ঢাকা মেডিক্যালে মর্মান্তিক ঘটনাঃ ওয়েটিং রুম থেকে নিখোঁজ শিশু মর্গে
গৃহবধূ রোজিনা আক্তার গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে এসেছিলেন চিকিৎসা নিতে। সঙ্গে আড়াই বছরের কন্যা ইশরাত জাহান রিয়া। 'শিশুকে নিয়ে চিকিৎসকের রুমে যাওয়া নিষেধ'_এ সতর্কতার কারণে অপেক্ষমাণ অন্য রোগীর কাছে রিয়াকে রেখে মা রুমে ঢোকেন। কিন্তু বের হয়ে দেখেন রিয়া নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে উদ্ভ্রান্ত মা প্রাণপ্রিয় মেয়েকে খুঁজে পান মর্গে_মৃত।
মা খুঁজে পাওয়ার আগে শিশুটির সন্ধান মেলে হাসপাতালের তৃতীয় তলার সিঁড়ির কাছে। কিন্তু রিয়া তখন মৃত। মায়ের কোলে চড়ে হাসপাতালে আসা সুস্থ শিশুটির রহস্যজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে চলছে তোলপাড়। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মৃত্যুরহস্যের জট খোলেনি।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, ছোট্ট শিশুটিকে চুরি করতে গিয়ে অপরাধী চক্র মেরে ফেলেছে শ্বাসরোধ করে। তবে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য যাচাই করছে পুলিশ।
রিয়ার মা রোজিনা আক্তার কালের কণ্ঠকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিক হাসপাতালের বহির্বিভাগের গাইনি বিভাগে নিজের চিকিৎসার জন্য রিয়াকে নিয়ে যান। সেখানে অপেক্ষা করার সময় পাশেই দুজন মহিলা বসেছিল। চিকিৎসকের রুমের ভেতরে যাওয়ার সময় ওই দুই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে মানা করেন। তখন তিনি রিয়াকে ওই দুই মহিলার কাছে রেখে ভেতরে যান। ফিরে এসে দেখেন রিয়া নেই, ওই দুই মহিলাও নেই। তিনি বিভিন্ন জায়গায় রিয়াকে ও মহিলাদের খুঁজতে থাকেন। হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ঘটনাটি জানালে নিখোঁজ সংবাদটি তিনি মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করেন হাসপাতাল কম্পাউন্ডে।
এদিকে হাসপাতালের ভেতরে নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আলট্রাসাউন্ড সেন্টারের ভবনের তৃতীয় তলায় সমতল র্যাম্প সিঁড়িতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক শিশুর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্টাফরা। বিষয়টি জানালে ওই সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেন দ্রুত সেখানে গিয়ে শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। পুরো বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল হক মলি্লক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনা শুনে রোজিনা মর্গে ছুটে যান। দেখতে পান সেখানে রাখা লাশটি তাঁর প্রাণপ্রিয় সন্তান রিয়ার। পাগলপ্রায় মায়ের আর্তনাদ চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রিয়ার বাবা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। পিতা-মাতাসহ স্বজনরা কেউই বুঝতে পারছেন না কেন এবং কারা রিয়াকে হত্যা করেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, শিশুটির মৃত্যু ঘটনা নিয়ে এ মুহূর্তেই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে, শিশুটিকে কিডন্যাপ করার চেষ্টা হচ্ছিল। শিশুটিকে চুপ করে রাখার জন্য চেতনানাশক কোনো পদার্থ দেওয়া হয়েছে, ওভারডোজ হয়ে যাওয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুরহস্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল হক মলি্লক কালের কণ্ঠকে বলেন, সকালে আরো দুটি শিশুসন্তান হাসপাতালে হারিয়ে গিয়েছিল। মাইকিং করার কারণে তাদের দুজনকে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে রিয়ার মা চিকিৎসকের রুমে যাওয়ার আগে অপরিচিত লোকের কাছে না দিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের সহযোগিতা নিতে পারতেন। হাসপাতালে ঢোকার অনেক পথ রয়েছে। অপরাধীরা যেকোনো পথ দিয়ে বের হয়ে যেত পারে। কিভাবে ঘটনা ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্তের সময় পুলিশ হাসপাতাল মনিটরিংয়ে ব্যবহার করা সিসি ক্যামেরার চিত্র যাচাই করতে পারে। এ রহস্য উদ্ঘাটনে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
শাহবাগ থানার এসআই নুরুল হক বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় শিশুটির পেটে জমাট রক্তের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, ছোট্ট শিশুটিকে চুরি করতে গিয়ে অপরাধী চক্র মেরে ফেলেছে শ্বাসরোধ করে। তবে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য যাচাই করছে পুলিশ।
রিয়ার মা রোজিনা আক্তার কালের কণ্ঠকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিক হাসপাতালের বহির্বিভাগের গাইনি বিভাগে নিজের চিকিৎসার জন্য রিয়াকে নিয়ে যান। সেখানে অপেক্ষা করার সময় পাশেই দুজন মহিলা বসেছিল। চিকিৎসকের রুমের ভেতরে যাওয়ার সময় ওই দুই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে মানা করেন। তখন তিনি রিয়াকে ওই দুই মহিলার কাছে রেখে ভেতরে যান। ফিরে এসে দেখেন রিয়া নেই, ওই দুই মহিলাও নেই। তিনি বিভিন্ন জায়গায় রিয়াকে ও মহিলাদের খুঁজতে থাকেন। হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ঘটনাটি জানালে নিখোঁজ সংবাদটি তিনি মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করেন হাসপাতাল কম্পাউন্ডে।
এদিকে হাসপাতালের ভেতরে নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আলট্রাসাউন্ড সেন্টারের ভবনের তৃতীয় তলায় সমতল র্যাম্প সিঁড়িতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক শিশুর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্টাফরা। বিষয়টি জানালে ওই সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেন দ্রুত সেখানে গিয়ে শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। পুরো বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল হক মলি্লক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনা শুনে রোজিনা মর্গে ছুটে যান। দেখতে পান সেখানে রাখা লাশটি তাঁর প্রাণপ্রিয় সন্তান রিয়ার। পাগলপ্রায় মায়ের আর্তনাদ চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রিয়ার বাবা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম। পিতা-মাতাসহ স্বজনরা কেউই বুঝতে পারছেন না কেন এবং কারা রিয়াকে হত্যা করেছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, শিশুটির মৃত্যু ঘটনা নিয়ে এ মুহূর্তেই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে, শিশুটিকে কিডন্যাপ করার চেষ্টা হচ্ছিল। শিশুটিকে চুপ করে রাখার জন্য চেতনানাশক কোনো পদার্থ দেওয়া হয়েছে, ওভারডোজ হয়ে যাওয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুরহস্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
হাসপাতালের পরিচালক শহীদুল হক মলি্লক কালের কণ্ঠকে বলেন, সকালে আরো দুটি শিশুসন্তান হাসপাতালে হারিয়ে গিয়েছিল। মাইকিং করার কারণে তাদের দুজনকে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে রিয়ার মা চিকিৎসকের রুমে যাওয়ার আগে অপরিচিত লোকের কাছে না দিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের সহযোগিতা নিতে পারতেন। হাসপাতালে ঢোকার অনেক পথ রয়েছে। অপরাধীরা যেকোনো পথ দিয়ে বের হয়ে যেত পারে। কিভাবে ঘটনা ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্তের সময় পুলিশ হাসপাতাল মনিটরিংয়ে ব্যবহার করা সিসি ক্যামেরার চিত্র যাচাই করতে পারে। এ রহস্য উদ্ঘাটনে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
শাহবাগ থানার এসআই নুরুল হক বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় শিশুটির পেটে জমাট রক্তের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments