আফগানিস্তানে মার্কিন ‘খুনে দল’ by মালালাই জয়া
গত সপ্তাহে জার্মান গণমাধ্যমে এবং পরে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ন্যক্কারজনক ও হূদয়বিদারক আলোকচিত্রগুলো অবশেষে আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে কতগুলো বীভৎস সত্য বহু মানুষের সামনে নিয়ে এসেছে। এই যুদ্ধের জনসংযোগ তৎপরতায় বহুল উচ্চারিত শব্দযুগল গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, যখন দেখা যায় নিরীহ বেসামরিক আফগানদের হত্যা ও পঙ্গু করে মার্কিন সেনারা তাদের সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তোলে।
আমাকে বলতেই হচ্ছে, গুটিকতক উচ্ছৃঙ্খল সেনা এমন কীর্তি করেছে—এ কথা আফগান জনগণ মোটেই বিশ্বাস করে না। আমরা বিশ্বাস করি যে, এসব ‘খুনে দলের’ বর্বর কাজ পুরো সামরিক অভিযানের অপরিহার্য অঙ্গ যে আগ্রাসন ও বর্ণবাদ, তাকেই প্রকাশ করে। ছবিগুলো নতুন, নিরীহ মানুষ হত্যা নতুন তো নয়। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা আফগানিস্তানে নানা প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে—সাধারণ আফগান নাগরিকের মনে আমেরিকাবিরোধী মনোভাব তীব্রভাবে বাড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার গণমাধ্যম সেনাদের এসব ছবি ছাপতে চায়নি। এতে আমি আশ্চর্য হইনি। শোনা গেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের প্রধান কর্তা জেনারেল পেট্রায়ুস জনমত তৈরির জন্য ‘তথ্যযুদ্ধের’ ওপর বিরাট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তা ছাড়া, মার্কিন মুলুকে আফগানিস্তানের বাস্তবতা দৃষ্টির বাইরে রাখার সম্মিলিত প্রচেষ্টা তো জারি আছেই।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা পেতে আমার প্রাথমিক আবেদনটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই কয়েকটি শহরে আমার বই বিষয়ে পরিকল্পিত আলোচনা পিছিয়ে দিতে হলো। আমার সমর্থকেরা সোচ্চার হলেন তাদের দেশে আমার প্রবেশাধিকার বিষয়ে। আমাকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার জন্য তাঁরা মার্কিন সরকারের ওপর চাপ দিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এত সব করেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান যুদ্ধের সত্যকে আটকে রাখতে পারবে না।
‘খুনে দলের’ ছবিগুলো আফগানিস্তানের বাইরের মানুষের মনে চোট লাগাতে পারে, কিন্তু আমাদের মনে লাগায় না। পাখির মতো করে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী নিরীহ আফগানদের হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য ঘটনা আমরা দেখেছি। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক এক ঘটনা বয়ান করছি: কুনার প্রদেশে সম্প্রতি কাঠ কুড়ানি নয়জন শিশুকে মেরে ফেলেছে এরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসী—যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু—এদের হাতে শহীদ হয়েছে। বহু জায়গার মতোই এখানেও ন্যাটো দাবি করেছে, তারা শুধু বিদ্রোহী মেরেছে, যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহত ব্যক্তিরা বেসামরিক জনগণ। এমনকি সত্য যেন না প্রকাশিত হতে পারে, সে জন্য আল-জাজিরার দুই সাংবাদিককে তারা গ্রেপ্তার করেছে। তাদের অপরাধ, পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদ্বয় হত্যাযজ্ঞের স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
একের পর এক যত মার্কিন কর্মকর্তা আসছেন, সবাই বলছেন, বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেবেন, এ ব্যাপারে তাঁরা আরও সতর্ক হবেন। কিন্তু আসলে তাঁরা নিজেদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টাতেই আরও সতর্ক হয়েছেন; সতর্ক হয়েছেন সেই সব অপরাধ প্রকাশিত না হওয়ার ব্যবস্থা করতে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোই সাধারণত বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান হাজির করে। নিহতের সংখ্যা কমিয়ে বলা হয়। সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার পদক্ষেপ বাস্তবে শুধু উভয় পক্ষে সহিংসতাই বৃদ্ধি করেছে, বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যাই বাড়িয়েছে।
দখলদার সেনাবাহিনী নিহত বেসামরিক নাগরিকদের পরিবারকে অর্থ দিয়ে কিনতে চেষ্টা করেছে—প্রতিজনের মৃত্যুর বিনিময়ে দুই হাজার ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আফগান নাগরিকদের জীবন অনেক সস্তা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে। কিন্তু তারা যত ডলার দেওয়ারই প্রস্তাব করুক না কেন, তাদের এই রক্তলাগা অর্থ আমরা চাই না।
যে-ই মাত্র আপনি এসব কথা জেনে যান আর ‘খুনে সেনা দলের’ ছবি দেখেন, তখনই আপনি আরও পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করবেন, আফগানরা কেন এই দখলদারির বিরুদ্ধে। কারজাই সরকারের প্রতি জনগণের ঘৃণা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তাঁর শাসন টিকে আছে ভীতি সঞ্চার, দুর্নীতি আর দখলদার বাহিনীর সহায়তায়। এমন অপশাসন আফগান জনগণের প্রাপ্য নয়।
তবে, এর মানে এই নয় যে তালেবানের প্রতিক্রিয়াশীল তথাকথিত প্রতিরোধের প্রতি আফগান জনগণের সমর্থন বাড়ছে। বরং উল্টো চিত্রই দেখছি। খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আফগান শিক্ষার্থী, নারী ও সাধারণ গরিব মানুষদের নেতৃত্বে বেড়ে চলেছে আরেক প্রতিরোধ। তারা রাজপথে এসে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করছে, যুদ্ধ অবসানের দাবি করছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে এমন সমাবেশ হয়েছে কাবুলে, মাজার-ই-শরিফে, জালালাবাদ ও ফারাহে। এসব প্রতিরোধের উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করেছে মিসর ও তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলোর আন্দোলন। আফগানিস্তানেও আমরা ‘জনশক্তি’র উদ্বোধন দেখতে চাই। এসব প্রতিরোধে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর জনগণের সহায়তা ও সংহতিও আমাদের জন্য দরকারি।
আফগানিস্তানে ব্যয়বহুল, কপট যুদ্ধের বিরুদ্ধে বহু নতুন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। ন্যাটো সেনাবাহিনীর সেনারাও এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। শেষবার যখন যুক্তরাজ্যে গেলাম, তখন জো গ্লেনটন নামের এক বিবেকবান মানুষের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আফগানিস্তান যুদ্ধের বিরোধিতা করায় তাঁকে কয়েক মাস জেল খাটতে হয়েছিল। কারাজীবন সম্পর্কে গ্লেনটন বলেছিলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কারাদণ্ড ভোগ করাকে আমি সম্মানজনক ব্যাজ বলে গণ্য করি।’
সুতরাং, ‘খুনে সেনা দলের’ ছবি দেখে বিশ্ববাসী যখন আতঙ্কিত, সেই সময়ে জো গ্লেনটনের সাহস ও মানবিকতা মনে করিয়ে দেয়, আফগান যুদ্ধের অবসান হোক—অনন্তকাল ধরে এ যুদ্ধ চলার কোনো মানে নেই।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
মালালাই জয়া: আফগান রাজনীতিক, নির্বাচিত সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য।
আমাকে বলতেই হচ্ছে, গুটিকতক উচ্ছৃঙ্খল সেনা এমন কীর্তি করেছে—এ কথা আফগান জনগণ মোটেই বিশ্বাস করে না। আমরা বিশ্বাস করি যে, এসব ‘খুনে দলের’ বর্বর কাজ পুরো সামরিক অভিযানের অপরিহার্য অঙ্গ যে আগ্রাসন ও বর্ণবাদ, তাকেই প্রকাশ করে। ছবিগুলো নতুন, নিরীহ মানুষ হত্যা নতুন তো নয়। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা আফগানিস্তানে নানা প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে—সাধারণ আফগান নাগরিকের মনে আমেরিকাবিরোধী মনোভাব তীব্রভাবে বাড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার গণমাধ্যম সেনাদের এসব ছবি ছাপতে চায়নি। এতে আমি আশ্চর্য হইনি। শোনা গেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের প্রধান কর্তা জেনারেল পেট্রায়ুস জনমত তৈরির জন্য ‘তথ্যযুদ্ধের’ ওপর বিরাট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তা ছাড়া, মার্কিন মুলুকে আফগানিস্তানের বাস্তবতা দৃষ্টির বাইরে রাখার সম্মিলিত প্রচেষ্টা তো জারি আছেই।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা পেতে আমার প্রাথমিক আবেদনটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই কয়েকটি শহরে আমার বই বিষয়ে পরিকল্পিত আলোচনা পিছিয়ে দিতে হলো। আমার সমর্থকেরা সোচ্চার হলেন তাদের দেশে আমার প্রবেশাধিকার বিষয়ে। আমাকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার জন্য তাঁরা মার্কিন সরকারের ওপর চাপ দিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এত সব করেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান যুদ্ধের সত্যকে আটকে রাখতে পারবে না।
‘খুনে দলের’ ছবিগুলো আফগানিস্তানের বাইরের মানুষের মনে চোট লাগাতে পারে, কিন্তু আমাদের মনে লাগায় না। পাখির মতো করে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী নিরীহ আফগানদের হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য ঘটনা আমরা দেখেছি। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক এক ঘটনা বয়ান করছি: কুনার প্রদেশে সম্প্রতি কাঠ কুড়ানি নয়জন শিশুকে মেরে ফেলেছে এরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসী—যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু—এদের হাতে শহীদ হয়েছে। বহু জায়গার মতোই এখানেও ন্যাটো দাবি করেছে, তারা শুধু বিদ্রোহী মেরেছে, যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহত ব্যক্তিরা বেসামরিক জনগণ। এমনকি সত্য যেন না প্রকাশিত হতে পারে, সে জন্য আল-জাজিরার দুই সাংবাদিককে তারা গ্রেপ্তার করেছে। তাদের অপরাধ, পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদ্বয় হত্যাযজ্ঞের স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
একের পর এক যত মার্কিন কর্মকর্তা আসছেন, সবাই বলছেন, বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেবেন, এ ব্যাপারে তাঁরা আরও সতর্ক হবেন। কিন্তু আসলে তাঁরা নিজেদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টাতেই আরও সতর্ক হয়েছেন; সতর্ক হয়েছেন সেই সব অপরাধ প্রকাশিত না হওয়ার ব্যবস্থা করতে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোই সাধারণত বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান হাজির করে। নিহতের সংখ্যা কমিয়ে বলা হয়। সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার পদক্ষেপ বাস্তবে শুধু উভয় পক্ষে সহিংসতাই বৃদ্ধি করেছে, বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যাই বাড়িয়েছে।
দখলদার সেনাবাহিনী নিহত বেসামরিক নাগরিকদের পরিবারকে অর্থ দিয়ে কিনতে চেষ্টা করেছে—প্রতিজনের মৃত্যুর বিনিময়ে দুই হাজার ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আফগান নাগরিকদের জীবন অনেক সস্তা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে। কিন্তু তারা যত ডলার দেওয়ারই প্রস্তাব করুক না কেন, তাদের এই রক্তলাগা অর্থ আমরা চাই না।
যে-ই মাত্র আপনি এসব কথা জেনে যান আর ‘খুনে সেনা দলের’ ছবি দেখেন, তখনই আপনি আরও পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করবেন, আফগানরা কেন এই দখলদারির বিরুদ্ধে। কারজাই সরকারের প্রতি জনগণের ঘৃণা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তাঁর শাসন টিকে আছে ভীতি সঞ্চার, দুর্নীতি আর দখলদার বাহিনীর সহায়তায়। এমন অপশাসন আফগান জনগণের প্রাপ্য নয়।
তবে, এর মানে এই নয় যে তালেবানের প্রতিক্রিয়াশীল তথাকথিত প্রতিরোধের প্রতি আফগান জনগণের সমর্থন বাড়ছে। বরং উল্টো চিত্রই দেখছি। খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আফগান শিক্ষার্থী, নারী ও সাধারণ গরিব মানুষদের নেতৃত্বে বেড়ে চলেছে আরেক প্রতিরোধ। তারা রাজপথে এসে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করছে, যুদ্ধ অবসানের দাবি করছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে এমন সমাবেশ হয়েছে কাবুলে, মাজার-ই-শরিফে, জালালাবাদ ও ফারাহে। এসব প্রতিরোধের উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করেছে মিসর ও তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলোর আন্দোলন। আফগানিস্তানেও আমরা ‘জনশক্তি’র উদ্বোধন দেখতে চাই। এসব প্রতিরোধে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর জনগণের সহায়তা ও সংহতিও আমাদের জন্য দরকারি।
আফগানিস্তানে ব্যয়বহুল, কপট যুদ্ধের বিরুদ্ধে বহু নতুন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। ন্যাটো সেনাবাহিনীর সেনারাও এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। শেষবার যখন যুক্তরাজ্যে গেলাম, তখন জো গ্লেনটন নামের এক বিবেকবান মানুষের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আফগানিস্তান যুদ্ধের বিরোধিতা করায় তাঁকে কয়েক মাস জেল খাটতে হয়েছিল। কারাজীবন সম্পর্কে গ্লেনটন বলেছিলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কারাদণ্ড ভোগ করাকে আমি সম্মানজনক ব্যাজ বলে গণ্য করি।’
সুতরাং, ‘খুনে সেনা দলের’ ছবি দেখে বিশ্ববাসী যখন আতঙ্কিত, সেই সময়ে জো গ্লেনটনের সাহস ও মানবিকতা মনে করিয়ে দেয়, আফগান যুদ্ধের অবসান হোক—অনন্তকাল ধরে এ যুদ্ধ চলার কোনো মানে নেই।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
মালালাই জয়া: আফগান রাজনীতিক, নির্বাচিত সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য।
No comments