জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলবে-খালেদার আবেদন খারিজ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার চলতে বাধা নেই। মামলা বাতিলে খালেদার আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বিচারিক আদালতে মামলা চলবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলাটি বাতিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ ও এস এইচ মো. নূরুল হুদা
জায়গীরদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশের পর বিএনপিপন্থী কিছু আইনজীবী আদালতের পেছন থেকে হৈচৈ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় করা এ মামলায় খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ছাড়াও সাবেক মুখ্যসচিব কামাল ছিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের এতিম তহবিলের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ভুয়া স্থায়ী আমানতের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। কুয়েতের তৎকালীন আমির চার কোটি টাকার এই অনুদান দিয়েছিলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে খালেদা জিয়া এই ট্রাস্টটি গঠন করেন।
গতকালের আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা থাকল না।
আনিসুল হক আরো বলেন, মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসামিদের অপরাধ আমলে নেন। এরপর মামলা বাতিলের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এখন হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করায় কমিশন মামলার কার্যক্রম শুরুর জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন জানাবে। আসামিকে আদালতে হাজির হতে বলা হবে। তারপর তাঁর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হবে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন। তিনি বলেন, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে যে টাকা বিদেশ থেকে এসেছে তার অপব্যবহার হয়েছিল। আমরা বলেছি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এ তথ্য সঠিক নয়।'
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরো বলেন, 'আদালত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ না করে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানতে পারব মামলাটি কী কারণে খারিজ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আপিল করার নির্দেশনা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কপি পেলেই তবে আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।'
শুনানিতে মামলাটি বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মামলা বাতিল না করার পক্ষে যুক্তি দেন।
খালেদা ও তারেকের আবেদনে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে জানতে চান, মামলাটি কেন বাতিল হবে না। হাইকোর্টের দেওয়া এই রুলের নিষ্পত্তি করতে গত অক্টোবরে দুর্নীতি দমন কমিশন আদালতে আবেদন করে।
গত ৩০ নভেম্বর ওই আদেশের শুনানিতে বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চে সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। তা নামঞ্জুর হলে তাঁরা আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি লিখিত আবেদন দেন। আদালত শুনানি শেষে ওই দিনই আবেদনটি খারিজ করে দেন।
অনাস্থা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান খালেদার আইনজীবীরা। গত সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রুলের শুনানির জন্য খোন্দকার মূসা খালেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে খালেদার মামলা বাতিলের আবেদনটি নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়, দুদক ও সরকারের প্রতি জারি করা রুল খারিজ করা হলো। আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতে বিচার চলবে।
এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেকসহ চারজন জামিনে আছেন। মোমিনুর রহমান ও শরফুদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় করা এ মামলায় খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ছাড়াও সাবেক মুখ্যসচিব কামাল ছিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মোমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের এতিম তহবিলের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ভুয়া স্থায়ী আমানতের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। কুয়েতের তৎকালীন আমির চার কোটি টাকার এই অনুদান দিয়েছিলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে খালেদা জিয়া এই ট্রাস্টটি গঠন করেন।
গতকালের আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা থাকল না।
আনিসুল হক আরো বলেন, মামলায় খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসামিদের অপরাধ আমলে নেন। এরপর মামলা বাতিলের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এখন হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করায় কমিশন মামলার কার্যক্রম শুরুর জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন জানাবে। আসামিকে আদালতে হাজির হতে বলা হবে। তারপর তাঁর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হবে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন। তিনি বলেন, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে যে টাকা বিদেশ থেকে এসেছে তার অপব্যবহার হয়েছিল। আমরা বলেছি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এ তথ্য সঠিক নয়।'
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরো বলেন, 'আদালত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ না করে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানতে পারব মামলাটি কী কারণে খারিজ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আপিল করার নির্দেশনা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কপি পেলেই তবে আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।'
শুনানিতে মামলাটি বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মামলা বাতিল না করার পক্ষে যুক্তি দেন।
খালেদা ও তারেকের আবেদনে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে জানতে চান, মামলাটি কেন বাতিল হবে না। হাইকোর্টের দেওয়া এই রুলের নিষ্পত্তি করতে গত অক্টোবরে দুর্নীতি দমন কমিশন আদালতে আবেদন করে।
গত ৩০ নভেম্বর ওই আদেশের শুনানিতে বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চে সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। তা নামঞ্জুর হলে তাঁরা আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি লিখিত আবেদন দেন। আদালত শুনানি শেষে ওই দিনই আবেদনটি খারিজ করে দেন।
অনাস্থা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান খালেদার আইনজীবীরা। গত সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রুলের শুনানির জন্য খোন্দকার মূসা খালেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে খালেদার মামলা বাতিলের আবেদনটি নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়, দুদক ও সরকারের প্রতি জারি করা রুল খারিজ করা হলো। আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতে বিচার চলবে।
এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেকসহ চারজন জামিনে আছেন। মোমিনুর রহমান ও শরফুদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
No comments