ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ফাটল বন্ধের চেষ্টা চলছে
জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের একটি ধারকে সৃষ্ট ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রটির কর্মীরা। ওই ফাটল দিয়ে তেজস্ক্রিয়তামিশ্রিত পানি সাগরে গিয়ে পড়ছে। এদিকে সুনামির আঘাতে নিহত ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের দুই কর্মীর মৃতদেহ গত বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে। জীবাণুমুক্ত করার পর মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের সংকট বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের উপদেষ্টা গোশি হোসোনো বলেন, এটি হতে যাচ্ছে দীর্ঘ একটি লড়াই। ফুজি টেলিভিশনকে এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘এই পারমাণবিক কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি নিঃশেষিত জ্বালানি রড রয়েছে। এগুলোকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
গোশি হোসোনো বলেন, ফাটল দিয়ে এখনো তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হচ্ছে, এটা অগ্রহণযোগ্য। তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হওয়ার বিষয়টি মানুষের মাঝে উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, সব ফাটল বন্ধ করে দেওয়ার পর্যায়ে যেতে সম্ভবত কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ২ নম্বর চুল্লির কাছে কনক্রিটের একটি ধারকে সৃষ্ট ২০ সেন্টিমিটার (আট ইঞ্চি) ফাটল বন্ধ করার জন্য পানি-শোষক পলিমার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পরমাণু কেন্দ্রটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) কর্মীরা। এই ফাটল দিয়ে তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে গিয়ে পড়ছে। এর আগে এই ফাটল বন্ধ করার জন্য সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এতে সফল হননি কেন্দ্রটির কর্মীরা।
পরমাণু সুরক্ষা এজেন্সির একজন কর্মকর্তা বলেন, ধারকে সিমেন্ট ঢালার পর পানি বের হওয়ার পরিমাণে কোনো হেরফের হয়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ফাটল একেবারে বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার টেপকোর।
পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে পানি চুইয়ে সাগরে পড়ার কারণেই সাগরের পানিতে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন-১৩১-এর পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে চার হাজার গুণ বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউক্লিয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি এজেন্সির (এনআইএসএ) উপমহাপরিচালক হিদেহিকো নিশিইয়ামা বলেন, তাঁরা আশা করছেন, পলিমার পানি শুষে নেবে ও ফাঁকা জায়গা পূরণ করবে। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের সংকট বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের উপদেষ্টা গোশি হোসোনো বলেন, এটি হতে যাচ্ছে দীর্ঘ একটি লড়াই। ফুজি টেলিভিশনকে এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘এই পারমাণবিক কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি নিঃশেষিত জ্বালানি রড রয়েছে। এগুলোকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
গোশি হোসোনো বলেন, ফাটল দিয়ে এখনো তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হচ্ছে, এটা অগ্রহণযোগ্য। তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হওয়ার বিষয়টি মানুষের মাঝে উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, সব ফাটল বন্ধ করে দেওয়ার পর্যায়ে যেতে সম্ভবত কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ২ নম্বর চুল্লির কাছে কনক্রিটের একটি ধারকে সৃষ্ট ২০ সেন্টিমিটার (আট ইঞ্চি) ফাটল বন্ধ করার জন্য পানি-শোষক পলিমার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পরমাণু কেন্দ্রটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) কর্মীরা। এই ফাটল দিয়ে তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে গিয়ে পড়ছে। এর আগে এই ফাটল বন্ধ করার জন্য সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এতে সফল হননি কেন্দ্রটির কর্মীরা।
পরমাণু সুরক্ষা এজেন্সির একজন কর্মকর্তা বলেন, ধারকে সিমেন্ট ঢালার পর পানি বের হওয়ার পরিমাণে কোনো হেরফের হয়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ফাটল একেবারে বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার টেপকোর।
পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে পানি চুইয়ে সাগরে পড়ার কারণেই সাগরের পানিতে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন-১৩১-এর পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে চার হাজার গুণ বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউক্লিয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি এজেন্সির (এনআইএসএ) উপমহাপরিচালক হিদেহিকো নিশিইয়ামা বলেন, তাঁরা আশা করছেন, পলিমার পানি শুষে নেবে ও ফাঁকা জায়গা পূরণ করবে। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
No comments