ক্লার্ককে ‘স্বাগত’ জানাচ্ছেন সিডন্স
২৭ জনের বহর পাঁচ ভাগে এলেও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের অংশটা ঢাকা পৌঁছে যাচ্ছে আজ রাতেই। রাত আটটা পাঁচ মিনিটে ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইটে আসবেন ৫ জন। খেলোয়াড়দের বাকি অংশ পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সফরটাকেও অস্ট্রেলিয়া গুরুত্ব দিয়ে দেখবে সন্দেহ নেই। তবে তিন ওয়ানডের এই সিরিজ আসল পরীক্ষা নেবে মাইকেল ক্লার্কের। রিকি পন্টিং নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর অধিনায়ক ক্লার্কের প্রথম সিরিজ এটাই।
জেমি সিডন্স অধিনায়ক ক্লার্ককে কাছ থেকে দেখেননি। তার পরও অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্কের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ‘অধিনায়ক ক্লার্ককে এখনো দেখা হয়নি আমার। তবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক ছিল সে। ওখানে তার রেকর্ড খুবই ভালো। অধিনায়কত্ব অনেক সময় ভালো খেলোয়াড়কে আরও ভালো করে, খারাপ খেলোয়াড়কেও বানিয়ে দেয় ভালো খেলোয়াড়। ক্লার্ক এমনিতেই ভালো ক্রিকেটার, অধিনায়ক হিসেবেও ভালো করবে আশা করি।’ তবে অধিনায়কত্বে সফল হতে হলে ক্লার্কের জন্য সতীর্থদের সমর্থনটাকেও গুরুত্বপূর্ণ মানেন সিডন্স।
একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে নতুন অধিনায়ক ক্লার্কের মঙ্গল চাইলেও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে অন্তত এই সিরিজে সেটা নিশ্চয়ই চাইবেন না সিডন্স। সে ক্ষেত্রে বরং সিডন্সের স্বাগত জানানোর সুরটা একটু অন্য রকমই। কাল টেলিফোনে বলছেন, ৯ এপ্রিল থেকে শুরু সিরিজে ক্লার্কই হবেন তাদের প্রথম লক্ষ্য, ‘সব দলই চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে টার্গেট করতে। আমরাও সে রকমই চাইব। অধিনায়ককে চাপে ফেলতে পারলে দলের বাকিদের চাপে ফেলার কাজটাও সহজ হয়ে যায়।’
বাংলাদেশের কোচ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এটা দ্বিতীয় সাক্ষাৎ সিডন্সের। ২০০৮ সালে প্রথম সাক্ষাৎটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতেই। সেবারও সিরিজটা ছিল তিন ওয়ানডের এবং তাতে কোনো টেস্ট ছিল না। তিনটি ওয়ানডেই হয়েছিল ডারউইনে। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ২৫৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৭৪ রানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৭ রান করে ৮ উইকেটের হার। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৮ রানে বেঁধে ফেলেও বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে গিয়েছিল ১২৫ রানেই। দেশের মাটিতে এবার সে রকম পরিস্থিতি হবে না বলেই বিশ্বাস সিডন্সের, ‘আমাদের স্পিনারদের ভালো করতে হবে এবং আশা করি, তারা সেটা করবে। আমাদের স্পিন বোলিংয়ে বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা থাকবেই। সঙ্গে আমরা যদি বড় রান করতে পারি, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে আশা করি। হোক তারা বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দল...।’
সাকিব-রাজ্জাকদের স্পিনের সঙ্গে নতুন বলে পেসার শফিউল ইসলামের ওপরই যথেষ্ট আস্থা কোচের, ‘স্পিন সব সময়ই আমাদের বড় শক্তি। তবে শফিউলের বোলিংটাও এই সিরিজে কার্যকর হবে আশা করি। ওর বোলিং হবে বোনাস। শফিউল একটা ভালো শুরু এনে দিতে পারলে স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যাবে।’
বোলিং নিয়ে কিছুটা হলেও নির্ভার সিডন্সের সব চিন্তা এই সিরিজে ব্যাটিং নিয়ে। চার নম্বর আর সাত নম্বরে কাকে খেলাবেন, সেই সমীকরণ এখনো মেলাতে পারেননি কোচ, ‘সত্যি বলতে কি আগের ব্যাটিং-অর্ডারটা ধরে রাখতে পারলেই ভালো হতো। তবে শাহরিয়ার নাফীস আছে, ও তিনে খেলবে। আমাদের শুধু এখন বের করতে হবে চার নম্বর আর সাত নম্বরে কারা ব্যাট করবে। এই দুই চিন্তাই এখন বেশি করে করতে হচ্ছে। আমাদের এমন দুজন ব্যাটসম্যান খুঁজে বের করতে হবে যারা সত্যিকার অর্থেই এই দুটি জায়গায় অবদান রাখতে পারে।’
বিশ্বকাপের পর কি তাহলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও দেখা যাবে ব্যাটিং-অর্ডার নিয়ে গবেষণা
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সফরটাকেও অস্ট্রেলিয়া গুরুত্ব দিয়ে দেখবে সন্দেহ নেই। তবে তিন ওয়ানডের এই সিরিজ আসল পরীক্ষা নেবে মাইকেল ক্লার্কের। রিকি পন্টিং নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর অধিনায়ক ক্লার্কের প্রথম সিরিজ এটাই।
জেমি সিডন্স অধিনায়ক ক্লার্ককে কাছ থেকে দেখেননি। তার পরও অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্কের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ‘অধিনায়ক ক্লার্ককে এখনো দেখা হয়নি আমার। তবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক ছিল সে। ওখানে তার রেকর্ড খুবই ভালো। অধিনায়কত্ব অনেক সময় ভালো খেলোয়াড়কে আরও ভালো করে, খারাপ খেলোয়াড়কেও বানিয়ে দেয় ভালো খেলোয়াড়। ক্লার্ক এমনিতেই ভালো ক্রিকেটার, অধিনায়ক হিসেবেও ভালো করবে আশা করি।’ তবে অধিনায়কত্বে সফল হতে হলে ক্লার্কের জন্য সতীর্থদের সমর্থনটাকেও গুরুত্বপূর্ণ মানেন সিডন্স।
একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে নতুন অধিনায়ক ক্লার্কের মঙ্গল চাইলেও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে অন্তত এই সিরিজে সেটা নিশ্চয়ই চাইবেন না সিডন্স। সে ক্ষেত্রে বরং সিডন্সের স্বাগত জানানোর সুরটা একটু অন্য রকমই। কাল টেলিফোনে বলছেন, ৯ এপ্রিল থেকে শুরু সিরিজে ক্লার্কই হবেন তাদের প্রথম লক্ষ্য, ‘সব দলই চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে টার্গেট করতে। আমরাও সে রকমই চাইব। অধিনায়ককে চাপে ফেলতে পারলে দলের বাকিদের চাপে ফেলার কাজটাও সহজ হয়ে যায়।’
বাংলাদেশের কোচ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এটা দ্বিতীয় সাক্ষাৎ সিডন্সের। ২০০৮ সালে প্রথম সাক্ষাৎটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতেই। সেবারও সিরিজটা ছিল তিন ওয়ানডের এবং তাতে কোনো টেস্ট ছিল না। তিনটি ওয়ানডেই হয়েছিল ডারউইনে। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ২৫৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৭৪ রানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৭ রান করে ৮ উইকেটের হার। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৮ রানে বেঁধে ফেলেও বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে গিয়েছিল ১২৫ রানেই। দেশের মাটিতে এবার সে রকম পরিস্থিতি হবে না বলেই বিশ্বাস সিডন্সের, ‘আমাদের স্পিনারদের ভালো করতে হবে এবং আশা করি, তারা সেটা করবে। আমাদের স্পিন বোলিংয়ে বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা থাকবেই। সঙ্গে আমরা যদি বড় রান করতে পারি, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে আশা করি। হোক তারা বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দল...।’
সাকিব-রাজ্জাকদের স্পিনের সঙ্গে নতুন বলে পেসার শফিউল ইসলামের ওপরই যথেষ্ট আস্থা কোচের, ‘স্পিন সব সময়ই আমাদের বড় শক্তি। তবে শফিউলের বোলিংটাও এই সিরিজে কার্যকর হবে আশা করি। ওর বোলিং হবে বোনাস। শফিউল একটা ভালো শুরু এনে দিতে পারলে স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যাবে।’
বোলিং নিয়ে কিছুটা হলেও নির্ভার সিডন্সের সব চিন্তা এই সিরিজে ব্যাটিং নিয়ে। চার নম্বর আর সাত নম্বরে কাকে খেলাবেন, সেই সমীকরণ এখনো মেলাতে পারেননি কোচ, ‘সত্যি বলতে কি আগের ব্যাটিং-অর্ডারটা ধরে রাখতে পারলেই ভালো হতো। তবে শাহরিয়ার নাফীস আছে, ও তিনে খেলবে। আমাদের শুধু এখন বের করতে হবে চার নম্বর আর সাত নম্বরে কারা ব্যাট করবে। এই দুই চিন্তাই এখন বেশি করে করতে হচ্ছে। আমাদের এমন দুজন ব্যাটসম্যান খুঁজে বের করতে হবে যারা সত্যিকার অর্থেই এই দুটি জায়গায় অবদান রাখতে পারে।’
বিশ্বকাপের পর কি তাহলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও দেখা যাবে ব্যাটিং-অর্ডার নিয়ে গবেষণা
No comments