আফগানিস্তানে বিক্ষোভ অব্যাহত আরও একজনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে উগ্রপন্থী খ্রিষ্টান যাজকের তত্ত্বাবধানে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার জেরে গতকাল রোববারও আফগানিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় সহিংসতায় একজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে সহিংসতার নিন্দা জানান তিনি।
এদিকে কর্মীদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলেও আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে জাতিসংঘ।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের কান্দাহার প্রদেশে গতকাল শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভে অংশ নেয়। তিনটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভকারীরা ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’, ‘কারজাইয়ের মৃত্যু হোক’, ‘আমাদের পবিত্র কোরআনকে অসম্মান করা হয়েছে’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। কান্দাহার প্রদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক আবদুল কাইয়ুম পুখলা বলেন, ‘আহত ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি একজন কর্মকর্তা জানান, সহিংসতায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমারি বাশারি জানান, জালালাবাদ শহরে শত শত ছাত্র রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। তারা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছে।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গত শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এতে তিনি বলেন, ‘শুধু কোরআন নয়, যেকোনো ধর্মগ্রন্থের অসম্মান করা চরম অসহিষ্ণুতা ও গোঁড়ামি। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’ কোরআন পোড়ানোর জের ধরে আফগানিস্তানে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একই বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘কোনো ধর্মই মানুষ হত্যা ও নিরীহ মানুষের ওপর হামলা সমর্থন করে না।’
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি স্টাফান ডি মিসটুরা জানান, জাতিসংঘ মিশনে হামলা হলেও আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। মাজার ই শরিফ থেকে সাময়িকভাবে সব কর্মীকে কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে শিগগিরই তাঁরা কাজের জন্য সেখানে ফিরবেন। গত শনিবার রাতে কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিসটুরা জানান, সাত থেকে ১৫ জনের একটি দল জাতিসংঘ মিশনে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলার সময় আফগান কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। মিসটুরা বলেন, দুই থেকে তিন হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিল। এ সময় পুলিশের উচিত ছিল, বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখা। কিন্তু তা করা হয়নি। মিশনের রক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েনি বলেও দাবি করেন তিনি।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি গির্জায় উগ্রপন্থী যাজকের তত্ত্বাবধানে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে আফগানিস্তানে গত শনিবার মাজার ই শরিফে জাতিসংঘ মিশনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এতে জাতিসংঘের সাত কর্মীসহ ১০ জন নিহত হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযান শুরু হওয়ার পর দেশটিতে জাতিসংঘ মিশনে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এর আগের দিন গত শুক্রবার হামলায় সাতজন নিহত হয়। কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সহিংসতায় এ পর্যন্ত মোট ১৮ জন নিহত হলো।
এদিকে কর্মীদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলেও আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে জাতিসংঘ।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের কান্দাহার প্রদেশে গতকাল শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভে অংশ নেয়। তিনটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভকারীরা ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’, ‘কারজাইয়ের মৃত্যু হোক’, ‘আমাদের পবিত্র কোরআনকে অসম্মান করা হয়েছে’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। কান্দাহার প্রদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক আবদুল কাইয়ুম পুখলা বলেন, ‘আহত ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি একজন কর্মকর্তা জানান, সহিংসতায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমারি বাশারি জানান, জালালাবাদ শহরে শত শত ছাত্র রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। তারা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছে।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গত শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এতে তিনি বলেন, ‘শুধু কোরআন নয়, যেকোনো ধর্মগ্রন্থের অসম্মান করা চরম অসহিষ্ণুতা ও গোঁড়ামি। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’ কোরআন পোড়ানোর জের ধরে আফগানিস্তানে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একই বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘কোনো ধর্মই মানুষ হত্যা ও নিরীহ মানুষের ওপর হামলা সমর্থন করে না।’
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি স্টাফান ডি মিসটুরা জানান, জাতিসংঘ মিশনে হামলা হলেও আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। মাজার ই শরিফ থেকে সাময়িকভাবে সব কর্মীকে কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে শিগগিরই তাঁরা কাজের জন্য সেখানে ফিরবেন। গত শনিবার রাতে কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিসটুরা জানান, সাত থেকে ১৫ জনের একটি দল জাতিসংঘ মিশনে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলার সময় আফগান কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। মিসটুরা বলেন, দুই থেকে তিন হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিল। এ সময় পুলিশের উচিত ছিল, বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখা। কিন্তু তা করা হয়নি। মিশনের রক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েনি বলেও দাবি করেন তিনি।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি গির্জায় উগ্রপন্থী যাজকের তত্ত্বাবধানে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে আফগানিস্তানে গত শনিবার মাজার ই শরিফে জাতিসংঘ মিশনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এতে জাতিসংঘের সাত কর্মীসহ ১০ জন নিহত হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযান শুরু হওয়ার পর দেশটিতে জাতিসংঘ মিশনে এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এর আগের দিন গত শুক্রবার হামলায় সাতজন নিহত হয়। কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সহিংসতায় এ পর্যন্ত মোট ১৮ জন নিহত হলো।
No comments