আজ ডবি্লউটিও সম্মেলন-বাংলাদেশের নেতৃত্বে যৌথ এলডিসি ঘোষণা
বশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি মন্দার আশঙ্কার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুরু হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবি্লউটিও) অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। এরই মধ্যে ডবি্লউটিওর সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা জেনেভা এসে পেঁৗছেছেন। বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের অভিন্ন অবস্থা নির্ধারণের জন্য গতকাল বুধবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশের নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) আলাদা বৈঠক করেছে। আলাদা বৈঠক হয়েছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের
মধ্যেও। আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) জেনেভা আন্তর্জাতিক কনভেশন সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। এলডিসি দেশগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে বাংলাদেশ গতকালের বৈঠকের নেতৃত্ব দেয়। বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে এলডিসিগুলো একটি অভিন্ন অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে। বৈঠকে তারা একটি যৌথ ঘোষণা প্রণয়ন করেছে। তবে ওই ঘোষণায় উন্নত দেশে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা নিয়ে এলডিসিগুলো কোনো সুনির্দিষ্ট অবস্থান নেয়নি। তারা এর আগে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা দ্রুত দোহা রাউন্ডের আলোচনা শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা সদ্য বিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সমকালকে বলেন, এলডিসিগুলোর বৈঠকে একটি ঘোষণা দেওয়া যাবে তা এক মাস আগেও আশা করিনি। তবে শেষ পর্যন্ত একটা যৌথ ঘোষণা প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, দোহা উন্নয়ন আলোচনা শেষ করতে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। এলডিসিগুলো এই আলোচনার দ্রুত সমাপ্তি চায়। গতকালের বৈঠকে এ ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। এ ছাড়া সেবা খাতে উন্নত দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে যাতে ছাড় দেয় সে বিষয়েও সবাই মিলে তাগিদ দেবে।
ফারুক খান আরও বলেন, বাণিজ্য সংক্রান্ত মেধাস্বত্ব আইনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ অন্যান্য এলডিসি যাতে ২০১৩ সালের পরও ছাড় পায় এবং ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের পরও যাতে ছাড় পায় এ ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া হংকং সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ফারুক খান আরও জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্যমন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানেও একটি যৌথ অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ফারুক খান গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
ফারুক খান আরও বলেন, বাণিজ্য সংক্রান্ত মেধাস্বত্ব আইনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ অন্যান্য এলডিসি যাতে ২০১৩ সালের পরও ছাড় পায় এবং ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের পরও যাতে ছাড় পায় এ ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া হংকং সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ফারুক খান আরও জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্যমন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানেও একটি যৌথ অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ফারুক খান গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
No comments