কার্স শ্রমিকদের হামলা-রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকাল জাতীয় পত্রিকা না আনার ঘোষণা দিয়েছেন এজেন্টরা
রাজশাহীতে পত্রিকা এজেন্টের কর্মচারীর ওপর গতকাল বুধবার সকালে হকার্স শ্রমিকরা হামলা চালিয়েছে। এতে সঞ্চিতা পত্রিকা এজেন্টের মিনহাজ উদ্দিন মুন (৩০) নামের এক কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত মুনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং একের পর এক পত্রিকা এজেন্টের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহীতে সব জাতীয়
পত্রিকা না আনার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর এজেন্টরা। গতকাল দুপুরে জরুরি সভা করে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একটি জাতীয় দৈনিকের সৌজন্য কপির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন রাজশাহী সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ রেখে মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেন তাঁরা। এ সময় ঢাকা থেকে পত্রিকার গাড়ি এলে ওই পত্রিকা বিলি না করার জন্য হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন পত্রিকা এজেন্টদের নিষেধ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর রেলওয়ে মার্কেটের পত্রিকা এজেন্ট সঞ্চিতার কর্মচারী মিনহাজ উদ্দিন মুন উপজেলা পর্যায়ে পেঁৗছানোর জন্য গাড়িতে পত্রিকার প্যাকেট তুলে দিয়ে ফিরে আসছিলেন। এ সময় তাঁর ওপর হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের আবদুল আলিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন হকার হামলা চালায়। এতে মুন গুরুতর আহত হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা ইউনিভার্সিটি বুক ডিপোর মালিক যুগলী কিশোরের ছেলে উত্তমকে মারধর করে। এ সময় হকাররা সংবাদপত্র পরিবহন কর্মচারী আরমান আলী ও মৃণালকেও বেদম প্রহার করে। এ নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি।
রাজশাহীর সংবাদপত্র এজেন্ট নজরুল ইসলাম, যুগলী কিশোর, নুরুল ইসলাম ও হেকমত উল্লাহ জানান, এজেন্টদের এই অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণে তাঁদের লোকজন যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি এজেন্টরাও আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া পত্রিকার হাজার হাজার পাঠকও হকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কাজেই এসব বিষয়ের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর এজেন্টরা পত্রিকা আনা বন্ধ রাখবেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী শহর সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদপত্র এজেন্ট সঞ্চিতার কর্মচারীর ওপর হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এজেন্টের কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাঁরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেটি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। এ নিয়ে তিনি এজেন্টদের সহযোগিতাও কামনা করেন।
No comments