দুই দলই রেকর্ড ভুলতে চায়
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক রেকর্ড মোটেই সুবিধার নয়। সেই ২০০৮-০৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারের পর কখনও জয়ের মুখ দেখেনি স্বাগতিকরা। যদিও এরই মধ্যে তারা নিজেদের মাঠে ৩টি সিরিজ খেলেছে। প্রতিপক্ষ ছিল যথাক্রমে ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যেকটা দলের সঙ্গেই সিরিজ ড্র করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-১-এ সিরিজ ড্র করে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে আজ থেকে শুরু হওয়া ৩ টেস্ট
সিরিজে দীর্ঘদিনের রেকর্ড পাল্টাতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপার স্পোর্টস পার্কে সে মিশন নিয়েই মাঠে নামছে গ্রায়েম স্মিথের দল। শ্রীলংকার অবস্থা আরও করুণ। মুরালিধরন অবসর নেওয়ার পর থেকে কোনো টেস্ট জেতেনি তারা। এ সময় ঘরে-বাইরে খেলা ১৪ টেস্টের ১০টিতেই হেরেছে শ্রীলংকা। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার মতো বোলিং সামর্থ্যও নেই তাদের। সম্প্রতি বাজেভাবে দুটি সিরিজ হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রেখেছে তিলকারত্নে দিলশানের দল। তারা নিজেদের সাম্প্রতিক রেকর্ড পাল্টে ফেলতে মরিয়া। কিন্তু ডেল স্টেইনদের বিপক্ষে তাদের যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তা বলাই বাহুল্য। শ্রীলংকার সহ-অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ বলেছেন, 'বাউন্স এবং গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।' তিনি অবশ্য জানেন দল মোটেই ভালো খেলছে না। কিন্তু মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছেন, 'দল ভালো মুডে আছে, তবে মাঠে তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।' সুপার স্পোর্টস পার্কে আজ সাঙ্গাকারা খেলতে পারবেন কি-না তাই নিশ্চিত নন। গত সপ্তাহে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে হাতে আঘাত পান তিনি। লংকান টিম ম্যানেজমেন্ট সাঙ্গাকারার খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। শ্রীলংকার মাটিতে পাঁচ বছর আগে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেল স্টেইনদের জন্য সে স্মৃতি মোটেই সুখের নয়। কলম্বোতে তৃতীয় উইকেট জুটিতে লংকান ব্যাটসম্যানরা ৬২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেদিন বল করতে করতে ক্লান্তি আর হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন স্টেইনরা। আজ তাদের সামনে প্রতিশোধের সুযোগ। যদিও প্রতিশোধ ব্যাপারটা মানতে রাজি নন স্টেইন। তিনি শুধু ডান কনুয়েইর ইনজুরি থেকে ফিরে ছন্দে বল করতে চান। টেস্ট শুরুর আগে বলেছেন, 'শেষ দুটি ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে আমি চলতি মৌসুমে সবচেয়ে দ্রুত বল করেছি। কনুইটা এখন ঠিক আছে। ছন্দও ভালো।'
No comments