিন নিজামী, আরিফ খান, আমজাদ হোসেন, আবদুস সালাম সিকদার।
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের ধারণাপত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা হচ্ছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের ধারণাপত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।
উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ: তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ এবং ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সমপ্রতি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
সূচকের পতন: ২০১১ সালের প্রথম কর্ম দিবস ২রা জানুয়ারি ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮৩০৫ পয়েন্টে। আবার একই বছরের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫২৫৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। তবে এ হিসাবে সার্বিকভাবে এক বছরে সূচক কমেছে ৩০৪৮ পয়েন্টের মতো।
বাজার মূলধন: ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা গত ৩০ ডিসেম্বর হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকায়। এ হিসেবে গত এক বছরে বাজার মূলধনের পরিমাণ কমেছে ৩৪ শতাংশ বা ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০১০ সালের ৫ই ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে তিন লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর এক বছরে বাজার মূলধন জিডিপির অনুপাতে ৫০.৬৭ শতাংশ থেকে কমে ৩৩.২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের রাজস্ব আয়: ডিএসইতে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর সংগ্রহ করে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। এর আগে জুলাই থেকে জুন ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপির অনুপাত: ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারি ডিএসই’র মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি’র অনুপাত ছিল ১৯.৭৪ পয়েন্ট। যা ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর বেড়ে ৫০.৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.২৩ শতাংশে।
লেনদেনযোগ্য সিকিউরিটিজ: ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ডিএসই ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০১টিতে। এর মধ্যে কোম্পানি ২৩২টি, মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি, ডিবেঞ্চার আটটি, ট্রেজারি বন্ড ২২১টি ও করপোরেট বন্ড তিনটি। যার মোট শেয়ার/সার্টিফিকেট সংখ্যা তিন হাজার ১৭০ কোটি ৯০ লাখ এবং মোট ইস্যুকৃত মূলধন ৮৭ হাজার ৭৫৫ কেটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১০ সালের ৩০শে ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি। যার মধ্যে কোম্পানি ২১৮টি, মিউচুয়াল ফান্ড ৩১টি, ডিবেঞ্চার ৮টি, ট্রেজারি বন্ড ১৮৬টি কর্পোরেট বন্ড ২টি। যার মোট শেয়ার বা সার্টিফিকেট সংখ্যা এক হাজার ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ এবং মোট ইস্যুকৃত মূলধন ৬৬ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা।
সিকিউরিটিজ লেনদেন: ২০১১ সালে ডিএসইতে এক হাজার ৬৯৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ২২৮টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যার মোট মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৯৯ কোটি ২০ লাখ ৮৮ হাজার ২৯১ টাকা। আর ২০১১ সালে মোট লেনদেন দিবসের সংখ্যা ছিল ২৩৫দিন, গড়ে প্রতিদিন সাত কোটি ২২ লাখ ৬৩০টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় এবং গড়ে টাকায় লেনদেন হয় ৬৬৪ কোটি ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯ টাকা। অন্যদিকে ২০১০ সালে এক হাজার ৬৯৭ কোটি ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়। যার মোট মূল্য চার লাখ ৯৯১ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ টাকা। ২০১০ সালে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪ দিন, গড় লেনদেন হয় ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৩টি সিকিউরিটিজ এবং গড় মূল্য টাকায় এক হাজার ৬৪৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৩১২ টাকা।
আইপিও: ২০১১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একটি ফিক্সড ইনকাম ফান্ড ও ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডসহ মোট ১৪টি সিকিউরিটিজ বাজারে আসে। এর মাধ্যমে এক হাজার ৮৭৯ কোটি ১৬ লাখ ১০০ টাকার পরিশোধিত মূলধন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে আসে। প্রিমিয়ামসহ এক হাজার ৯৯১ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ: ২০১১ সালে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৭১৯ কোটি ১০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনসম্পন্ন ১৫টি সিকিউরিটিজ ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ড, একটি কনভার্টেবল বন্ডসহ মোট ১৫টি কোম্পানি। আর ২০১০ সালে ডিএসইতে রেকর্ড সংখ্যক সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত হয়। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন সম্পন্ন ২৫টি সিকিউরিটিজ।
বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
এসইসি পুনর্গঠন: শেয়ারবাজারে কারসাজির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (্এসইসি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। আগের কমিশনকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনকে এসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, হেলাল উদ্দিন নিজামী, আরিফ খান, আমজাদ হোসেন, আবদুস সালাম সিকদার।
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের ধারণাপত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা হচ্ছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের ধারণাপত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।
উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ: তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ এবং ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ করতে হবে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সমপ্রতি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
No comments