বিশ্বকাপের দিনগুলো ছিল প্রচণ্ড মানসিক চাপের: ধোনি
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ধোনি, যুবরাজ, শচীন, শেবাগদের আনন্দ বিচ্ছুরিত মুখগুলো দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, কী বিরাট এক পাষাণ ভার নেমে গেছে তাঁদের বুকের ওপর থেকে! ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে ২ এপ্রিল মুম্বাইয়ের ফাইনাল। মাঝখানে ৪৫টি দিন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জানিয়েছেন, ‘এই ৪৫ দিন যে নিদারুণ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, কোনো কিছুর সঙ্গেই তার কোনো তুলনা হয় না।’
‘একটা সময় এমন হতো, যখন সামনে মজার মজার সব খাবার, কিন্তু কিছুই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।’ বলেছেন ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘পুরো দলই ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গেছে। খাওয়া-দাওয়ার রুচিও অনেকের নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।’
এই ভয়াবহ চাপের মধ্যে থেকেও ভারতীয় খেলোয়াড়েরা যে সেই চাপ জয় করতে পেরেছে, তাতে স্বস্তি ও আনন্দ দুটিই ঝড়ে পড়েছে অধিনায়ক ধোনির কণ্ঠে—‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তারা চাপ থেকে বেরিয়ে এসে এত বড় সাফল্যের অংশীদার হতে পেরেছে।’
ধোনি নিজেও চাপের বাইরে ছিলেন না। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিতর্ক হয়েছে, তিনি নিজে ব্যাপারগুলোতে সমালোচিত হয়েছেন। ব্যাট হাতে ভালো কোনো ইনিংস খেলতে না পারায় দারুণ অস্বস্তিও ছিল তাঁর। কিন্তু একেবারে আসল সময়ে সব চাপ, সমালোচনাকে জয় করলেন বিশ্বকাপজয়ী ইনিংস খেলে।
চাপের মুখে দলের ভেতরের পরিবেশ ভালো হওয়াটা সাফল্যের পূর্বশর্ত বলেই জানালেন ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ অকল্পনীয়। প্রত্যেকেই নিজেকে একটি পরিবারের মনে করেছে। একে অন্যের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভয়াবহ চাপের মধ্যে তারা পারফর্ম করেছে।’
একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় দলকে অনেকেই ব্যক্তিগত সাফল্য-নির্ভর দল হিসেবে অভিহিত করতেন। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ব্যর্থতা বা সফলতার ওপর দলের সাফল্যও নির্ভর করত। বর্তমান দলটি সেই অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে বলেই মনে করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি বলেন, ‘এই দলে ব্যক্তিগত রেকর্ড মুখ্য বিষয় নয়।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ফাইনালে শচীন ও শেবাগের তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া কোনো প্রভাব সৃষ্টি করেনি। গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি দারুণভাবে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছে। এ ছাড়া যুবরাজ সিং অনেক ম্যাচেই ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।’ ধোনির মতে, ‘যে দল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবিচল থাকে, তাদের কোনো বাধাই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।’
ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল সেটা প্রমাণও করেছে।
‘একটা সময় এমন হতো, যখন সামনে মজার মজার সব খাবার, কিন্তু কিছুই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।’ বলেছেন ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘পুরো দলই ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গেছে। খাওয়া-দাওয়ার রুচিও অনেকের নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।’
এই ভয়াবহ চাপের মধ্যে থেকেও ভারতীয় খেলোয়াড়েরা যে সেই চাপ জয় করতে পেরেছে, তাতে স্বস্তি ও আনন্দ দুটিই ঝড়ে পড়েছে অধিনায়ক ধোনির কণ্ঠে—‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তারা চাপ থেকে বেরিয়ে এসে এত বড় সাফল্যের অংশীদার হতে পেরেছে।’
ধোনি নিজেও চাপের বাইরে ছিলেন না। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিতর্ক হয়েছে, তিনি নিজে ব্যাপারগুলোতে সমালোচিত হয়েছেন। ব্যাট হাতে ভালো কোনো ইনিংস খেলতে না পারায় দারুণ অস্বস্তিও ছিল তাঁর। কিন্তু একেবারে আসল সময়ে সব চাপ, সমালোচনাকে জয় করলেন বিশ্বকাপজয়ী ইনিংস খেলে।
চাপের মুখে দলের ভেতরের পরিবেশ ভালো হওয়াটা সাফল্যের পূর্বশর্ত বলেই জানালেন ধোনি। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ অকল্পনীয়। প্রত্যেকেই নিজেকে একটি পরিবারের মনে করেছে। একে অন্যের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভয়াবহ চাপের মধ্যে তারা পারফর্ম করেছে।’
একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় দলকে অনেকেই ব্যক্তিগত সাফল্য-নির্ভর দল হিসেবে অভিহিত করতেন। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ব্যর্থতা বা সফলতার ওপর দলের সাফল্যও নির্ভর করত। বর্তমান দলটি সেই অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে বলেই মনে করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি বলেন, ‘এই দলে ব্যক্তিগত রেকর্ড মুখ্য বিষয় নয়।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ফাইনালে শচীন ও শেবাগের তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া কোনো প্রভাব সৃষ্টি করেনি। গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি দারুণভাবে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছে। এ ছাড়া যুবরাজ সিং অনেক ম্যাচেই ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।’ ধোনির মতে, ‘যে দল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অবিচল থাকে, তাদের কোনো বাধাই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।’
ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল সেটা প্রমাণও করেছে।
No comments