বাজার মন্দা পেসারদের-দল পাচ্ছেন না শফিউল

নিজেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের আসরেই বোলিং করতে নামবেন। সেই মতো জিম, ট্রেনিং, এমনকি চট্টগ্রামে জাতীয় দলের ক্যাম্পে গিয়ে নেটেও সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু মাশরাফির প্রিমিয়ার লীগের খেলার ইচ্ছাটা খুব সহজে পূরণ হয়নি। আগের দল আবাহনী ইনজুরি আক্রান্ত মাশরাফির খেলার অনিশ্চয়তার কারণে আগ্রহ হারিয়েছে। মোহামেডানও এক পা এগিয়ে পিছিয়ে পড়েছে। শেষ বেলায় তাই এক সময়ের পুরনো দল বিমানেই ফিরে


গেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে কাগজে-কলমে লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে সই করে নয়, একান্তই কথার ওপর আস্থা রেখে মাশরাফি ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করবেন বিমানের হয়ে। আপাতত প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচ খেলাটাই মাশরাফির জন্য বড় সম্মানী। শুধু ইনজুরি আক্রান্ত মাশরাফি নন, সুস্থ থাকা পেসারদেরও প্রিমিয়ার ক্রিকেটে বাজার মন্দা চলছে। জাতীয় দলের স্ট্রাইক বোলার শফিউল ইসলাম এখন পর্যন্ত কোনো দল পাননি। গতবার বিমানে খেলা এ পেসারের সঙ্গে প্রাইম দোলেশ্বর একবার যোগাযোগ করেছিল। তারপর আর কথা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটের একটা মৌসুমে যদি শফিউলের মতো পেসাররা দল না পান, তাহলে সে কষ্ট একা আর শফিউলের থাকতে পারে না। 'মনে হয় পেসার হয়ে অন্যায় করেছি। কেউ পুলের কোটা থেকে পেসারদের নিতে চায় না। তারা ধরেই নেয় দল না পেলে এমনিতেই চলে আসবে আমাদের কাছে। জানি না দল পাব কি-না। না পেলে হয়তো গোটা মৌসুমই বসে থাকতে হবে।' শফিউলের মতো একই কষ্ট পেসার নাজমুলের। নিজে থেকেই কয়েকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর অবশেষে প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে একধরনের রফা হয়েছে। তবে সম্মানী মিডিওকার ব্যাটসম্যানের চেয়েও অনেক কম। যে অঙ্কটা নাজমুল নিজের মুখে বলে লজ্জায় পড়তে চাননি। 'প্রতিবারই এমনটা দেখে আসছি। কোটা থেকে কেউ পেসারদের নিতে চায় না। অথচ লীগে এ পেসারদেরই বেশি ঝুঁকি নিতে হয়। ইনজুরির ভয় থাকে সবচেয়ে বেশি।' বিসিবির বেঁধে দেওয়া ১৮ জনের পুল ক্রিকেটারের মধ্যে রুবেল হোসেন শুধু একটু আগে দল পেয়েছেন। তিনি খেলছেন ব্রাদার্সের হয়ে। আর শাহাদাত হোসেন রাজীব তার পুরনো ক্লাব কলাবাগানের হয়ে নামবেন এ মৌসুমে। তবে জাতীয় দলের সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা যেখানে ২০ থেকে ৪০ লাখ টাকায় ক্লাব পাচ্ছেন, সেখানে পেসারদের একরকম পেটে-ভাতেই খেলতে হচ্ছে। কখনও কখনও লাখ পাঁচেকের প্রস্তাবও মুখ বুজে মেনে নিতে হচ্ছে শুধু কোটায় নাম থাকার কারণে।

No comments

Powered by Blogger.