গলায় জুতার মালাঃ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুতার মালা গলায় দিয়ে গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় নীলফামারীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম উপজেলার খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত ২ ইউপি সদস্য নীলফামারী কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ আগস্ট ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউপির আ. মজিদ জদ্দি তার পুত্রবধূ সাহেরা আক্তারকে ধর্ষণ করেছেন এ অভিযোগ এনে এলাকার চেয়ারম্যান শামছুল হুদা তাকে নাকে খত দিয়ে সারাদিন বেঁধে রাখার পর বিকেলে গলায় জুতার মালা পরিয়ে সারা গ্রাম ঘোরান।
থানায় নির্যাতনের কাহিনী শুনে পুুলিশ আব্দুল মজিদ জদ্দিকে মামলা করতে বললে মজিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১৭ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান শামছুল হুদা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করেন এবং বাদী মজিদ জদ্দিকে হুমকি দেন।
এ খবর জানাজানি হলে পুলিশ বাধ্য হয়ে সঠিক তদন্ত করে ৭ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান শামছুল হুদার লোকজন ২০১১ সালের ৬ আগস্ট আব্দুল মজিদ জদ্দির বিরুদ্ধে পুত্রবধূ সাহেরাকে দিয়ে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করান। মামলার বাদী সাহেরা বেগম ও সাক্ষীরা আত্মগোপন করায় পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনাটি মিথ্যা মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
এদিকে, মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় সাহেরা খাতুন তার ভাই জহুরুলকে দিয়ে আদালতে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ডিমলা থানার পুলিশকে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ ঘটনাটির সত্যতা না পেয়ে ‘মামলাটি মিথ্যা’ মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
অপরদিকে, গত ৩০ জুলাই খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পশ্চিমবাইশ পুকুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে ভাটিয়ার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে এনে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার নামে অবিচার চালায় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান শামছুল হুদা।
মামলার বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা গ্রাম পুলিশ দিয়ে জোর করে আব্দুল মজিদকে পুত্রবধূ শাহেরার বাড়ি সংলগ্ন জনৈক আব্দুল মজিদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান সবার উপস্থিতে বলে- ‘আব্দুল মজিদ তার পুত্রবধূ সাহেরার ‘শ্লীলতাহানি’ ও ‘ধর্ষণ’ করেছেন।
তিনি শাস্তি হিসেবে ছেলে রবিউল ইসলাম ও বাবা আব্দুল মজিদকে ১০০ মিটার মাটিতে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। এতে রবিউল ইসলাম তার স্ত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ ও ‘ধর্ষণ’-এর অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রতিবাদ করলে তাকেসহ তার বাবাকে চেয়ারম্যানের হুকুমে তাদের হাত বেঁধে নাক দিয়ে খত দিতে বাধ্য করানো হয়।
এরপর তাদের বেঁধে রেখে বিকেল ৩টায় চেয়ারম্যানের হুকুমে পশ্চিম বাইশপুকুর ও ডালিয়া গ্রামে আব্দুল মজিদ জদ্দির গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরাতে বাধ্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা।
এর পর পুলিশ মজিদকে থানায় নিয়ে এসে ঘটনাটি শুনে মামলার এজাহারে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা, ইউপি সদস্য মহুবর রহমান, ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিনসহ ১৬ জনকে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে।
মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামি সাহেরা, বাবা জেল হোসেন, মা জহুরা বেগম, ভাবী কাঞ্চন, প্রতিবেশী আসামি মনোয়ার হোসেন ৭ দিন কারাবাস করে জামিন পান।
এরপর গত ২০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন না-মঞ্জুর করে আদালত ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন ও মহুবর রহমানকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, পুলিশ তদন্ত শেষে ১৫ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৬ জনকে তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত করে নীলফামারী আদালতে মঙ্গলবার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসামিদের ভয়ে অজ্ঞাতস্থানে গা ঢাকা দিয়েছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে ১শ ২১ দিন তদন্ত করে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
থানায় নির্যাতনের কাহিনী শুনে পুুলিশ আব্দুল মজিদ জদ্দিকে মামলা করতে বললে মজিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১৭ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান শামছুল হুদা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করেন এবং বাদী মজিদ জদ্দিকে হুমকি দেন।
এ খবর জানাজানি হলে পুলিশ বাধ্য হয়ে সঠিক তদন্ত করে ৭ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান শামছুল হুদার লোকজন ২০১১ সালের ৬ আগস্ট আব্দুল মজিদ জদ্দির বিরুদ্ধে পুত্রবধূ সাহেরাকে দিয়ে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করান। মামলার বাদী সাহেরা বেগম ও সাক্ষীরা আত্মগোপন করায় পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনাটি মিথ্যা মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
এদিকে, মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় সাহেরা খাতুন তার ভাই জহুরুলকে দিয়ে আদালতে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ডিমলা থানার পুলিশকে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ ঘটনাটির সত্যতা না পেয়ে ‘মামলাটি মিথ্যা’ মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
অপরদিকে, গত ৩০ জুলাই খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পশ্চিমবাইশ পুকুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে ভাটিয়ার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে এনে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার নামে অবিচার চালায় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান শামছুল হুদা।
মামলার বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা গ্রাম পুলিশ দিয়ে জোর করে আব্দুল মজিদকে পুত্রবধূ শাহেরার বাড়ি সংলগ্ন জনৈক আব্দুল মজিদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান সবার উপস্থিতে বলে- ‘আব্দুল মজিদ তার পুত্রবধূ সাহেরার ‘শ্লীলতাহানি’ ও ‘ধর্ষণ’ করেছেন।
তিনি শাস্তি হিসেবে ছেলে রবিউল ইসলাম ও বাবা আব্দুল মজিদকে ১০০ মিটার মাটিতে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। এতে রবিউল ইসলাম তার স্ত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ ও ‘ধর্ষণ’-এর অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রতিবাদ করলে তাকেসহ তার বাবাকে চেয়ারম্যানের হুকুমে তাদের হাত বেঁধে নাক দিয়ে খত দিতে বাধ্য করানো হয়।
এরপর তাদের বেঁধে রেখে বিকেল ৩টায় চেয়ারম্যানের হুকুমে পশ্চিম বাইশপুকুর ও ডালিয়া গ্রামে আব্দুল মজিদ জদ্দির গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরাতে বাধ্য করেন ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা।
এর পর পুলিশ মজিদকে থানায় নিয়ে এসে ঘটনাটি শুনে মামলার এজাহারে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদা, ইউপি সদস্য মহুবর রহমান, ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিনসহ ১৬ জনকে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে।
মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামি সাহেরা, বাবা জেল হোসেন, মা জহুরা বেগম, ভাবী কাঞ্চন, প্রতিবেশী আসামি মনোয়ার হোসেন ৭ দিন কারাবাস করে জামিন পান।
এরপর গত ২০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন না-মঞ্জুর করে আদালত ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন ও মহুবর রহমানকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, পুলিশ তদন্ত শেষে ১৫ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৬ জনকে তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত করে নীলফামারী আদালতে মঙ্গলবার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসামিদের ভয়ে অজ্ঞাতস্থানে গা ঢাকা দিয়েছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফারুকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে ১শ ২১ দিন তদন্ত করে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
No comments