বরাদ্দকৃত কম্বল নিয়ে চেয়ারম্যানরা বিপাকে
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে: ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত কম্বল প্রতি ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৩টি করে। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা পড়েছেন বিপাকে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১৫টি করে কম্বল মিলিয়ে বরাদ্দকৃত কম্বলের সংখ্যা ১৫০টি। একই অবস্থা অন্যান্য উপজেলাতেও। এখন শুধু ভরসা এমপিদের নামে বরাদ্দকৃত কম্বলের ওপর। সেটি কখন জুটবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলার দুস্থ মানুষকে বিতরণের জন্য চার কিস্তিতে সর্বমোট ৬৮৭০ খানা কম্বল দুই শ’ চাদর এবং একশ’ মাফলার বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই প্রাপ্ত কম্বলের একাংশ উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতি উপজেলার ইউএনও এবং পিআইও হিসাব কষে সে কম্বল হস্তান্তর করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে। কোন কোন উপজেলাতে কম্বল বণ্টন হয়েছে চুপিসারে। অন্যদিকে সংসদ সদস্যদের কোটায়প্রাপ্ত কম্বল এখনও শুরু হয়নি। জানা গেছে, প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে ১০০০ করে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে, জনসংখ্যা এবং ইউনিয়ন অনুপাতে সে হিসাবেরও হেরফের ধরতে পারে। একটি সূত্রের মতে, গত এক দশকের মধ্যে এবারের ব্যতিক্রমী প্রচণ্ড শীতে সমাজের ৩৫ শতাংশ মানুষ শীতবস্ত্রের সঙ্কটে রয়েছে। বরাদ্দকৃত কম্বল তার ১০ ভাগও চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে না। এদিকে শীতে বেশি কাবু হয়ে পড়েছে হাওর কিনার ও চা-শ্রমিক জনপদের মানুষ। বিভিন্ন চা বাগানে শীত নিবারণের জন্য চটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
No comments