কবীর চৌধুরী আর নেইঃ নিদ্রা থেকে চিরনিদ্রায়
ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতেন তিনি। তারপর ধীরেসুস্থে বসতেন লেখার টেবিলে। বহুদিনের এই ঘড়ি ধরা রুটিন বদলে গেল গতকাল মঙ্গলবার। ঘুম ভেঙেছিল ঘণ্টা দুয়েক আগে। রাত তখন তিনটা। তৃষ্ণা পেয়েছিল। পানি পান করে ঘুমোতে গেলেন আবার। তারপর সেই ঘুম গভীর হয়ে পৌঁছে গেল এমন পর্যায়ে, যা আর ভাঙবে না কোনো দিন। লেখার টেবিলে কাগজপত্র সাজানোই থাকল।
জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী আর কখনো বসবেন না তাঁর লেখার টেবিলে। ভোরে নির্ধারিত সময়ে যখন তিনি আর জাগছেন না, তখন তাঁর ঘুম ভাঙাতে গিয়ে স্বজনেরা জানলেন নিদ্রা থেকে চিরনিদ্রায় চলে গেছেন তিনি। তাঁর স্বজনদের জন্য তো বটেই, দেশের সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী, মুক্তচিন্তার, গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্যও তাঁর প্রয়াণ বেদনা বহন করে এসেছিল গতকালের সকাল।
নয়াপল্টনের ‘গাজী ভবন’-এর বাসায় সকাল থেকেই জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম শুরু হয়েছিল। প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি বয়স হলেও জাতির অভিভাবকতুল্য কবীর চৌধুরী মোটামুটি সুস্থই ছিলেন। মাঝখানে বুকে বসানো পেসমেকারে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেটি চিকিৎসার মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত করার পর বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা ছাড়া মোটামুটি সুস্থই ছিলেন বলে প্রথম আলোকে জানালেন তাঁর বড় মেয়ে অধ্যাপক শাহীন মাহবুবা কবীর। ৬ ডিসেম্বর একটি রূপকথার সংকলনের অনুবাদ শেষ করেছেন। এরপর কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেছেন। পরিকল্পনা করেছিলেন জে এম কোয়েৎজির হার্ট অব দ্য কান্ট্রি বইটির অনুবাদের। কাজটি আর হলো না।
মরদেহ বাসভবনেই রাখা হয়েছিল বিকেল পর্যন্ত। তাঁর ইচ্ছাও ছিল তাই। মেয়ে শাহীন কবীর বলেন, ‘২০০৬ সালেই বাবা ডায়েরিতে তাঁর অন্তিম ইচ্ছার কথা সংক্ষেপে লিখে রেখেছিলেন। তলস্তয়ের যেমন রেলস্টেশনে মৃত্যু হয়েছিল, তেমনি তিনিও চেয়েছিলেন কোনো নিরিবিলি লেকের পাড়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে মৃত্যুকে বরণ করতে। শবযাত্রার আড়ম্বর-আনুষ্ঠানিকতায় হয়তো তাঁর বিতৃষ্ণা জন্মেছিল। তাই এসব এড়াতে চেয়েছিলেন। টেলিফোনে আত্মীয়স্বজনকে মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে খুবই দ্রুত তাঁকে কবর দিতে বলেছিলেন। সময়ও উল্লেখ করেছেন যেন সাত থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে সব সম্পন্ন করা হয়। বাড়ির কাছের মসজিদে জানাজার পর সাধারণ কোনো গোরস্থানে খুবই সাধারণভাবে যেন কবর দেওয়া হয়; যেন ভবিষ্যতে তাঁর কবরের ওপরে অন্য কারও কবর হতে পারে। মৃত্যুর পরেও কুলখানি বা চল্লিশা বা শোকসভার মতো আয়োজনও এড়াতে বলেছেন। একান্তই এড়ানো সম্ভব না হলে স্মরণসভার আয়োজন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।’ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর অন্তিম ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অন্ত্যেষ্টির আনুষ্ঠানিকতা ত্যাগ করা হয়।
নিভৃতেই প্রস্থান চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যে মানুষটিকে জাতি তার ঘোরতর সংকট, দুর্দিনে এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে পেয়েছে, তাঁর অন্তিমযাত্রায় শোকে-সমবেদনায় পাশে দাঁড়িয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করবে না, তা হয় কেমন করে। সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিক, সাংসদ, মন্ত্রীরা এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বেদনাহত চিত্তে ছুটে গেছেন তাঁর বাসভবনে।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা একটায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটান। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কবীর চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
বেলা তিনটায় বাসভবন থেকে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। বাদ আসর জানাজার পর সশস্ত্র সালামের মধ্য দিয়ে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তিম সম্মাননা জানানো হয়। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অন্তিমশয্যায় শায়িত করা হয় তাঁকে।
শোকসভা: সম্ভব হলে শোকসভা এড়াতে বলেছিলেন তিনি। তবে এড়ানো যাচ্ছে না। বাংলা একাডেমী তাদের সভাপতি কবীর চৌধুরীর স্মরণে ১৭ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় শোকসভার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নাগরিক শোকসভার আয়োজন করেছে ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন। বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে দেশের নানা সরকারি কলেজে অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি খাদ্য বিভাগ, লোকপ্রশাসন ইনস্টিটিউট, জনশিক্ষা দপ্তর, জাতীয় পুনর্গঠন দপ্তর, জাতীয় শিক্ষা কমিশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর প্রধান হিসেবে (পরিচালক পদে) দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসচিব হিসেবে ১৯৭৩-৭৪ সময়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতায় যোগ দেন এবং বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ১৯৯৮ সালে জাতীয় অধ্যাপক পদে বৃত হন। দেশের সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি। কবীর চৌধুরী ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে আমৃত্যু বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, থিয়েটার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট, থিয়েটার, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
বাংলাদেশের অনুবাদ সাহিত্যের পুরোধা ছিলেন তিনি। বিচিত্র তাঁর অনুবাদ ও মৌলিক রচনার সম্ভার। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় আড়াই শ। তিন কন্যা, স্ত্রী আর দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেলেন তিনি।
মরদেহ বাসভবনেই রাখা হয়েছিল বিকেল পর্যন্ত। তাঁর ইচ্ছাও ছিল তাই। মেয়ে শাহীন কবীর বলেন, ‘২০০৬ সালেই বাবা ডায়েরিতে তাঁর অন্তিম ইচ্ছার কথা সংক্ষেপে লিখে রেখেছিলেন। তলস্তয়ের যেমন রেলস্টেশনে মৃত্যু হয়েছিল, তেমনি তিনিও চেয়েছিলেন কোনো নিরিবিলি লেকের পাড়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে মৃত্যুকে বরণ করতে। শবযাত্রার আড়ম্বর-আনুষ্ঠানিকতায় হয়তো তাঁর বিতৃষ্ণা জন্মেছিল। তাই এসব এড়াতে চেয়েছিলেন। টেলিফোনে আত্মীয়স্বজনকে মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে খুবই দ্রুত তাঁকে কবর দিতে বলেছিলেন। সময়ও উল্লেখ করেছেন যেন সাত থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে সব সম্পন্ন করা হয়। বাড়ির কাছের মসজিদে জানাজার পর সাধারণ কোনো গোরস্থানে খুবই সাধারণভাবে যেন কবর দেওয়া হয়; যেন ভবিষ্যতে তাঁর কবরের ওপরে অন্য কারও কবর হতে পারে। মৃত্যুর পরেও কুলখানি বা চল্লিশা বা শোকসভার মতো আয়োজনও এড়াতে বলেছেন। একান্তই এড়ানো সম্ভব না হলে স্মরণসভার আয়োজন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।’ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর অন্তিম ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অন্ত্যেষ্টির আনুষ্ঠানিকতা ত্যাগ করা হয়।
নিভৃতেই প্রস্থান চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যে মানুষটিকে জাতি তার ঘোরতর সংকট, দুর্দিনে এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে পেয়েছে, তাঁর অন্তিমযাত্রায় শোকে-সমবেদনায় পাশে দাঁড়িয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করবে না, তা হয় কেমন করে। সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিক, সাংসদ, মন্ত্রীরা এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বেদনাহত চিত্তে ছুটে গেছেন তাঁর বাসভবনে।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা একটায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটান। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কবীর চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
বেলা তিনটায় বাসভবন থেকে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। বাদ আসর জানাজার পর সশস্ত্র সালামের মধ্য দিয়ে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তিম সম্মাননা জানানো হয়। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অন্তিমশয্যায় শায়িত করা হয় তাঁকে।
শোকসভা: সম্ভব হলে শোকসভা এড়াতে বলেছিলেন তিনি। তবে এড়ানো যাচ্ছে না। বাংলা একাডেমী তাদের সভাপতি কবীর চৌধুরীর স্মরণে ১৭ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় শোকসভার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নাগরিক শোকসভার আয়োজন করেছে ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষাজীবন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন। বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে দেশের নানা সরকারি কলেজে অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি খাদ্য বিভাগ, লোকপ্রশাসন ইনস্টিটিউট, জনশিক্ষা দপ্তর, জাতীয় পুনর্গঠন দপ্তর, জাতীয় শিক্ষা কমিশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর প্রধান হিসেবে (পরিচালক পদে) দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসচিব হিসেবে ১৯৭৩-৭৪ সময়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতায় যোগ দেন এবং বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ১৯৯৮ সালে জাতীয় অধ্যাপক পদে বৃত হন। দেশের সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি। কবীর চৌধুরী ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে আমৃত্যু বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, থিয়েটার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট, থিয়েটার, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
বাংলাদেশের অনুবাদ সাহিত্যের পুরোধা ছিলেন তিনি। বিচিত্র তাঁর অনুবাদ ও মৌলিক রচনার সম্ভার। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় আড়াই শ। তিন কন্যা, স্ত্রী আর দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেলেন তিনি।
No comments